
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে কে জিতল

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের, দু’পক্ষে লঙ্ঘনের অভিযোগ

ইসরায়েল হামলা না করলে ইরানও করবে না: মাসউদ পেজেশকিয়ান

রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে শিশুসহ নিহত ১০

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

যুদ্ধের শেষ দিনে ইসরায়েলি সেনা নিহত

ইরানের হামলায় ইসরাইলের যে ভয়াবহ ক্ষতি হল…
ইয়েমেনের পাল্টা হামলা বন্ধ করা অসম্ভব কেন? জানালেন মার্কিন বিশ্লেষক

ইয়েমেনে মার্কিন হামলার কথা উল্লেখ করে একটি আরব সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটনের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার কথা জানিয়ে লিখেছে, ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ গোষ্ঠী প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি আল-আরাবি আল-জাদীদ নামের ওই সংবাদমাধ্যমটি ‘ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের এক মাস পরও আনসারুল্লাহকে পরাজিত করার লক্ষ্য অর্জিত হয়নি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করেন এবং ইয়েমেনের উত্তর ও পশ্চিমে আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক বোমা হামলা চালান।
আল-আরাবি আল-জাদীদ জানিয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, তারা কেবল আনসারুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে- এসব হামলায় কয়েক ডজন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
সেই সঙ্গে আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। পেন্টাগন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইয়েমেনে মার্কিন আক্রমণ ছয় মাস ধরে চলতে পারে এবং এতে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হতে পারে। এ জন্য পেন্টাগন ইয়েমেনে আক্রমণের জন্য কংগ্রেসের কাছ থেকে আরও তহবিলের অনুরোধ করতে বাধ্য হবে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ‘আনসারুল্লাহ প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ করেছে এবং মার্কিন আগ্রাসন তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনসারুল্লাহও তাদের আক্রমণ তীব্রতর করবে’। এদিকে ওয়াশিংটন সেন্টার ফর দ্য স্টাডির বিশ্লেষক এলিজাবেথ ডেন্ট মার্চের
শেষের দিকে এক প্রতিবেদনে স্বীকার করে বলেছেন, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহকে তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে বাধ্য করা প্রায় অসম্ভব হবে। কারণ তারা দুই দশক ধরে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে আসছে। মার্কিন চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়েমেনিরা সৌদি আরবেও আক্রমণ করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত দুর্বলতার সুযোগ নেবে। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে সৌদি আরবকে ততটাই সমর্থন করার ক্ষমতা বা ইচ্ছা প্রমাণ করতে হবে, যতটা তারা ইসরাইলকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন আক্রমণে ইয়েমেনের কিছু অবস্থান ধ্বংস হয়েছে। তবে তারা লোহিত সাগরে জাহাজ আক্রমণ এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে আনসারুল্লাহর ক্ষমতাকে একটুও কমাতে
পারেনি। সম্প্রতি লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং সম্প্রতি এর সঙ্গে যোগ দেওয়া যুদ্ধজাহাজ ভিনসন-কেও লক্ষ্যবস্তু করেছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া সানা প্রদেশে আক্রমণাত্মক অভিযানের সময় একটি মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোনসহ আনসারুল্লাহ হুথি বাহিনী গত ১৮ মাসে ২০টি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণের এসব হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি করেছে।
সেই সঙ্গে আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। পেন্টাগন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইয়েমেনে মার্কিন আক্রমণ ছয় মাস ধরে চলতে পারে এবং এতে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হতে পারে। এ জন্য পেন্টাগন ইয়েমেনে আক্রমণের জন্য কংগ্রেসের কাছ থেকে আরও তহবিলের অনুরোধ করতে বাধ্য হবে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ‘আনসারুল্লাহ প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ করেছে এবং মার্কিন আগ্রাসন তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনসারুল্লাহও তাদের আক্রমণ তীব্রতর করবে’। এদিকে ওয়াশিংটন সেন্টার ফর দ্য স্টাডির বিশ্লেষক এলিজাবেথ ডেন্ট মার্চের
শেষের দিকে এক প্রতিবেদনে স্বীকার করে বলেছেন, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহকে তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে বাধ্য করা প্রায় অসম্ভব হবে। কারণ তারা দুই দশক ধরে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে আসছে। মার্কিন চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়েমেনিরা সৌদি আরবেও আক্রমণ করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত দুর্বলতার সুযোগ নেবে। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে সৌদি আরবকে ততটাই সমর্থন করার ক্ষমতা বা ইচ্ছা প্রমাণ করতে হবে, যতটা তারা ইসরাইলকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন আক্রমণে ইয়েমেনের কিছু অবস্থান ধ্বংস হয়েছে। তবে তারা লোহিত সাগরে জাহাজ আক্রমণ এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে আনসারুল্লাহর ক্ষমতাকে একটুও কমাতে
পারেনি। সম্প্রতি লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং সম্প্রতি এর সঙ্গে যোগ দেওয়া যুদ্ধজাহাজ ভিনসন-কেও লক্ষ্যবস্তু করেছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া সানা প্রদেশে আক্রমণাত্মক অভিযানের সময় একটি মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোনসহ আনসারুল্লাহ হুথি বাহিনী গত ১৮ মাসে ২০টি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণের এসব হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি করেছে।