
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ডেঙ্গুতে টালমাটাল চট্টগ্রাম

এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক রাখার নির্দেশ

২২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ভারত

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সাংবাদিককে হত্যার বিষয়ে যা জানা গেল

বাংলাদেশসহ চার দেশ থেকে পোশাক উৎপাদন করতে চায় এক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

যে বাড়ির সামনে কেউ জুতা পায়ে, ছাতা মাথায় হাঁটতেন না

ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার
স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার, কারাগারে ভুয়া ডাক্তার

স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে করা মামলায় স্বামী ভুয়া ডাক্তার ইমরোজ আহমেদ সারুফকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ইমরোজ আহমেদ সারুফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও রানিহাটি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরহাট হাজিপাড়ার ফিরোজ কবিরের ছেলে।
সংসদ সদস্যের প্রভাব দেখিয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এ ভুয়া ডাক্তার ৩টি বিয়ে করেন, বহু নারীর সঙ্গে করেছেন প্রতারণা।
২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামে সারাবসন তোহরারকে বিয়ে করেন ইমরোজ আহমেদ।
বর্তমানে তার ঘরে আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ২০২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসার করেন ইমরোজ আহমেদ। কিন্তু সম্প্রতি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে
দেন তিনি। পরে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সারাবান তোহরার। বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে, ঘরে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টো ইমরোজ স্ত্রী-শ্বশুরের নামে করেছেন দুটি মামলা। স্ত্রীর করা মামলায় সমাধানের শর্তে আদালতে জামিন নিয়ে পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ সময়। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তিনটি বিয়ে করেছেন ভুয়া ডাক্তার ইমরোজ আহমেদ সারুফ। এবার তার আগের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাহিন কাদির বলেন, ‘সারাবসন তোহরার করা মামলায় আসামি ইমরোজ আহমেদ
সারুফ সমাধান করে নেয়ার শর্তে জামিন নেয়। পরবর্তী সমাধান না করে উল্টো দুটি মিথ্যা মামলা দেয়। আদালতে আমরা বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় তার আগের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আমরা ইমরোজ আহমেদ সারুফ ও তার সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করে পিতৃপরিচয় নিশ্চিত ও নায্য অধিকার বুঝে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি৷’ এ ছাড়াও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের জন্য আদালতে ইমরোজ আহমেদ সারুফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। জানা যায়, এতদিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় তার দাপট দেখিয়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখালেও গত
প্রায় ১ বছর ধরে মামলার ভয় দেখাচ্ছিল স্বামী ইমরোজ। ওই নারীকেই হয়রানী করতে দুটি মামলাও করেছিল ইমরোজ। মামলার বাদী সারাবান তোহরার বলেন, ‘সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে আমাকেসহ একের পর এক তিনটি বিয়ে করেছেন ইমরোজ আহমেদ সারুফ। বিয়ের পর ভালোভাবেই সংসার চলছিল আমাদের। কিন্তু ৪ মাসের সন্তান থাকা অবস্থায় স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গেলেই অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করেন ইমরোজ। উল্টো আমাকে দিতে থাকে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি। প্রথম বউকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল ইমরোজ আহমেদ সারুফ। একইভাবে এক মেয়েসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখে আমাকে বিয়ে করে।’ সারাবান তোহরার বাবা আবু বাক্কার বলেন, ‘আমাকে যখন
মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় ইমরোজ আহমেদ সারুফ, তখন তাকে না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু নানারকম কায়দা কানুন করে মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর দফায় দফায় কাবিননামা তৈরির কথা বলতে গেলেই মেয়েকে মারধর ও নির্যাতন করা হতো। আমাকে তুলে নিয়ে এসে হত্যা করে মহানন্দা ব্রিজের নিচে মরদেহ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় জামাই ইমরোজ আহমেদ সারুফ। স্ত্রী ও সন্তানের দাবিতে আদালতে মামলা করতে গেলে উল্টো আমাদের নামেই দুটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে।’
দেন তিনি। পরে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সারাবান তোহরার। বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে, ঘরে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টো ইমরোজ স্ত্রী-শ্বশুরের নামে করেছেন দুটি মামলা। স্ত্রীর করা মামলায় সমাধানের শর্তে আদালতে জামিন নিয়ে পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ সময়। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তিনটি বিয়ে করেছেন ভুয়া ডাক্তার ইমরোজ আহমেদ সারুফ। এবার তার আগের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাহিন কাদির বলেন, ‘সারাবসন তোহরার করা মামলায় আসামি ইমরোজ আহমেদ
সারুফ সমাধান করে নেয়ার শর্তে জামিন নেয়। পরবর্তী সমাধান না করে উল্টো দুটি মিথ্যা মামলা দেয়। আদালতে আমরা বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় তার আগের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আমরা ইমরোজ আহমেদ সারুফ ও তার সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করে পিতৃপরিচয় নিশ্চিত ও নায্য অধিকার বুঝে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি৷’ এ ছাড়াও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের জন্য আদালতে ইমরোজ আহমেদ সারুফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। জানা যায়, এতদিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় তার দাপট দেখিয়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখালেও গত
প্রায় ১ বছর ধরে মামলার ভয় দেখাচ্ছিল স্বামী ইমরোজ। ওই নারীকেই হয়রানী করতে দুটি মামলাও করেছিল ইমরোজ। মামলার বাদী সারাবান তোহরার বলেন, ‘সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে আমাকেসহ একের পর এক তিনটি বিয়ে করেছেন ইমরোজ আহমেদ সারুফ। বিয়ের পর ভালোভাবেই সংসার চলছিল আমাদের। কিন্তু ৪ মাসের সন্তান থাকা অবস্থায় স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গেলেই অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করেন ইমরোজ। উল্টো আমাকে দিতে থাকে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি। প্রথম বউকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল ইমরোজ আহমেদ সারুফ। একইভাবে এক মেয়েসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখে আমাকে বিয়ে করে।’ সারাবান তোহরার বাবা আবু বাক্কার বলেন, ‘আমাকে যখন
মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় ইমরোজ আহমেদ সারুফ, তখন তাকে না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু নানারকম কায়দা কানুন করে মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর দফায় দফায় কাবিননামা তৈরির কথা বলতে গেলেই মেয়েকে মারধর ও নির্যাতন করা হতো। আমাকে তুলে নিয়ে এসে হত্যা করে মহানন্দা ব্রিজের নিচে মরদেহ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় জামাই ইমরোজ আহমেদ সারুফ। স্ত্রী ও সন্তানের দাবিতে আদালতে মামলা করতে গেলে উল্টো আমাদের নামেই দুটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে।’