বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
     ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৩৯ 53 ভিউ
ভারতের নিরাপত্তা মহল পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাকি পাঁচ দেশ—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক মনে করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এবারের প্রতিপাদ্য—‘ইয়ার অব রিফর্মস : ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার।’ এখানে ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে সামগ্রিক প্রতিরক্ষা কৌশল নির্ধারণ করছে। কেন বাংলাদেশকে হুমকি ভাবছে ভারত? ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে,

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতা বেড়েছে। এ ছাড়া ভারতবিরোধী বক্তব্য ও কার্যকলাপও দৃশ্যমান হচ্ছে, যা ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার গঠন বদলে যাচ্ছে। এর প্রভাব ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর পড়ছে এবং সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। পাকিস্তান ও নেপাল নিয়েও উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান এখনো জঙ্গি অর্থায়নের মাধ্যমে ভারতের জন্য বড় হুমকি হয়ে আছে। অন্যদিকে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাবও বাড়ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে বাধা। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চীন ভারত

সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত চীনকে ঘিরে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থা নিয়ে ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তাদের মতে, সীমান্তে চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য পরোক্ষ হলেও বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য কী? নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা, পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া এবং একই সঙ্গে নেপাল, বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের উদীয়মান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা। শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, বরং শান্তিকালীন সময়েও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব

দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কাঠামো, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে এ সম্মেলনের বড় অর্জন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জংলির পর সরব বুবলী, দিলেন নতুন ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ার শেল নিক্ষেপ আইসিসির সভায় এশিয়া কাপ চাইল ভারত মেয়ে মানুষের ‘গুড টাচ-ব্যাড টাচ’ বুঝতে পারার কথা: রুমানা পিতা-পুত্রের জুটি দেখল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি প্রসূন আজাদের অভিযোগের জবাব দিলেন পরীমণি টঙ্গীতে তুলার গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চীনের নৌবহরে যুক্ত হলো তৃতীয় রণতরী ফুজিয়ান চট্টগ্রামে এবার নিজ বাড়ির সামনে খুন হলেন ব‍্যবসায়ী দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি রাজনীতির মাঠে সক্রিয় চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীরা ব্রাজিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলন অনেক ঝক্কির ‘জ্যোতিই এখন সর্বেসর্বা’ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দখলে সক্রিয় সিন্ডিকেট রমনায় গির্জা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ নির্বাচনে লড়ব, দুর্নীতির অভিযোগ ‘হাস্যকর’ সোনাদিয়া নিয়ে নতুন ভূরাজনীতি: রেয়ার অর্থ রিজার্ভের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার আড়ালে বিদেশীদের দখল দেওয়ার চক্রান্ত! দ্য উইক-এ শেখ হাসিনার বিস্ফোরক নিবন্ধ: ‘অনির্বাচিত শাসকদের আগেও মোকাবেলা করেছি, দেশ এখন বারুদের স্তূপে’