হেল্প ডেস্কে যাকে দেওয়া হয় তিনিই জড়ান দালালিতে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১ জানুয়ারি, ২০২৫
     ১০:২৯ অপরাহ্ণ

হেল্প ডেস্কে যাকে দেওয়া হয় তিনিই জড়ান দালালিতে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৯ 101 ভিউ
গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে হেল্প ডেস্কে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনিই দালালিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন। বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ’র বিভাগীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক ও পরিবহণ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিএ’র সেবা সহজ করতে বারবার হেল্প ডেস্ক চালু করে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত যাদের ওই কাজে যুক্ত করা হয়েছে, তারা মূল কাজ বাদ দিয়ে দালালিতে যুক্ত হয়েছেন। এমনও ঘটনা ঘটেছে, একজন তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন বিআরটিএ’র মিরপুর অফিসে দালালি করছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকদের ভোগান্তি ও দালালি থেকে বেরিয়ে আসতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির নিবন্ধনসহ

অন্যান্য কার্যক্রমে সহযোগিতার কাজটি বৈধভাবে করতে আউটসোর্সিং করে দেওয়ার কথাও ভাবছে বিআরটিএ। কেননা এখানে যারা আসেন অনেকে নিজেরা অনলাইনে এসবের আবেদন ও সেবা গ্রহণের কার্যক্রম নিজেরা করতে পারেন না। অনেকে ব্যস্ততার কারণে করতে পারেন না। এজন্য দালালদের সহযোগিতাও নেন। দালালরা বহিরাগত। অনেক সময় তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আবার কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও বদনাম পড়ছে বিআরটিএ’র ওপর। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আমাদের খুব ভাবতে হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও প্রণয়নে গ্রাহক ভোগান্তি প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, প্রায় ৬ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যুর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রিন্টজনিত জটিলতার

কারণে কাজ এগোচ্ছে না। এছাড়া অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করছে না পাসপোর্ট অফিস ও ট্রাফিক পুলিশ। একইভাবে ওই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যারা দেশের বাইরে গিয়েছেন, তারাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিআরটিএ’র অ্যাপসে সব ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর থাকার কথা থাকলেও কোনো কোনোটা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ডাক বিভাগকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ করতে পাঠানো হলেও তারা সঠিক সময় পাঠাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। অবৈধ ড্রাইভিং স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কথাও জানানো হয়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। যেটার নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য

এই ব্যবসাটা গুটিকয়েক মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশার বডি স্ট্রাকচার তৈরি করা সম্ভব হলেও নম্বরের দাম ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। এটার সংশোধন কীভাবে হতে পারে তা নিয়েও কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার বাসের সম্পর্কে তিনি জানান, ঢাকার বাসের চেহারা দেখলে তা বাস বলে মনে হয় না। এটা কোনো গণপরিবহণ হতে পারে না। এখান থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। এতে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। আগামী মে মাস থেকে সড়কে ফিটনেসবিহীন কোনো বাস-ট্রাক আর চলতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান শুরু করা

হবে। অভিযানের প্ল্যান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। বাসচালক ও কন্ডাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হবে। মতবিনিময় সভায় বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা পরিবহণ মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকার সড়কে কেউ নতুন বাস নামাতে চাইলে কেন নামানো সম্ভব হয় না। সে বিষয়গুলো মালিকদের ভেবে দেখতে হবে। পুরোনো বাস চলতে পারবে, কিন্তু নতুন বাস কেন চলতে পারবে না- এমন মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, ঢাকার বাসগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগে আরও খারাপ ছিল। আপনারা আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার পরিবহণ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি

দেখতে পাবেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন, আমাদের দেশের ড্রাইভারদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সতর্কতার বিষয় যুক্ত করতে হবে। বিদেশের সড়কে একটা বিড়ালও ঢুকতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। তিনি বলেন, তারা চান এ দেশের সড়ক দুর্ঘটনা একদম কমে যাক। বিআরটিএ ইতোমধ্যেই অনেক সেবা আপগ্রেড করেছে। ভবিষ্যতেও আরও করবে বলে প্রত্যাশা করি। কন্টাক্টে গাড়ি না চালাতে বিআরটিএ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এটা করতে পারলে অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এছাড়া সড়কের বাম লেন ক্লিয়ার রাখতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। ঢাকা সড়ক পরিবহণ

মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, তার ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স ১৯৮০ সালের। ৩ বছর আগে নবায়ন করতে দিয়েছেন, কিন্তু এখনো হাতে পাননি। ঘুস দেবেন না নিয়ত করে কাজ শুরু করেছেন। যার খেসারত তাকে গুনতে হচ্ছে। সড়ক ও পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিজেদের শুধরাতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক বাস নিরাপদে চলাচল করার উপযোগী অবকাঠামো করারও পরামর্শ দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
Under Donald Trump direction America on Wrong Direction বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে আওয়ামী লীগের দুই নেতার ওপর হামলা : বিএনপির একজন গ্রেফতার নিউইয়র্কের বাসিন্দারা দ্রব্যমূল্যের ‘ভর্তুকি চেক’ পাবেন বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ? চার মাসের জন্য খুলছে সেন্টমার্টিন ১১ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘প্রজেক্ট ১৯৭১’ প্রদর্শনী ও আলোচনা নেতানিয়াহুর ভাষণ, যেসব দেশ ওয়াকআউট করল নেতানিয়াহুর ভাষণে জাতিসংঘে প্রতিক্রিয়া দেখালেন ইসরায়েলি সেনার বাবা নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা দেশে ফের ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল যশোর একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫১৪ চূড়ান্ত হলো আর্জেন্টিনার আরও দুই ম্যাচ, জেনে নিন প্রতিপক্ষ কারা টঙ্গীতে বিস্ফোরণ : আরও একজনের মৃত্যু খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এআই ব্যবহারে বৈষম্য কমাতে বৈশ্বিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব জাতিসংঘের দুবাইয়ে যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধান গ্রেপ্তার এবার ব্রিকস জোটের সদস্য হতে ফিলিস্তিনের আবেদন নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, বহু প্রাণহানির শঙ্কা