ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য
টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
দু-একদিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
ভারত ইস্যু গভীরভবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষার আহ্বান’
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কোনো অপশক্তি যাতে আবার গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সাফল্যের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে- সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশ-বিদেশের সকল স্তরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই বাংলাদেশী।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দে‘র
যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া চট্টগ্রাম ইসকনের চারু চন্দ্র দাস ব্রম্মচারী, অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর,
সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম, খুন, অপহরণ কিংবা আয়নাঘরের ভীতিমুক্ত পরিবেশে অনেক বছর পর আতঙ্কমুক্ত ও স্বাধীনভাবে আজকের এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুব সহজেই কিন্তু আজকের এরকম একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি। এই স্বাধীন-মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় লক্ষ-কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাজারো শহীদের আর অসংখ্য ভাই-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন ও স্বস্তির পরিবেশ আমরা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাধীন
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন- আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ সারাজীবন তাদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তারেক রহমান বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পতিত সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে। এখনো কেউ কেউ চালাচ্ছেন। কিন্তু এদের কিছুতেই সফল হতে দেয়া হবে না। বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। এ সময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গা পূজার উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে- এটাই বিএনপির নীতি, এটাই
বিএনপির রাজনীতি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে- দলমত ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। তিনি বলেন, আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। এই উৎসর উপলক্ষে আমি আপনাদেরকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশা-আল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে। তারেক রহমান বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বাচ্ছন্দে, বিনাবাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ
স্বাধীন করেছিলেন। কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিল না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সারাদেশে আইনের শাসন ছিল না বলেই কিন্তু প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়নাঘর একাকার হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু, দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো
বিকল্প নেই। দলের শীর্ষ নেতা বলেন, আমি মনে করি, নিজ নিজ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেকটি নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি কার্যকরী শক্তিশালী অস্ত্র। যতদিন পর্যন্ত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান অর্থাৎ দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিজের ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। পাশাপাশি হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সর্বস্তরের মানুষই দাঁড়িয়েছিলেন। এখন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলছি। আমরা সেটিও অর্জন করেছি। সেটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এখানে যারা চক্রান্ত করছে আবার সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রান্তকারীদেরকে পরাজিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সকলকে নিয়ে রাজনীতি করা। আমরা যে একটা ভয়াবহ দানবকে অবিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি, তারপরে এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই এবং দুঃখজনকভাবে আপনাদের এর ভেতরে ফেলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া চট্টগ্রাম ইসকনের চারু চন্দ্র দাস ব্রম্মচারী, অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর,
সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম, খুন, অপহরণ কিংবা আয়নাঘরের ভীতিমুক্ত পরিবেশে অনেক বছর পর আতঙ্কমুক্ত ও স্বাধীনভাবে আজকের এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুব সহজেই কিন্তু আজকের এরকম একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি। এই স্বাধীন-মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় লক্ষ-কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাজারো শহীদের আর অসংখ্য ভাই-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন ও স্বস্তির পরিবেশ আমরা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাধীন
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন- আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ সারাজীবন তাদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তারেক রহমান বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পতিত সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে। এখনো কেউ কেউ চালাচ্ছেন। কিন্তু এদের কিছুতেই সফল হতে দেয়া হবে না। বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। এ সময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গা পূজার উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে- এটাই বিএনপির নীতি, এটাই
বিএনপির রাজনীতি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে- দলমত ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। তিনি বলেন, আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। এই উৎসর উপলক্ষে আমি আপনাদেরকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশা-আল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে। তারেক রহমান বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বাচ্ছন্দে, বিনাবাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ
স্বাধীন করেছিলেন। কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিল না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সারাদেশে আইনের শাসন ছিল না বলেই কিন্তু প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়নাঘর একাকার হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু, দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো
বিকল্প নেই। দলের শীর্ষ নেতা বলেন, আমি মনে করি, নিজ নিজ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেকটি নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি কার্যকরী শক্তিশালী অস্ত্র। যতদিন পর্যন্ত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান অর্থাৎ দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিজের ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। পাশাপাশি হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সর্বস্তরের মানুষই দাঁড়িয়েছিলেন। এখন আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলছি। আমরা সেটিও অর্জন করেছি। সেটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এখানে যারা চক্রান্ত করছে আবার সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রান্তকারীদেরকে পরাজিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সকলকে নিয়ে রাজনীতি করা। আমরা যে একটা ভয়াবহ দানবকে অবিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি, তারপরে এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই এবং দুঃখজনকভাবে আপনাদের এর ভেতরে ফেলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।