ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল
সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান
‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
খুলনায় ‘অনুকূল’ পরিবেশে দল গোছাচ্ছে জামায়াত
সরকারের সুতোয় টান কোথা থেকে আসছে জানতে চায় জনগণ : রিজভী
পুতুল নাচের ন্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের সুতার টান অন্য কোথাও থেকে আসছে কি না সেটা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আমরা এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে আছি এবং জনগণ যেন একটা প্যারাডক্সের মধ্যে আছে। শুনলাম সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কয়েকদিন পর শুনলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে ঘুরাফেরা করছেন। আবার শুনলাম তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার দুই-তিন দিন পরে শুনলাম তিনি গ্রেপ্তার
হননি। জনগণের সঙ্গে এই প্রতারণা কীসের জন্য? জনগণের সামনে এই লুকোচুরি কীসের জন্য? এটাতো জনগণ জানতে চায়। তিনি বলেন, জনগণের ভোট, জনগণের ম্যান্ডেট, যারা মাইকিং করে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে নিজেদের মতো করে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেসব মন্ত্রীরা অপরাধ করেছে, অবিচার করেছে তাদের ধরা না ধরা, গ্রেপ্তার হওয়া না হওয়া এইটা নিয়ে এই ধরনের লুকোচুরি কেন খেলছেন? জনগণ কি প্রশ্ন করতে পারে না? সেই সুতোর টানে আপনারা নাচানাচি করছেন। এটাতো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে দেখলাম রাজশাহীর সারদাতে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫২ জন পুলিশ কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ বাদ দেওয়ার কথা ছিল ৮০৩ জনকে। এদের কেন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কারণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, জয়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, তাদের টাকা পাচারের বিরুদ্ধে তাদের সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যারা লিখবে এই পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অত্যাচার করবে। তাদের ওপর অবিচার করবে তাদের নির্মমভাবে প্রহার করবে বিএনপি নেতাকর্মীদের আঙুলের ভেতরে সুই ঢুকাবে তাদের কানে-পায়ে ইলেকট্রিক শর্ট দিতে হবে। এ কারণে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তাদের অব্যাহতি দেওয়া তাদের চাকরিতে না নেওয়া এই দাবি কি অন্যায় দাবি? এটা অন্যায় দাবি নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি কেউ কি শেখ হাসিনার অত্যাচার এবং গুম থেকে রেহাই পেয়েছে? জাকির, সুমন আরও কত জনের কথা বলব। বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলী একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চৌধুরী আলম জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সালাউদ্দিন আহমেদ স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মন্ত্রী ছিলেন তাকেও ৬২ দিন আটকে রেখে ইন্ডিয়াতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা কি আবার সেই আমলের পুনরাবৃত্তি করবে? আমরা কি সেই দুঃসহ, দুর্বিষহ পরিস্থিতি আবার আনব? আইনের শাসনের বদলে যুবলীগের শাসন চলবে। আওয়ামী লীগের শাসন চলবে। আমাদের এত আত্মত্যাগ ১৫-১৬ বছর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা
অকাতরে জীবন দিয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে তার স্ত্রীর সামনে, মায়ের সামনে, বাবার সামনে থেকে হত্যা করা হয়েছে। কারো কারো লাশ পাওয়া গেছে তিন-চারদিন পর তুরাগ নদীতে, শীতলক্ষ্যা নদীতে। এই ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাগ্যের লিখন। এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ আর র্যাব। সেই শাসন কি আবার ফিরে আসবে। সেই শাসন আর ফিরে আসতে পারেনা। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনও কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেনি। এ মামলাতো ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো প্রত্যাহার হচ্ছে না? এর কারণ কি দেশবাসী
জানতে চায়? আপনাদের অন্তরের ভাষা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। ছাত্র জনতার তুমুল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন দিয়েছি। এই সমর্থনের পরেও তারা যদি আলো ছায়ার মধ্যে ধুলতে থাকে তাহলে তো সামনের দিকে একটা বিপদজনক বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে মন্থরগতি লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের নীল নকসার অংশ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদ
আওয়াল প্রমুখ।
হননি। জনগণের সঙ্গে এই প্রতারণা কীসের জন্য? জনগণের সামনে এই লুকোচুরি কীসের জন্য? এটাতো জনগণ জানতে চায়। তিনি বলেন, জনগণের ভোট, জনগণের ম্যান্ডেট, যারা মাইকিং করে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে নিজেদের মতো করে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেসব মন্ত্রীরা অপরাধ করেছে, অবিচার করেছে তাদের ধরা না ধরা, গ্রেপ্তার হওয়া না হওয়া এইটা নিয়ে এই ধরনের লুকোচুরি কেন খেলছেন? জনগণ কি প্রশ্ন করতে পারে না? সেই সুতোর টানে আপনারা নাচানাচি করছেন। এটাতো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে দেখলাম রাজশাহীর সারদাতে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫২ জন পুলিশ কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ বাদ দেওয়ার কথা ছিল ৮০৩ জনকে। এদের কেন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কারণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, জয়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, তাদের টাকা পাচারের বিরুদ্ধে তাদের সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যারা লিখবে এই পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অত্যাচার করবে। তাদের ওপর অবিচার করবে তাদের নির্মমভাবে প্রহার করবে বিএনপি নেতাকর্মীদের আঙুলের ভেতরে সুই ঢুকাবে তাদের কানে-পায়ে ইলেকট্রিক শর্ট দিতে হবে। এ কারণে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তাদের অব্যাহতি দেওয়া তাদের চাকরিতে না নেওয়া এই দাবি কি অন্যায় দাবি? এটা অন্যায় দাবি নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি কেউ কি শেখ হাসিনার অত্যাচার এবং গুম থেকে রেহাই পেয়েছে? জাকির, সুমন আরও কত জনের কথা বলব। বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলী একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চৌধুরী আলম জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সালাউদ্দিন আহমেদ স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মন্ত্রী ছিলেন তাকেও ৬২ দিন আটকে রেখে ইন্ডিয়াতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা কি আবার সেই আমলের পুনরাবৃত্তি করবে? আমরা কি সেই দুঃসহ, দুর্বিষহ পরিস্থিতি আবার আনব? আইনের শাসনের বদলে যুবলীগের শাসন চলবে। আওয়ামী লীগের শাসন চলবে। আমাদের এত আত্মত্যাগ ১৫-১৬ বছর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা
অকাতরে জীবন দিয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে তার স্ত্রীর সামনে, মায়ের সামনে, বাবার সামনে থেকে হত্যা করা হয়েছে। কারো কারো লাশ পাওয়া গেছে তিন-চারদিন পর তুরাগ নদীতে, শীতলক্ষ্যা নদীতে। এই ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাগ্যের লিখন। এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ আর র্যাব। সেই শাসন কি আবার ফিরে আসবে। সেই শাসন আর ফিরে আসতে পারেনা। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনও কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেনি। এ মামলাতো ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে মামলা এখনো প্রত্যাহার হচ্ছে না? এর কারণ কি দেশবাসী
জানতে চায়? আপনাদের অন্তরের ভাষা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। ছাত্র জনতার তুমুল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন দিয়েছি। এই সমর্থনের পরেও তারা যদি আলো ছায়ার মধ্যে ধুলতে থাকে তাহলে তো সামনের দিকে একটা বিপদজনক বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে মন্থরগতি লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের নীল নকসার অংশ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদ
আওয়াল প্রমুখ।