
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার জার্মানি : প্রধান উপদেষ্টা

মোংলায় গাড়ি খালাসের প্রস্তাব, উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক

চা খেতে এক লাখ টাকা করে চাওয়া শুরু করেছে দুদক, অভিযোগ হাসনাতের

দেশে চালু হলো ‘গুগল পে’

আকাশসীমা খুলে দেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
সাবেক সিইসি হাবিবুল আওয়াল গ্রেপ্তার, কাল তোলা হবে আদালতে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির দায়ের করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।
কয়েকদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজী হাবিবুল আউয়ালকে খুঁজছিল বলে জানা যায় । তাকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ডিবি।
এর আগে, গত ২২ জুন রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, হাবিবুল আওয়ালকে আটক করে ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। যদিও ডিবির পক্ষ থেকে ওই রাতেই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন তাহলে হাবিবুল আওয়াল কোথায়? পরে সোমবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় অপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে তার নাম। নূরুল হুদার কমিশন আলোচনায় ছিল ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে। আর কাজী আউয়ালের
কমিশন বিতর্কিত ছিল ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে তার বেশ কিছু নেতিবাচক বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনের আওতায় আনতে জোরালো তত্পরতা চালাচ্ছি। রোববার রাতে তাকে ধরতে দুই দফায় অভিযান চালিয়েছিলাম। প্রথমে খবর পাই তিনি বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আছেন। সেখানে আমাদের টিম যাওয়ার পর জানতে পারে, কিছুক্ষণ আগেই তিনি ওই বাসা ত্যাগ করেছেন।’ পরে আরেকটি এলাকায় তার অবস্থানের তথ্য পাওয়ার পর সেখানেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।' ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর
‘আমি-ডামি ভোট' উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কমিশন। ওই কমিশনের বেশির ভাগ কার্যক্রমই ছিল বিতর্কিত। ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন। আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যদের আসামি করে রোববার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪
জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের সাবেক চারজন আইজিও। রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নূরুল হুদা এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ছাড়াও কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। যদিও ডিবির পক্ষ থেকে ওই রাতেই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন তাহলে হাবিবুল আওয়াল কোথায়? পরে সোমবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় অপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে তার নাম। নূরুল হুদার কমিশন আলোচনায় ছিল ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে। আর কাজী আউয়ালের
কমিশন বিতর্কিত ছিল ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে তার বেশ কিছু নেতিবাচক বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনের আওতায় আনতে জোরালো তত্পরতা চালাচ্ছি। রোববার রাতে তাকে ধরতে দুই দফায় অভিযান চালিয়েছিলাম। প্রথমে খবর পাই তিনি বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আছেন। সেখানে আমাদের টিম যাওয়ার পর জানতে পারে, কিছুক্ষণ আগেই তিনি ওই বাসা ত্যাগ করেছেন।’ পরে আরেকটি এলাকায় তার অবস্থানের তথ্য পাওয়ার পর সেখানেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।' ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর
‘আমি-ডামি ভোট' উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কমিশন। ওই কমিশনের বেশির ভাগ কার্যক্রমই ছিল বিতর্কিত। ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন। আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যদের আসামি করে রোববার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪
জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের সাবেক চারজন আইজিও। রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নূরুল হুদা এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ছাড়াও কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।