ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী
বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধান উপদেষ্টা
প্রতিদিন এগারোটা খুন: জুলাই সন্ত্রাসীদের রক্তাক্ত উপহার
ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি
*জনগণের প্রত্যাশা থেকে বিচ্ছিন্ন জুলাই সনদ, প্রতিশ্রুতির স্থলে প্রতারণা*
আইসিটি বন্ধ ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
তীব্র নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর, ভারতের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস
‘অন্যায় বিচার প্রক্রিয়া’ নিয়ে জাতিসংঘে শেখ হাসিনার আইনজীবী প্যানেলের জরুরি আবেদন
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ায় অন্যায় ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের কাছে জরুরি আপিল দাখিল করেছে লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী প্যানেল।
জাতিসংঘের বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক এবং বিচারবহির্ভূত বা নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ডবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের কাছে শেখ হাসিনার পক্ষে লন্ডনভিত্তিক ব্যারিস্টার স্টিভেন পাওলস কেসি ও তাতিয়ানা ইটওয়েল এই আপিল দাখিল করেন।
সোমবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ‘ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্স’ নামে আইনী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আপিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (International Crimes Tribunal–ICT) শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে (in absentia) চলা বিচার প্রক্রিয়ায় ন্যায্য বিচারের মৌলিক অধিকার ও আইনি প্রক্রিয়া গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং জানুয়ারি ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। ৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করে ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে এবং রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। আইনজীবীদের মতে, এই মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি আপিলে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কেবল সাবেক সরকারের কর্মকর্তাদের
বিচার করছে। বরং যারা আন্দোলন বা ‘অভ্যুত্থান’ সফল করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের বিচারের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। দাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও প্রধান প্রসিকিউটরের পক্ষপাতমূলক অবস্থান শেখ হাসিনার মামলার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র পাননি এবং তার পছন্দের আইনজীবীরা হামলা ও হুমকির কারণে কাজ করতে পারছেন না। ফলে তিনি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে বিচার মুখোমুখি হচ্ছেন, যার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ বা নির্দেশনা নেই। আইনজীবীরা জাতিসংঘকে জানান, এমন পরিস্থিতিতে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যত বিচারবহির্ভূত হত্যার শামিল হবে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (ICCPR) অনুচ্ছেদ ৬ ও ১৪ লঙ্ঘন
করবে। দাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আরও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বেড়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং জানুয়ারি ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। ৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করে ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে এবং রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। আইনজীবীদের মতে, এই মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি আপিলে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কেবল সাবেক সরকারের কর্মকর্তাদের
বিচার করছে। বরং যারা আন্দোলন বা ‘অভ্যুত্থান’ সফল করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাদের বিচারের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। দাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও প্রধান প্রসিকিউটরের পক্ষপাতমূলক অবস্থান শেখ হাসিনার মামলার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র পাননি এবং তার পছন্দের আইনজীবীরা হামলা ও হুমকির কারণে কাজ করতে পারছেন না। ফলে তিনি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে বিচার মুখোমুখি হচ্ছেন, যার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ বা নির্দেশনা নেই। আইনজীবীরা জাতিসংঘকে জানান, এমন পরিস্থিতিতে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যত বিচারবহির্ভূত হত্যার শামিল হবে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (ICCPR) অনুচ্ছেদ ৬ ও ১৪ লঙ্ঘন
করবে। দাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আরও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বেড়েছে।



