ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
রাশিয়ার ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র কতটা বিধ্বংসী?
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হচ্ছে আরও সিএপিএফ বাহিনী
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
ঝাড়খণ্ডে ‘বাংলাদেশি কার্ড’ খেলেও লাভ হলো না বিজেপির
নিজেকে ‘পাহারাদার’ দাবি করে যা বললেন মমতা
বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানে ট্রাম্পকে দায়ী করলেন মোরালেস
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে এশিয়ার এই শহর, বাড়ছে ভিড়
শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখবে অস্ট্রেলিয়া
শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে সরানোর পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। এরইসঙ্গে বন্ধ হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার। মূলত শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন পদক্ষেপ নিলেও তা ব্যর্থ হয়েছিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। আনাদুলু এজেন্সি।
এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাক্সেসের জন্য একটি নূন্যতম বয়স নির্ধারণ করার জন্য চলতি বছরেই তার লেবার সরকার একটি আইন প্রণয়ন করবে।’
আলবানিজ বলেন, ‘আমরা জানি সামাজিকমাধ্যম সমাজের ক্ষতি করছে। এটি শিশুদের বাস্তব বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও
বলেন, ‘আমি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রেখে ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল এবং টেনিস কোর্টে দেখতে চাই। আমরা চাই তারা বাস্তব মানুষের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। কারণ আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামাজিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’ তবে কত বছরের শিশুদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের মধ্যে হতে পারে। তবে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সসীমা আরোপ বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। এছাড়া এটি কিশোর-কিশোরীদের গোপনে অনলাইনে কার্যক্রম চালাতে বাধ্য করতে পারে, যা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল মিডিয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড্যানিয়েল অ্যাঙ্গাস
বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত তরুণদের ডিজিটাল জগতে অর্থবহ ও স্বাস্থ্যকর অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করতে পারে এবং তাদের নিম্নমানের অনলাইন স্পেসে ঠেলে দিতে পারে।’ তবে এই আইন কার্যকর হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে, যারা সামাজিকমাধ্যমে বয়সসীমা আরোপ করবে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ এতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন অধিকার হ্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়ার ২৬ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে চার-পঞ্চমাংশই সামাজিকমাধ্যমে সক্রিয়। সরকারের একটি সংসদীয় তদন্তের প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীদের ওপর সামাজিকমাধ্যমের মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সিডনি ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ানদের তিন-চতুর্থাংশই ইউটিউব
বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।
বলেন, ‘আমি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রেখে ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল এবং টেনিস কোর্টে দেখতে চাই। আমরা চাই তারা বাস্তব মানুষের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। কারণ আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামাজিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’ তবে কত বছরের শিশুদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের মধ্যে হতে পারে। তবে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সসীমা আরোপ বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। এছাড়া এটি কিশোর-কিশোরীদের গোপনে অনলাইনে কার্যক্রম চালাতে বাধ্য করতে পারে, যা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল মিডিয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড্যানিয়েল অ্যাঙ্গাস
বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত তরুণদের ডিজিটাল জগতে অর্থবহ ও স্বাস্থ্যকর অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করতে পারে এবং তাদের নিম্নমানের অনলাইন স্পেসে ঠেলে দিতে পারে।’ তবে এই আইন কার্যকর হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে, যারা সামাজিকমাধ্যমে বয়সসীমা আরোপ করবে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ এতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন অধিকার হ্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়ার ২৬ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে চার-পঞ্চমাংশই সামাজিকমাধ্যমে সক্রিয়। সরকারের একটি সংসদীয় তদন্তের প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীদের ওপর সামাজিকমাধ্যমের মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সিডনি ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ানদের তিন-চতুর্থাংশই ইউটিউব
বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।