ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ছোট কাজে বড় অনিয়ম
ছাত্রের ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলায় ঢাবি শিক্ষক কারাগারে
খাসজমির দ্বন্দ্ব গড়াল সংঘর্ষে, আহত ৩৫
গভীর রাতে রাজধানীতে বাস ও প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়ার হিড়িক
ভিউ বাড়াতে রাম দা হাতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট শিক্ষকের
ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু
টাঙ্গাইলে ৩৮০ পিস ইয়াবাসহ শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আটক
মুন্সীগঞ্জে ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ: শিক্ষককে গণপিটুনি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন
মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুরো ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নেয় যে, তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ওই ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মাকে বিষয়টি জানালে রবিবার (২৩ নভেম্বর) স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মুহূর্তের মধ্যে অভিভাবকরা বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ
শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে হাতের কাছে পেয়ে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় রোমান মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভের সময় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই শিথিল, যার সুযোগ নিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ইসলামপুর এলাকার অভিভাবক শিমু বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে স্কুলে পাঠাই। কিন্তু শিক্ষকের মতো পবিত্র
পেশায় থেকে কেউ যদি এমন অপরাধ করে, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের আস্থা থাকবে কীভাবে?” ঘটনার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, “পিটিআইয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করেছে এবং বিষয়টি যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করার জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে হাতের কাছে পেয়ে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় রোমান মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভের সময় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই শিথিল, যার সুযোগ নিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ইসলামপুর এলাকার অভিভাবক শিমু বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে স্কুলে পাঠাই। কিন্তু শিক্ষকের মতো পবিত্র
পেশায় থেকে কেউ যদি এমন অপরাধ করে, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের আস্থা থাকবে কীভাবে?” ঘটনার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, “পিটিআইয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করেছে এবং বিষয়টি যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করার জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।



