১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান হানাদারমুক্ত হয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৫:২৭ অপরাহ্ণ

১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান হানাদারমুক্ত হয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:২৭ 20 ভিউ
১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান হানাদারমুক্ত হয়। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বগুড়ার পৌর এডওয়ার্ড পার্কে ওড়ে বিজয়ের পতাকা। এর আগে হানাদার বাহিনী বগুড়া শহরের দখল নিতে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়েক দফা আক্রমণ চালায়। কিন্তু মুক্তিসেনারা বীরত্বের সঙ্গে ওই আক্রমণ প্রতিহত করেন। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তান হানাদারদের হটিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটের ডাকবাংলোতে প্রবেশ করেন। পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা তখন পালিয়ে বগুড়া ও ঘোড়াঘাটের দিকে ছুটে যায় জীবন বাঁচাতে। জয়পুরহাটের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে প্রথম স্বাধীনতার বিজয় কেতন সোনালি বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা

উত্তোলন করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খন্দকার আসাদুজ্জামান বাবলু (বাঘা বাবলু)। এদিন মুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সমবেত করার জন্য সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ভুলু ও আমিনুল ইসলাম চৌধুরী (মুজিব বাহিনীর গেরিলা) উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে ১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী রেলযোগে ঈশ্বরদী অভিমুখে পালিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে হাজার হাজার জনতা ও বিজয়ী মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সিরাজগঞ্জ শহর দখল করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকার পথে

জিরাবো এলাকার ঘোষবাগ গ্রামের এসে পৌঁছালে ঝাঁপিয়ে পড়ে অ্যামবুশ পেতে থাকা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর গেরিলা বাহিনী। উচ্ছ্বসিত কিশোর টিটু সহযোদ্ধাদের নিষেধ উপেক্ষা করে গুলি করতে করতে সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন। হঠাৎ একঝাঁক তপ্ত বুলেটের আঘাত ঝাঁঝরা করে দেয় কিশোর প্রাণটিকে। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা দশম শ্রেণির ছাত্র গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটুর রক্তে মুক্ত হয় সাভার। এদিন ভোর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পলায়নপর হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে চলতে থাকে মরণপণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। রুপসদী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পলায়নপর পাকিস্তানি সৈন্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যায়। পাকিস্তানিরাও এমএমজি (মিডিয়াম মেশিন গান) দিয়ে ননস্টপ পাল্টা ফায়ার করতে করতে পিছু হাঁটে। পলায়নপর পাকিস্তানি সৈন্যরা ধাওয়া খেয়ে

তাদের কাছে থাকা একটি ছোট লঞ্চ দিয়ে তিতাস নদী পেরিয়ে তিতাসের পার ঘেঁষে ঘাগুটিয়া গ্রামে একটি বড় পাকা মসজিদে শক্ত অবস্থান নেয়। তখনো পাকিস্তানি সৈন্যদের অনেকেই নদী অতিক্রম করতে পারেনি। তিতাস নদী অতিক্রমের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে বেশকিছু পাকিস্তানি সৈন্য মারা যায় ও আহত হয়। কিছু সৈন্য তিতাস নদীতে ডুবে মরে। এদিন পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছ থেকে প্রচুর গুলিসহ (চেইনের মধ্যে সেট করা) পাকা জলপাই রঙের একটি এমএমজি উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধারা। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বাঞ্ছারামপুর-হোমনার বিরাট এলাকা, কেঁপে কেঁপে ওঠে শান্তশিষ্ট কাজলকালো তিতাস নদীর জল। ১৪ তারিখে যুদ্ধের মধ্যেই উজানচর গ্রামের এক নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে একটি পাকিস্তানি সৈন্যের লাশ নিয়ে

যায়। পরে ওই লাশকে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে মনের আক্রোশ মেটায় নারীরা। এদিন মিত্র-মুক্তিবাহিনী বিজয়ীর বেশে চার দিক থেকে ঢাকার দিকে এগিয়ে আসে। যৌথ বাহিনী তথা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ বিভিন্ন ভাষায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণের বাণী লিফলেট করে আকাশে ছড়িয়ে দেন। ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতীয় মিগ-২১ জঙ্গি বিমান কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ঢাকার নীলাকাশে উড়তে থাকে। প্রচারপত্রে পাকিস্তানি সৈন্যদেরকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তারা আত্মসমর্পণ করলে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ। এদিনের কথা স্মরণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, এই দিনে আমি মাদারীপুর নিজ জেলা শহরের

যুদ্ধরত অবস্থায় ছিলাম। পাকিস্তানের সেনারা মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন দিকে যাওয়া আসা করতেছিল। এসময় তাদের আমরা বিভিন্নভাবে প্রতিহত করি এবং স্বাধীনতার বিজয়ের উল্লাসের অপেক্ষা করতে থাকি। আবদুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কিছু অংশ পাকসেনাদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল, আবার কিছুও বাকিও ছিল। আমরা তখন যুদ্ধরত অবস্থায় ছিলাম। আমরা বিজয়ের লগ্নের অপেক্ষায় ছিলাম, কখন বিজয় আসবে। তখন বলা চলে আমাদের ক্ষণগণনার সময়। যেহেতু ভারত-ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে, আমরা সবাই বুঝতে পারছিলাম— মুক্তির দিন সমাগত।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ ১৯৭১, নীলফামারীর গোলাহাট গণহত্যা PBI Findings: 56% of July–August 2024 Cases Were “False & Baseless” ‘৭১ এর রণাঙ্গনের ৩ জন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। জনগণের ঘাড়ে নতুন করে চাপছে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তৃত্ববাদী খড়্গ দেশ আবার সারের জন্য ফেটে পড়ছে—এই হলো বিদেশিদের পোষ্য জামাতি ইউনুস সরকারের আসল চেহারা! মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে এসে প্রাণ হারায় দেড় হাজার ভারতীয় সেনা সাঈদীকে ‘জিন্দা কাফের’ ও ‘বিশ্ব টাউট’ আখ্যা দিলেন বনি আমিন: ওয়াজে ভুয়া ধর্মান্তরের নাটক সাজানোর অভিযোগ ভোলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাইকে ‘ হত্যার উদ্দেশ্যে’ ছাত্রদল-শিবিরের হামলার অভিযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হচ্ছে ওসমান হাদিকে গুলি : সন্দেহভাজন ফয়সলের স্ত্রীসহ আটক ৩ খুলনায় দুর্বৃত্তদের গু‌লিতে যুবক নিহত ‘আমাকে শোরুমে নিয়ে যান, সব সত্য বেরিয়ে আসবে’ রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন সিডনিতে হামলায় নিহত বেড়ে ১২ শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে ড্রোন হামলায় আহত ঘিওরের চুমকি সেন্টমার্টিন যাত্রায় সক্রিয় জালিয়াতি চক্র, টিকিট যেন সোনার হরিণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের এক দেশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুকুর ছানাকে বাঁচালেন তরুণী সিডনিতে হামলায় নিহত বেড়ে ১২