ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউরকন্যা ইপ্সিতা
ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার
কার নিন্দা করো, তুমি মাথা করো নত
স্ত্রী ছাড়াও লিটনের ‘কামব্যাকের’ নেপথ্যে যিনি
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কোটি টাকার সরঞ্জামাদি নষ্ট
দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত
পুড়ে যাওয়া তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন জামায়াতের
পুরান ঢাকায় সাকরাইন উৎসবের আড়ালে মাদক ও ডিজে পার্টির উন্মাদনা
ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবে মঙ্গলবার সারা দিন পুরান ঢাকার অলিগলিতে স্থানীয় বাসিন্দারা মেতে ওঠেছিলেন। ঘুড়ি ও ফানুস উড়িয়ে এবং ফটকা ফাটিয়ে তারা সাকরাইন উদ্যাপন করেন। সূর্য ওঠার পর থেকে বাড়ির ছাদে বাহারি রংয়ের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়। সন্ধ্যা পর বাসা বাড়ির ছাদে ডিজে পার্টি ও হিন্দি গানের আসর বসে।
এসব আয়োজনে অলিগলি মুখরিত হয়ে ওঠে। তবে এসব আয়োজন নিয়ে অনেক বাসিন্দাকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় উচ্চ আওয়াজ অনেকে সমস্যায় পড়েন। এছাড়া শিশু-বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, ওয়ারী, শাঁখারী বাজার, চকবাজার, লালবাগ, হাজারীবাগসহ একাধিক এলাকায় বাড়ির ছাদে বাসিন্দারা ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসব করেন। প্যারিদাস রোডে ৮ থেকে ১০টি
বাড়ির ছাদে ডিজে পার্টি ও গান-বাজনার আয়োজন দেখা যায়। এমনকি অনেক বাড়ির ছাদ ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টি ও মাদকের আসর বসায় তরুণরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফানুস ও আতশবাজি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ হলেও এগুলোর অপব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় মাদকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ অপসংস্কৃতির চর্চা উৎসবের ঐতিহ্যবাহী চিত্রকে নষ্ট করছে। ফানুস ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মাদক ও ডিজে পার্টি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, সাকরাইন শুধু একটি উৎসব নয়, এটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু ডিজে পার্টি, মাদক এবং অশ্লীলতার কারণে এর ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। লালবাগ বিভাগের ডিসি
মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন রেড জোন শনাক্ত করা হয়েছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় শব্দযুক্ত সাউন্ড বক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাকরাইন উৎসব উপলক্ষ্যে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানের অংশ হিসাবে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের ১১৩ নম্বর এলাকা, পান্নিটোলা জিতু টেইলার্সের সামনে থেকে ৩৫ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাড়ির ছাদে ডিজে পার্টি ও গান-বাজনার আয়োজন দেখা যায়। এমনকি অনেক বাড়ির ছাদ ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টি ও মাদকের আসর বসায় তরুণরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফানুস ও আতশবাজি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ হলেও এগুলোর অপব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় মাদকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ অপসংস্কৃতির চর্চা উৎসবের ঐতিহ্যবাহী চিত্রকে নষ্ট করছে। ফানুস ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মাদক ও ডিজে পার্টি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, সাকরাইন শুধু একটি উৎসব নয়, এটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু ডিজে পার্টি, মাদক এবং অশ্লীলতার কারণে এর ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। লালবাগ বিভাগের ডিসি
মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন রেড জোন শনাক্ত করা হয়েছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় শব্দযুক্ত সাউন্ড বক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাকরাইন উৎসব উপলক্ষ্যে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানের অংশ হিসাবে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের ১১৩ নম্বর এলাকা, পান্নিটোলা জিতু টেইলার্সের সামনে থেকে ৩৫ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।