
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নেতানিয়াহুর ভাষণ, যেসব দেশ ওয়াকআউট করল

নেতানিয়াহুর ভাষণে জাতিসংঘে প্রতিক্রিয়া দেখালেন ইসরায়েলি সেনার বাবা

এআই ব্যবহারে বৈষম্য কমাতে বৈশ্বিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব জাতিসংঘের

দুবাইয়ে যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধান গ্রেপ্তার

এবার ব্রিকস জোটের সদস্য হতে ফিলিস্তিনের আবেদন

নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা

আরাকান আর্মির ওপর হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরকান সেনাপ্রধানের
নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামফারা অঙ্গরাজ্যে একটি স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একশ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মারু স্থানীয় সরকার এলাকার কাদাউরি গ্রামে অবস্থিত ওই স্বর্ণখনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সারাদিন ধরে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও এখনো বহু মানুষ খনির ভেতরে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় খনির গভীরে শতাধিক খনিশ্রমিক কাজ করছিলেন। হঠাৎ মাটি ও পাথরের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে তারা চাপা পড়ে যান। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া সানুসি আওয়াল
নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখন পর্যন্ত ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে তার এক চাচাতো ভাইও রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধস নামার সময় ভেতরে শতাধিক খনিশ্রমিক ছিলেন। আমরা কয়েকজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। একশজনের বেশি শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ অন্য এক আহত শ্রমিক ইসা সানি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা মাটির নিচে আটকে পড়েছিলাম। সত্যি বলতে আমরা বেঁচে ফিরেছি অলৌকিকভাবে।’ জামফারা স্টেট মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদু ইসা গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারকাজে নেমে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকও দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অক্সিজেনের অভাবের কারণে ভেতরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি
বলেন, ‘এখনো অনেক মানুষ ভেতরে জীবিত বা মৃত অবস্থায় আটকে থাকতে পারেন।’ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও জামফারা অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবাকার কোনো সাড়া দেননি। ফলে সরকারি দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক হিসাব পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার জামফারা অঙ্গরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্বর্ণখনির জন্য পরিচিত। এসব খনির বড় একটি অংশ স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্বর্ণ আহরণের অর্থনৈতিক লোভে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব খনিতে কাজ করতে বাধ্য হন। এর ফলে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অবৈধ খনিগুলো থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অর্থ সংগ্রহ করে, যা ওই অঞ্চলে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলছে।
নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখন পর্যন্ত ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে তার এক চাচাতো ভাইও রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধস নামার সময় ভেতরে শতাধিক খনিশ্রমিক ছিলেন। আমরা কয়েকজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। একশজনের বেশি শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ অন্য এক আহত শ্রমিক ইসা সানি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা মাটির নিচে আটকে পড়েছিলাম। সত্যি বলতে আমরা বেঁচে ফিরেছি অলৌকিকভাবে।’ জামফারা স্টেট মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদু ইসা গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারকাজে নেমে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকও দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অক্সিজেনের অভাবের কারণে ভেতরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি
বলেন, ‘এখনো অনেক মানুষ ভেতরে জীবিত বা মৃত অবস্থায় আটকে থাকতে পারেন।’ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও জামফারা অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবাকার কোনো সাড়া দেননি। ফলে সরকারি দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক হিসাব পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার জামফারা অঙ্গরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্বর্ণখনির জন্য পরিচিত। এসব খনির বড় একটি অংশ স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্বর্ণ আহরণের অর্থনৈতিক লোভে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব খনিতে কাজ করতে বাধ্য হন। এর ফলে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অবৈধ খনিগুলো থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অর্থ সংগ্রহ করে, যা ওই অঞ্চলে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলছে।