রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান ছাত্রনেতারা – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান ছাত্রনেতারা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৫৫ 69 ভিউ
শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার প্রায় তিন মাস হতে চলল। তাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলমান। তার পদত্যাগ নিয়ে এখন ধোঁয়াশা কাজ করছে। এর কারণ শেখ হাসিনা নিজেই। তিনি কিছুদিন আগে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। যে কোনো সময় চট করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন। এর পর মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে সাবেক একনায়ক হাসিনা সত্যিই কি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করে থাকলে তার পদত্যাগপত্রই বা কার কাছে? গত ১৯ অক্টোবর সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’ ও দৈনিক মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে লেখেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে হাসিনার

পদত্যাগপত্র নেই বলে তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে রেখে বলেছিলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি’। রাষ্ট্রপ্রধানের এই দ্বিমুখী বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির যুগান্তরকে বলেছেন, ৫ তারিখের পর থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। শেখ হাসিনা বারবার ফোন রেকর্ড ছেড়ে দিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা মিছিল করছে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি অতীতে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করেছেন।

সে ফ্যাসিবাদ কায়েমে জড়িত ছিলেন। নানাভাবে রাষ্ট্রপতি পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করছেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি দুরকম কথা বলছেন। ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মো. জাহিদুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করে যুগান্তরকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির মতো দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদে থেকে দ্বিমুখী বক্তব্য দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তিনি একদিকে নিজেই দাবি করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, অন্যদিকে এখন আবার বলছেন যে, তিনি কোনো দালিলিক প্রমাণ পাননি। রাষ্ট্রপতির এই ধরনের বক্তব্য জাতির সঙ্গে প্রতারণার সামিল এবং এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। মো. জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, সরকার গঠনের আড়াই মাস পর রাষ্ট্রপতির এমন অসঙ্গতিপূর্ণ

বক্তব্য আমাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে এবং আমরা একে ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, এ ধরনের অস্পষ্টতা ও দ্বিচারিতার কারণে রাষ্ট্রপতির নৈতিকভাবে আর এই পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তাই আমরা তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি।’ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. রাশেদ খান যুগান্তরকে বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি নিজে গ্রহণ করেছেন এটা নিজেই বলেছেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট রাষ্ট্রপতি আবারও একটি ‘কু’ করার চক্রান্ত করছে। জনগণ এখনও সচেতন এবং রাস্তায় আছে। কোনো অবৈধ চেষ্টা করলে জনগণ তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। রাশেদ আরও বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। এবং

এখনও তার হয়েই কাজ করছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব তাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। কোনো আইন মেনে বিপ্লব হয়নি। তাই কোনো আইনের দোহায় না দিয়ে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়া দরকার। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে না সরালে তিনি শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
২২ বছরের সংসার ভাঙল জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল বাংলাদেশিদের জন্য মিসরের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা নেই যে কারণে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা নিবন্ধন আবেদন: সব দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ ৫৫৬ কোটি ব্যয়ে এক কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার সিরিয়া ও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু সুদানে আরএসএফ-র হামলায় নিহত ৩০০ বিটকয়েনের ইতিহাসে রেকর্ড দাম যুদ্ধবিরতিতে আস্থা নেই, নতুন করে প্রস্তুত ইরান সরকার মাতারবাড়ীতে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স করবে দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ‘খেলা ছাড়ার সময় এখনো আসেনি’ ক্লাব বিশ্বকাপকে কি সফল বলা যায়? সৌদিতে বিদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশনা মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৫ চরমপন্থিদের হাতে খুন, জেলে বসে পরিকল্পনা!