কারাগারে পলকের সেলে বৃষ্টির পানি পড়ে, অভিযোগ আইনজীবীর – ইউ এস বাংলা নিউজ




কারাগারে পলকের সেলে বৃষ্টির পানি পড়ে, অভিযোগ আইনজীবীর

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪:৪০ 56 ভিউ
সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ‘অস্বাস্থ্যকর ও বসবাসের অনুপযোগী জায়গায় রাখা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কারাগারে যেখানে পলককে রাখা হয়েছে সেই ঘরে পর্যাপ্ত ‘আলো বাতাস নেই’ এবং বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে ‘পানিও পড়ে’। সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাব্বি হত্যা মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের উপরে শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই আদেশ দেয়। এর আগে পলকের সঙ্গে কথা বলেন তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম। এ সময় কারাগারে তার কি ধরনের অসুবিধা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি আইনজীবীকে জানিয়েছেন। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তরিকুল

ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে প্রিজন করে তাকে (পলক) আদালতে হাজির করা হয়। তবে বৃষ্টি নামায় প্রিজন ভ্যানের ভেন্টিলেটর দিয়ে পানি আসায় তিনি ভিজে যান। তাকে কাশিমপুর কারাগারে হাইসিকিউরিটি সেলে রাখা হয়েছে, সেখানে বৃষ্টি এলে পানি ঢুকে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি আজ আমাদের বলেছেন। কারাগারে ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পলককে রাখা হয়েছে’ জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, তাকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সুযোগ নেই। বৃষ্টিতে রুম ভিজে যায় থাকার অনুপযোগী জায়গায় তাকে রাখা হয়েছে, যা অমানবিক। মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এর আগে শুনানির জন্য সকাল ৯টার দিকে পলককে আদালতে হাজির করা হয়, আর এজলাসে তোলা হয় ১০টার দিকে। ওই সময়

সাংবাদিকরা কিছু কথা জিজ্ঞাসা করলেও সাড়া দেননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। তিনি কেবল মাথা নাড়িয়েছেন। তবে তাকে ওই সময় হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।