ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান রংপুরে গ্রেফতার
সাবেক গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী শরীফের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ
আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ইসিকে ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পরামর্শ ইইউর
জায়গা থাকলে ১০০ তলা ভবনও করতে দেওয়া হবে
সংকট এড়াতে দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজন
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। একই সঙ্গে দেশ যেন দীর্ঘমেয়াদি সংকটে না পড়ে, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যের পথে এগোতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ কথা বলেন। ‘সমঝোতা ছাড়া সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব? সমঝোতা সংলাপ’ শিরোনামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ এবং ‘জুলাই ৩৬ ফোরাম-অপরাজেয় বাংলা’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস হতে চললেও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যে পরিসরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন ছিল, তা দেখা যাচ্ছে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদষ্টো এম জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, আন্দোলনের প্রধান শক্তি জনগণ। কিন্তু এই জনগণ থেকে যদি
কেউ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। জনগণকে দীর্ঘদিন ক্ষমতাহীন করে রাখা ঠিক নয়। সামগ্রিক বাস্তবতায় বিএনপির ৩১ দফার আলোকে সমঝোতা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমঝোতা ছিল, সেটাকে নতুন করে সংগঠিত করা দরকার। আলোচনা সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য বাড়তে থাকলে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে বলে মন্তব্য করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, যে আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করা হয়েছে, সেই অর্জন রক্ষা করতে হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতনে্ত্রর প্রশ্নে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সরকারের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যেন এটা প্রকাশ না পায় যে, তারা বিশেষ কোনো
দল বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত করছে। সংস্কার নিয়ে আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, এখন কতটা সংস্কার দরকার এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু চিন্তা কাজ করছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যে কিছু কমিশনের বিশেষজ্ঞ মতামত এসেছে। এছাড়া বাকি যারা আন্দোলন করেছেন, জীবন দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবেন, তাদের সঙ্গে যে পরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার, সে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আলোচনা সভায় ‘টেকসই সংস্কারের একমাত্র পথ : রাজনৈতিক সমঝোতা' শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অপেক্ষায় না থেকে সব রাজনৈতিক দলকে একত্র হয়ে সমঝোতা পরিষদ গঠন করে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়নের পথে এগোনো প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমঝোতার এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থবিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতানি্ত্রক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।
কেউ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। জনগণকে দীর্ঘদিন ক্ষমতাহীন করে রাখা ঠিক নয়। সামগ্রিক বাস্তবতায় বিএনপির ৩১ দফার আলোকে সমঝোতা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমঝোতা ছিল, সেটাকে নতুন করে সংগঠিত করা দরকার। আলোচনা সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য বাড়তে থাকলে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে বলে মন্তব্য করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, যে আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করা হয়েছে, সেই অর্জন রক্ষা করতে হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতনে্ত্রর প্রশ্নে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সরকারের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যেন এটা প্রকাশ না পায় যে, তারা বিশেষ কোনো
দল বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত করছে। সংস্কার নিয়ে আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, এখন কতটা সংস্কার দরকার এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু চিন্তা কাজ করছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যে কিছু কমিশনের বিশেষজ্ঞ মতামত এসেছে। এছাড়া বাকি যারা আন্দোলন করেছেন, জীবন দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবেন, তাদের সঙ্গে যে পরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার, সে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আলোচনা সভায় ‘টেকসই সংস্কারের একমাত্র পথ : রাজনৈতিক সমঝোতা' শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অপেক্ষায় না থেকে সব রাজনৈতিক দলকে একত্র হয়ে সমঝোতা পরিষদ গঠন করে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়নের পথে এগোনো প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমঝোতার এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থবিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতানি্ত্রক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।