সঞ্চয় গেলো, স্বপ্ন গেলো, জীবন গেলো : ১৫ হাজার কোটি টাকার লুটপাট শেষে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা ইউনুস কর্তৃক – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

আরও খবর

তাজউদ্দিনকে লেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সেই ঐতিহাসিক চিঠির কপি

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি ভারতের, স্মরণে ও কৃতজ্ঞতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি

বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান করতেই কি ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’?

বিশ্ব রাজনীতির জাদুকরী চাল: এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’

৬ ডিসেম্বর: কূটনৈতিক বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ—বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের প্রতিষ্ঠা

বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির নাম ‘৩৬ জুলাই সেতু’ রাখাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের জেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ

সঞ্চয় গেলো, স্বপ্ন গেলো, জীবন গেলো : ১৫ হাজার কোটি টাকার লুটপাট শেষে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা ইউনুস কর্তৃক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১০:৪৬ 11 ভিউ
২০২৪ সালের জুলাইয়ে যখন দেশজুড়ে রক্তস্নান হচ্ছিলো, যখন রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকছিলো, তখন কেউ কি ভেবেছিলো যে এই অরাজকতার আসল শিকার হবে দেশের সাধারণ মানুষ? যারা নিজেদের সারাজীবনের সঞ্চয় জমা রেখেছিলো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, যারা স্বপ্ন দেখতো একটা নিরাপদ ভবিষ্যতের, তারা আজ দাঁড়িয়ে আছে সর্বস্বান্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ইউনুস এবং তার তথাকথিত অ-সরকার এখন ৯টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে, আর এই সিদ্ধান্তের ভয়াবহতা বুঝতে হলে শুধু সংখ্যাগুলো দেখলেই চলে। ১৫ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকা আটকে আছে এই ৯টি প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত আমানত। কিন্তু সবচেয়ে নির্মম সত্যটা হলো,

এই আটটি প্রতিষ্ঠানের গড় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৯৫ টাকা। সহজ ভাষায়, দেনা পরিশোধের পর সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। একেবারে শূন্য। পিপলস লিজিংয়ে ১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা, অ্যাভিভা ফাইন্যান্সে ৮০৯ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে ৬৪৫ কোটি টাকা আটকে আছে সাধারণ মানুষের। এই মানুষগুলো কারা? হয়তো কোনো সরকারি চাকরিজীবী যিনি অবসরের পর নিরাপদ জীবনের জন্য সঞ্চয় করেছিলেন। হয়তো কোনো ব্যবসায়ী যিনি সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য টাকা জমিয়েছিলেন। হয়তো কোনো মধ্যবিত্ত পরিবার যারা একটা বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখতো। আর এখন এই মানুষগুলোর কী হবে? ইউনুস এবং তার দল কি এই প্রশ্নের উত্তর দেবে? বিদেশি টাকায়, জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় আর সামরিক বাহিনীর সমর্থনে

যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কি এই সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা ভাবে? যে সুদী মহাজন সারাজীবন দরিদ্রদের নিয়ে ব্যবসা করেছে, নোবেল পুরস্কার জিতেছে, সে কি জানে একজন মধ্যবিত্ত মানুষের সঞ্চয় হারানো মানে কী? দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্যু করে ফেলে দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা এখন একের পর এক অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করে চলেছে। প্রথমে ৫টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংককে জোর করে একীভূত করা হলো। এখন ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কাল আরও কতগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে, কে জানে? সমন্বিত ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫। কী সুন্দর নাম! আইনি ভাষায় সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা একটা অধ্যাদেশ, যার আড়ালে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার পরিবারের ধ্বংসের গল্প। কেন্দ্রীয়

ব্যাংক এখন লিকুইডেটর নিয়োগ করবে, সম্পদ বিক্রি করবে, আর যা পাওয়া যাবে তা দাবিদারদের মধ্যে বণ্টন করবে। কিন্তু যখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যই ঋণাত্মক, তখন সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পাবে কী? এই ৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা পুরো এনবিএফআই খাতের খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশ। এত বিশাল পরিমাণ খেলাপি ঋণ হলো কীভাবে? এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাদের ঋণ দিয়েছিলো? কারা এই ঋণ নিয়ে পালিয়েছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি কেউ দেবে? নাকি শুধু সাধারণ আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডারদের ওপর দিয়েই পুরো বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে? ইউনুস এবং তার দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ছে। ডলারের দাম আকাশছোঁয়া, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, আর

এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটা একটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়ে কোনো বিদেশি শক্তির স্বার্থ হাসিল করা হচ্ছে কিনা, সেটা এখন গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। খাওয়া শেষে থালা-বাসন ধুয়ে রাখলেই কি সব ঠিক হয়ে যায়? লুটপাট করে, দেশের সব অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করে, এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেই কি সব মিটে যায়? যারা তাদের সারাজীবনের সঞ্চয় হারাবে, যারা রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে যাবে, তাদের কী হবে? কয়েকদিন পর যদি ঋণে জর্জরিত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আত্মহত্যার খবর আসতে শুরু করে, তাহলে কি কেউ অবাক হবে? আসলে হওয়ার কিছু নেই। কারণ এমনটাই হওয়ার

কথা ছিল। ইউনুস যেখানে যায়, সেখানে শান্তি থাকে না। শুধু ধ্বংস আর বিপর্যয়ের গল্প থাকে। মনে রাখা দরকার, এই ৯টি প্রতিষ্ঠানের পেছনে আছে হাজার হাজার কর্মচারী, যারা চাকরি হারাবে। আছে লাখ লাখ আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডার, যারা তাদের অর্থ হারাবে। আছে অসংখ্য পরিবার, যাদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে। আর এসবের জন্য দায়ী কে? যারা একটা নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যে রক্তস্নান হয়েছিল, তার ফলাফল এখন ভোগ করছে পুরো দেশ। অর্থনীতি ধসে পড়ছে, মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, আর ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা ইউনুস এবং তার দল শুধু কাগজে কলমে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। তারা জানে না, অথবা জানতে চায় না,

যে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে লাখ লাখ মানুষের জীবনে। দেশের অর্থনীতির এই করুণ দশা দেখে একটাই প্রশ্ন জাগে: কোথায় যাচ্ছে আমরা? একটা স্বাধীন দেশ, যার মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছিল, সেই দেশের অর্থনীতি কি এভাবেই ধ্বংস হবে? আর কতদিন এই অবৈধ সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে? কবে দেশের মানুষ বুঝবে যে ইউনুসের শান্তির নোবেল আসলে দেশের জন্য অশান্তির বার্তা?

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সঞ্চয় গেলো, স্বপ্ন গেলো, জীবন গেলো : ১৫ হাজার কোটি টাকার লুটপাট শেষে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা ইউনুস কর্তৃক Election Without Choice? Bangladesh Faces a Growing Political Crackdown তাজউদ্দিনকে লেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সেই ঐতিহাসিক চিঠির কপি ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি ভারতের, স্মরণে ও কৃতজ্ঞতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শোক বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান করতেই কি ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’? বিশ্ব রাজনীতির জাদুকরী চাল: এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’ বিশ্ব রাজনীতির জাদুকরী চাল: এশিয়ার রাজনৈতিক দাবার বোর্ডে ভারতই যখন ‘কিংমেকার’ ৬ ডিসেম্বর: কূটনৈতিক বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ—বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের প্রতিষ্ঠা বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির নাম ‘৩৬ জুলাই সেতু’ রাখাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের জেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। “ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক ‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন শাসক বঙ্গবন্ধু: ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এক রাষ্ট্রনির্মাতার উপাখ্যান