ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
দু-একদিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
ভারত ইস্যু গভীরভবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষার আহ্বান’
আ’লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যে সংবাদের প্রতিবাদ
বিএনপির ৩ গ্রুপ একে অপরকে ছাড় দিতে নারাজ
লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কোন্দল এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। তিনটি গ্রুপই নিজেদের শক্তির মহড়া প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে চরম আকার ধারণ করেছে।
সম্প্রতি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছে একটি পক্ষ। এ নিয়ে এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
দীর্ঘদিন স্বৈরচারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল করতে পারেনি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পর পরই প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিং করছেন নেতাকর্মীরা। তবে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে মিছিল-মিটিং হওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ হচ্ছেন। মূলত ২০২০ সালে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল। চার বছরেও করতে পারেনি
পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অভিযোগ উঠেছে— দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার ফলে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছাড়তে নারাজ। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির তিনটি গ্রুপ হলো— বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন গ্রুপ, সাবেক সভাপতি আসহাব উদ্দিন ও সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান গ্রুপ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ছলিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন গ্রুপ। স্বৈরচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর প্রতিটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে পালন করে নানা কর্মসূচি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ১৭ বছর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কোনো সভা-সমাবেশ হয়নি। এ ছাড়া আহ্বায়ক কমিটিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যার কারণে বর্তমানে উপজেলা বিএনপি তিন গ্রুপে বিভক্ত এবং একে
অপরকে ছাড় দিতে নারাজ। এদিকে লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন করে পালটাপালটি কমিটি গঠন করেন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। এতে আরও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর প্রকাশ্যে কোন্দল আরও বেড়ে যায়। উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বলেন, বিএনপি হচ্ছে বড় দল। বড় দল হিসেবে গ্রুপিং বা দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তবে দলের হাইকমান্ড নির্দেশ দিলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিছু সংখ্যাঘরিষ্ঠ নেতাকর্মী নিজেদের আধিপত্য ও বংশগত বিস্তার করার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করবে। দল যাদের পদ পদবি দেবে, তারাই দল ঘোছানোর কাজ করবে। প্রবীণ বিএনপি যারা নামধারী আন্দোলন করছে গোষ্ঠীর অস্তিত্ব
বজায় রাখার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করেছে। কিছু নামধারী বিএনপি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তারা নিজেদের অস্থিত্ব জিয়ে রাখার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করে রেখেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য ছলিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন বলেন, উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও সাবেক ছাত্র নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। মনগড়া আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়াতে গ্রুপিং সৃষ্টি হওয়ার মূলকারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। লোহাগাড়া বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তিন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় আমি ও আমার নেতাকর্মীরা গায়েবী মামলাসহ জেল খেটেছে। তবে
বিভক্ত বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি যে নির্দেশনা দেবেন তা মেনে নেব। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, উপজেলা বিএনপিতে পদ পদবী না থাকলে গ্রুপিং করে এটি কিসের ইঙ্গিত বুঝে নিতে হবে। সাবেকরা বিরোধ করবে কেন, মুরব্বি হিসেবে দলকে সামনে নিয়ে যাবে। আমদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নয় তারাই গ্রুপিং গ্রুপিং খেলাটা জমিয়ে রেখেছে। আহ্বায়ক কমিটি গঠনে সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র মেনে গঠন হয়েছে। এখানে সাবেক নেতাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিটি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পরও কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ইউনিয়নে সম্মেলন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে
সম্মেলন করতে জেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেশের অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন করা হয়নি। যারা গ্রুপিং করছে, বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরচারী সরকার পতনের আগে মাঠে ছিল কিনা। সরকার পতনের পর কেন গ্রুপিং কেন শুরু করছে ভাবার বিষয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অভিযোগ উঠেছে— দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার ফলে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছাড়তে নারাজ। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির তিনটি গ্রুপ হলো— বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন গ্রুপ, সাবেক সভাপতি আসহাব উদ্দিন ও সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান গ্রুপ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ছলিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন গ্রুপ। স্বৈরচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর প্রতিটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে পালন করে নানা কর্মসূচি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ১৭ বছর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কোনো সভা-সমাবেশ হয়নি। এ ছাড়া আহ্বায়ক কমিটিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যার কারণে বর্তমানে উপজেলা বিএনপি তিন গ্রুপে বিভক্ত এবং একে
অপরকে ছাড় দিতে নারাজ। এদিকে লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন করে পালটাপালটি কমিটি গঠন করেন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। এতে আরও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর প্রকাশ্যে কোন্দল আরও বেড়ে যায়। উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বলেন, বিএনপি হচ্ছে বড় দল। বড় দল হিসেবে গ্রুপিং বা দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তবে দলের হাইকমান্ড নির্দেশ দিলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিছু সংখ্যাঘরিষ্ঠ নেতাকর্মী নিজেদের আধিপত্য ও বংশগত বিস্তার করার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করবে। দল যাদের পদ পদবি দেবে, তারাই দল ঘোছানোর কাজ করবে। প্রবীণ বিএনপি যারা নামধারী আন্দোলন করছে গোষ্ঠীর অস্তিত্ব
বজায় রাখার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করেছে। কিছু নামধারী বিএনপি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তারা নিজেদের অস্থিত্ব জিয়ে রাখার জন্য গ্রুপিং সৃষ্টি করে রেখেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য ছলিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন বলেন, উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও সাবেক ছাত্র নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। মনগড়া আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়াতে গ্রুপিং সৃষ্টি হওয়ার মূলকারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। লোহাগাড়া বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তিন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় আমি ও আমার নেতাকর্মীরা গায়েবী মামলাসহ জেল খেটেছে। তবে
বিভক্ত বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি যে নির্দেশনা দেবেন তা মেনে নেব। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, উপজেলা বিএনপিতে পদ পদবী না থাকলে গ্রুপিং করে এটি কিসের ইঙ্গিত বুঝে নিতে হবে। সাবেকরা বিরোধ করবে কেন, মুরব্বি হিসেবে দলকে সামনে নিয়ে যাবে। আমদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নয় তারাই গ্রুপিং গ্রুপিং খেলাটা জমিয়ে রেখেছে। আহ্বায়ক কমিটি গঠনে সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র মেনে গঠন হয়েছে। এখানে সাবেক নেতাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিটি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পরও কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ইউনিয়নে সম্মেলন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে
সম্মেলন করতে জেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেশের অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন করা হয়নি। যারা গ্রুপিং করছে, বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরচারী সরকার পতনের আগে মাঠে ছিল কিনা। সরকার পতনের পর কেন গ্রুপিং কেন শুরু করছে ভাবার বিষয়।