শতাধিক গাড়ির বহরের কী ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৫
     ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

বিএনপি সন্ত্রাসীর হাজার কোটির চাঁদা ও দখল মিশন

ওয়াশিংটনে গোপন দলিলে ২৬ মার্চ: ‘শেখ মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন’

বিডিআর বিদ্রোহের ‘দাবার ঘুঁটি’ ও খুনিদের মুক্তি: ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি- রুদ্র মুহম্মদ জাফর

”ভিডিও বানিয়ে ফাইভ স্টারে থাকা যায় না, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ শুধুই লোকদেখানো মুখোশ, আমি কাজ করি ‘ইসরায়েলের’ হয়ে”

চীন–পাকিস্তান ঘুরে বাংলাদেশের আকাশ নিরাপত্তা: ড্রোন ও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ব্যয়, ঝুঁকি ও গোপন প্রশ্ন

অবৈধ ইউনুস সরকারের জেলখানা যে আওয়ামী লীগের মৃত্যুকুপ

২০১০-২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে শেখ হাসিনা

শতাধিক গাড়ির বহরের কী ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৩৪ 112 ভিউ
নিজ এলাকা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে যাওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সারজিস আলম। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন সারজিস আলম। পোস্টে তিনি লেখেন, একজন নতুন করে রাজনীতিতে এসেছে মানেই তার পরিবার সহায়-সম্বলহীন, অসহায় বা নিঃস্ব নয়। এ ধরণের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা সবার আগে বাদ দিতে হবে। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদাবাজি, লুটপাট করে এসব কাজ করেছে বলে, একই কাজ করে অন্যরাও সেটা করবে বিষয়টি তেমনও নয়। আমার এই মুহূর্তে

কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই মানে এই নয় যে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনেরও সেই সামর্থ্য নেই। তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশের একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারের সঙ্গে অন্য একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারেরও পুরোপুরি মিল নেই। তাই আমার আসনে যা দেখছি সেটা দিয়ে অন্য আসনেও তুলনা করা যায় না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগত অবস্থান বিবেচনায় সেই ইকুয়েশনগুলো ভিন্ন হয়। আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই। কিন্তু নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যেটা কল্পনা করি সেটা ছয় মাসের মধ্যে এপ্লাই করলে অলমোস্ট ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জামানত হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। তার মানে কি আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই না? অবশ্যই চাই। পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, কিন্তু সেটা কখনো ছয় মাসের ব্যবধানে

১৮০ ডিগ্রি উল্টে যাবে না বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এভাবে পরিবর্তিত হবে। এক সময় হয়তো শতভাগ নতুন বন্দোবস্ত দেখতে পাবো। ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয় উল্লেখ করে তিনি লেখেন, প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করার জনবল এবং সামর্থ্য না থাকলে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। অন্য নেতা তো দূরের কথা সাধারণ জনগণও আপনাকে গোনায় ধরবে না। কারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষমতামুখী। আমাদের যেমন নতুন বন্দোবস্তের দিকে যেতে হবে, তেমনি মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য পূর্বের যেই বন্দোবস্তগুলো এখনই ছুঁড়ে ফেলা সম্ভব নয়। সেগুলোকে পাশে রেখে আপাতত চলতে হবে। সেগুলো ছুঁড়ে ফেলার সুযোগ আসলে তা করা হবে। সোশ্যাল

মিডিয়ার অনেক বুদ্ধিজীবী তাদের কিছু আইডিয়াগুলোকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দিয়ে স্টাবলিশ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দেখাচ্ছে। দেশের এই মানসিকতার জনগণের কাছে সেই প্রসেসে ইলেকশনে নামলে জামানত হারাবে। এমনকি একই প্রসেসে ৫ বছর পরে ইলেকশন করলেও জামানত হারাবে। তারা শুধু পেছনে লাগতে পারে। কিন্তু কোন প্রসেসে আপনি মাঠে ইলেকশন করে জিতে আসতে পারবেন সেগুলো দেখাতে পারেনা। এছাড়া, দেখালেও অনেকক্ষেত্রে সেগুলোর মাঠের বাস্তবতা নেই। চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমরা অনেকেই চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মামলা বাণিজ্য, হয়রানি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেললাম। কিন্তু এই অভ্যুত্থানেরই একটি অংশ আবার ওই একই কাজগুলো করছে। আটকাতে পেরেছেন কি? পারেননি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা

আপনারা অনেকে কথাও বলতে পারছি না। আর বললেও তারা সে কথাকে কানে নেয় না। শুধু নতুন করে চিন্তা করা মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছি। যারা এখনও সেই কথা বলার স্পেসটা দেয় এবং কথাগুলোকে রিসিভ করে। তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে হবে। এটা আবশ্যক। কিন্তু যতদিন না আমজনতা তাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করছে, ততদিন সরাসরি নতুন চিন্তাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে গেলে সময়ের সাথে সাথে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। আপনি আজকে একটি আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিন। তাহলে কাল থেকে সেই আসনের অসংখ্য মানুষ নানা তদবির নিয়ে আসবে। এর মধ্যে অনেক অনৈতিক চাওয়া থাকবে। আবার যাদের আবদার পূরণ করতে পারবেন না তারা বিরুদ্ধে

কথা বলা শুরু করবে। অথচ তারা একটিবারও ভাববে না সেই সামর্থ্য আছে কিনা অথবা বিষয়গুলো ন্যায় সঙ্গত কিনা। তারা শুধু নিজের স্বার্থটা ভাববে। আপনি দিলে আছে, না দিলে নাই। এনসিপির এই নেতা লেখেন, এখন আপনার কোনো অথরিটিও নাই। এক্ষেত্রে সরাসরি নতুন বন্দোবস্ত প্রয়োগ করে দীর্ঘ মেয়াদে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার চেয়ে সাময়িকভাবে নতুন-পুরনো মিশেলে এগিয়ে গিয়ে নির্বাচিত হতে পারলে দীর্ঘমেয়াদে নতুন বন্দোবস্তের কালচার চালু ও তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সুযোগ বেশি থাকবে। আমি এটাকে মন্দের ভালো মনে করি। সবশেষ তিনি লেখেন, আমার এলাকায় ফেরার সময় এত গাড়ি, এত মানুষ; তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করবে, তা আমিও কল্পনা করিনি। আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন,

বন্ধু-বান্ধব এবং জেলার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্ধেকের বেশি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যেগুলোর ব্যয় আমাদের বহন করতে হয়নি। বাকি প্রায় ৫০ টার মতো গাড়ির ৬০০০ করে যে তিন লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আরও ৫০ বছর আগেও আমার পরিবারের ছিল। শুধু আমার দাদা যতটুকু রেখে গিয়েছেন, সেটা দিয়ে আমার ইলেকশনও করে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অ্যামেরিকায় বড় হামলার পরিকল্পনা, বন্দুক ভর্তি গাড়িসহ পাক-বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেপ্তার বিএনপি সন্ত্রাসীর হাজার কোটির চাঁদা ও দখল মিশন ওয়াশিংটনে গোপন দলিলে ২৬ মার্চ: ‘শেখ মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন’ বিডিআর বিদ্রোহের ‘দাবার ঘুঁটি’ ও খুনিদের মুক্তি: ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি- রুদ্র মুহম্মদ জাফর ”ভিডিও বানিয়ে ফাইভ স্টারে থাকা যায় না, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ শুধুই লোকদেখানো মুখোশ, আমি কাজ করি ‘ইসরায়েলের’ হয়ে” গোবিন্দগঞ্জে চা দোকানিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চীন–পাকিস্তান ঘুরে বাংলাদেশের আকাশ নিরাপত্তা: ড্রোন ও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ব্যয়, ঝুঁকি ও গোপন প্রশ্ন অবৈধ ইউনুস সরকারের জেলখানা যে আওয়ামী লীগের মৃত্যুকুপ ডা. রাশেদুল হক একজন চিকিৎসক ২০১০-২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে শেখ হাসিনা কারাগারকে রাষ্ট্রীয় কসাইখানায় পরিণত করেছেন ইউনূস, কোথায় মানবাধিকার ‘বিডিআর বিদ্রোহ’: মামলা ও বিচার মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শোক ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে বাংলাদেশ ! “বিডিআরের ঘটনায় যে আর্মি অফিসাররা মারা যায়, ৪৬ জনই ছিলো আওয়ামী লীগের পরিবারের সদস্য” –জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্দিরও রক্ষা পেল না! ইউনুস সরকারের সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ — এটাই কি গণতন্ত্র? দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থক এক যুবককে মবসন্ত্রাস করে পুলিশে হস্তান্তর একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নারকীয় গণহত্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব মানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায় “আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হইতো না, আমরা ভোট দিতে যাইতাম না; আওয়ামী লীগ ছাড়া আমরা কিছু চিনি না ” — জনতা ফেসবুক জরিপ: ৮১ শতাংশ মানুষই অসন্তুষ্ট ড. ইউনূস সরকারের কার্যক্রমে