গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি ও চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সংলাপ – ইউ এস বাংলা নিউজ




গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি ও চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সংলাপ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ জুন, ২০২৫ | ৫:৩২ 19 ভিউ
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তাদের মধ্যে এই বৈঠক হয়।এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার দুপুরে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও সংস্কার প্রক্রিয়া ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরাজমান গভীর আগ্রহ ও বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল ও চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা করতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি আন্তরিক ও ভবিষ্যতমুখী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরে। আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে ‘জুলাই সনদ’-এর প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয়, বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে। তিনি উল্লেখ করেন, এই ‘জুলাই সনদ’জুলাই আন্দোলনের নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি

সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে এবং ভবিৎসত রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করবে। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে—এ প্রেক্ষাপটে এনসিপি সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আশা করছে, ‘জুলাই সনদ’-এর প্রণয়ন ও ঘোষণার প্রক্রিয়া আর বিলম্বিত না হয়ে যথাযথ আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে—যাতে শহিদদের আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পাবে।” তিনি নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। এনসিপি প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও দল-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবির পুনরুল্লেখ করে—যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনবিশ্বাস ও আস্থা পুনঃস্থাপন করবে। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরবর্তীতে একটি গণপরিষদ ও

আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা জানান, যাতে সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, এনসিপি প্রতিনিধি দলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ (নন-ইন্টারফেয়ারেন্স) নীতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ। দুপক্ষই পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মানজনক সংলাপ এবং কৌশলগত সহযোগিতার

ভিত্তিতে গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন পূরণ হলো: সাবিলা নূর বিয়ের পর কেন আমাদের পুত্রবধূ এসব করছে, তা আমি শুনতে চাই না: প্রিয়মণি ত্যাগের মহিমায় এলো খুশির ঈদ ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া ঈদুল আজহার শিক্ষা ও করণীয় ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে কখন কোথায় ঈদের জামাত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপি দেশে ফিরেই নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে হতাশা প্রকাশ মির্জা ফখরুলের ঈদের দিনে ৪২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা কাশ্মীরে আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু রেলসেতু উদ্বোধন মোদির দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন ৪৪% পাকিস্তানির গাজার মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা করা বিশ্বের সব মুসলিমের দায়িত্ব সামর্থ্যবান ব্যক্তি কুরবানি না দিলে কী হবে? ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন ৪৪% পাকিস্তানির ডুবোচরে লঞ্চের ধাক্কা, নদীতে ছিটকে পড়লেন যাত্রীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার যানজট ওয়াজিব হওয়ার পরও কুরবানি করতে না পারলে কী উপায়? আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজিরা