শেখ হাসিনার দোসররা লুট করেছেন ১৭ বিলিয়ন ডলার – ইউ এস বাংলা নিউজ




শেখ হাসিনার দোসররা লুট করেছেন ১৭ বিলিয়ন ডলার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৩ 20 ভিউ
দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর ধনকুবেররা। তাদের এসব কাজে একটি গোয়েন্দা সংস্থা সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ৫ আগস্টে গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হন আহসান এইচ মনসুর। সংবাদমাধ্যমটির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকরা নেতৃস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখলে সহায়তা করেছিলেন। মনসুর বলেন, ব্যাংক দখলের পর পর আনুমানিক ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালান

স্ফীত করার মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড়, সর্বোচ্চ ব্যাংক লুটপাট। এভাবে এমন পরিসরে কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এর পেছনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। এ ছাড়া গোয়েন্দারা (ব্যাংকের সাবেক সিইওদের) মাথায় বন্দুক না রাখলে এটি ঘটতে পারে না। গভর্নর বলেন, এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার সহযোগীরা সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ন্যূনতম হিসাবে ১০ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের নামে ঋণ দিয়ে এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সাইফুল আলমের পক্ষে ল ফার্ম কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গভর্নর যে অভিযোগ করেছেন তার

কোনো সত্যতা নেই। তারা জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত প্রচারণা যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিগুলোকেও সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যে বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। অর্থনীতিতে গ্রুপের রেকর্ড এবং অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নরের অভিযোগগুলো আশ্চর্যজনক এবং অযৌক্তিক। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সংস্থাটির বক্তব্য জানতে চেষ্টা করা হলে তারা তাতে সাড়া দেননি। গত মাসে সংবাদমাধ্যমটিকে আইএমএফের সাবেক এ কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তার শাসনামলে নেতৃস্থানীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বোর্ডের সদস্যদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি থেকে

তুলে হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান এবং বন্দুকের মুখে ব্যাংকের সমস্ত শেয়ার এস আলমের কাছে বিক্রি করতে এবং তাদের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। একের পর এক ব্যাংকে তারা এটি করেছেন। একটি ব্যাংকের সাবেক সিইও এফটিকে বলেন, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের অংশ হিসেবে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশের অন্যতম বড় ঋণদাতা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাপে পড়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত এক দশকে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকিং খাতে বৈচিত্র্য এনেছে। গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ ৭টি ব্যাংকে তাদের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ

রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার গৃহযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলায় ৩৫ জন আহত ইসির ব্রিফিংয়ের আগে নামানো হলো শেখ মুজিবের ছবি ইউক্রেনকে শ্মশানে পরিণত করতে চায় পুতিন মোহাম্মদপুরে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটে ভোগান্তি চরমে চার বিসিএস থেকে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ বান্দরবানে ৩ কেএনএ সদস্য নিহত, অস্ত্র উদ্ধার পবিপ্রবিতে রাতভর র‍্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৭ অটোরিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবারো সড়ক অবরোধ মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ঐক্যকে রাখতে হবে ইস্পাত কঠিন অটুট : জামায়াত আমির রাশিয়ার ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র কতটা বিধ্বংসী? হলিউডের দুই ছবি বাংলাদেশের পর্দায় বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা ব্রিটিশ রাজার গ্যাসের জন্য ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছি