ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে কারণে তেহরান থেকে রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইরান
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল, বাইডেনকে কী জানালেন জেলেনস্কি?
কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি হামলায় আহত ৮
বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ কবে, জানাল হোয়াইট হাউস
ভূগর্ভস্থ সংরক্ষণাগারে ‘নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র’ তৈরির দাবি ইরানের
‘যেন বোমা হামলা হয়েছে, এ যেন যুদ্ধের দৃশ্য’ দাবানল সম্পর্কে বাইডেন
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের পেছনে কারণ কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দাবানলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
পাহাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেইডস এলাকায় জেমি লি কার্টিস ও বিলি ক্রিস্টালের মতো হলিউড তারকাদের বাড়ি। দাবানলে তাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, প্যাসিফিক প্যালিসেইডসের পিয়েডরা মোরাডা ড্রাইভ এলাকার একটি বাড়ির পেছনে ঝোড়ো বাতাসময় ওই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে।
ন্যাশনাল ফায়ার প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ হলো বজ্রপাত। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব দিক থেকে। সেখানকার
প্যালিসেইডস এলাকা বা ইটনের দাবানলকবলিত এলাকার আশপাশে বজ্রপাত হয়েছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই সব এলাকায় দাবানলে শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর আরও দুটি সাধারণ কারণের প্রসঙ্গ চলে আসে। এর একটি হলো ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং বৈদ্যুতিক লাইনে স্ফুলিঙ্গ হওয়া। ১৯৯১ সালে অকল্যান্ড হিলসের দাবানলসহ ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় বড় দাবানলের ঘটনায় তদন্ত করার অভিজ্ঞতা আছে জন লেন্টিনির। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সায়েন্টিফিক ফায়ার অ্যানালিসিসের স্বত্বাধিকারী তিনি। লেন্টিনি বলেন, দাবানলের আকার পরিবর্তন হলেই যে এর কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্তের ধরনে পরিবর্তন আনতে, হবে তা নয়। লেন্টিনি আরও বলেন, এটা একসময় ছোট আকারের দাবানল ছিল। কোথায় দাবানলের শুরুটা হয়েছে, দাবানলের উৎস কী, তা নির্ধারণ,
উৎসের আশপাশ খতিয়ে দেখা এবং এর কারণ নির্ধারণের দিকে বেশি মনোযোগ দেবে মানুষ। এখন পর্যন্ত এ দাবানলের ঘটনায় অগ্নিসংযোগের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক লাইন থেকেও আগুন লাগার ইঙ্গিত মেলেনি। ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশনের (সিপিইউসি) যোগাযোগ পরিচালক টেরি প্রসপার বলেন, দাবানলের ঘটনায় বৈদ্যুতিক কোনো কারণের যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা করলে কর্তৃপক্ষকে ই–মেইলের মাধ্যমে কমিশনে জানাতে হয়। সিপিইউসির কর্মীরা তখন এ ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্য আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন। ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলের ঘটনাগুলোর একটি ঘটেছিল। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন পাওয়ার কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, প্রচণ্ড বাতাসের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ হলে দাবানল
ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয় এবং ৪৪০ বর্গমাইলের বেশি এলাকা পুড়ে যায়। বৈদ্যুতিক পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন গতকাল শুক্রবার পাসাডেনার নিকটবর্তী ইটন এলাকার দাবানল নিয়ে সিপিইউসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এডিসন কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে তাদের কোনো সরঞ্জামের যোগসূত্র থাকার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে বিমা কোম্পানির আইনজীবীদের কাছ থেকে প্রমাণ সংরক্ষণের নোটিশ পাওয়ার পর সতর্কতামূলকভাবে তারা প্রতিবেদনটি দিয়েছে। বজ্রপাত, অগ্নিসংযোগ, বৈদ্যুতিক লাইন ছাড়াও অনেক সময় আবর্জনা পোড়ানো এবং আতশবাজি ফুটানো থেকেও দাবানলের সূত্রপাত হতে পারে। তা ছাড়া দুর্ঘটনায় অসংখ্য উৎস থেকেই আগুন ছড়াতে পারে। বিবিসির খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে এক দম্পতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনে বেশি
ধোঁয়া তৈরি করে—এমন বিশেষ ধরনের আতশবাজি পোড়াতে গেলে বড় আকারে দাবানল ছড়িয়েছিল। তখন প্রায় ৩৬ বর্গমাইল এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। এতে ৫টি বাড়ি এবং আরও ১৫টি ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক অগ্নিনির্বাপণকর্মী প্রাণ হারান। ইটন ও প্যালিসেইডস এলাকার দাবানল এখনো জ্বলছে। গতকাল নাগাদ তা সামান্য নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বাতাসের বেগ কমেছে। তবে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। মাইলের পর মাইল শুকনা জায়গা পুড়িয়ে দিচ্ছে দাবানল। লেন্টিনি বলেন, আবহাওয়ার বদল হলেই কেবল দাবানল থামতে পারে।
প্যালিসেইডস এলাকা বা ইটনের দাবানলকবলিত এলাকার আশপাশে বজ্রপাত হয়েছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই সব এলাকায় দাবানলে শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর আরও দুটি সাধারণ কারণের প্রসঙ্গ চলে আসে। এর একটি হলো ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং বৈদ্যুতিক লাইনে স্ফুলিঙ্গ হওয়া। ১৯৯১ সালে অকল্যান্ড হিলসের দাবানলসহ ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় বড় দাবানলের ঘটনায় তদন্ত করার অভিজ্ঞতা আছে জন লেন্টিনির। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সায়েন্টিফিক ফায়ার অ্যানালিসিসের স্বত্বাধিকারী তিনি। লেন্টিনি বলেন, দাবানলের আকার পরিবর্তন হলেই যে এর কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্তের ধরনে পরিবর্তন আনতে, হবে তা নয়। লেন্টিনি আরও বলেন, এটা একসময় ছোট আকারের দাবানল ছিল। কোথায় দাবানলের শুরুটা হয়েছে, দাবানলের উৎস কী, তা নির্ধারণ,
উৎসের আশপাশ খতিয়ে দেখা এবং এর কারণ নির্ধারণের দিকে বেশি মনোযোগ দেবে মানুষ। এখন পর্যন্ত এ দাবানলের ঘটনায় অগ্নিসংযোগের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক লাইন থেকেও আগুন লাগার ইঙ্গিত মেলেনি। ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশনের (সিপিইউসি) যোগাযোগ পরিচালক টেরি প্রসপার বলেন, দাবানলের ঘটনায় বৈদ্যুতিক কোনো কারণের যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা করলে কর্তৃপক্ষকে ই–মেইলের মাধ্যমে কমিশনে জানাতে হয়। সিপিইউসির কর্মীরা তখন এ ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্য আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন। ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলের ঘটনাগুলোর একটি ঘটেছিল। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন পাওয়ার কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, প্রচণ্ড বাতাসের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ হলে দাবানল
ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয় এবং ৪৪০ বর্গমাইলের বেশি এলাকা পুড়ে যায়। বৈদ্যুতিক পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন গতকাল শুক্রবার পাসাডেনার নিকটবর্তী ইটন এলাকার দাবানল নিয়ে সিপিইউসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এডিসন কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে তাদের কোনো সরঞ্জামের যোগসূত্র থাকার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে বিমা কোম্পানির আইনজীবীদের কাছ থেকে প্রমাণ সংরক্ষণের নোটিশ পাওয়ার পর সতর্কতামূলকভাবে তারা প্রতিবেদনটি দিয়েছে। বজ্রপাত, অগ্নিসংযোগ, বৈদ্যুতিক লাইন ছাড়াও অনেক সময় আবর্জনা পোড়ানো এবং আতশবাজি ফুটানো থেকেও দাবানলের সূত্রপাত হতে পারে। তা ছাড়া দুর্ঘটনায় অসংখ্য উৎস থেকেই আগুন ছড়াতে পারে। বিবিসির খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে এক দম্পতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনে বেশি
ধোঁয়া তৈরি করে—এমন বিশেষ ধরনের আতশবাজি পোড়াতে গেলে বড় আকারে দাবানল ছড়িয়েছিল। তখন প্রায় ৩৬ বর্গমাইল এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। এতে ৫টি বাড়ি এবং আরও ১৫টি ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক অগ্নিনির্বাপণকর্মী প্রাণ হারান। ইটন ও প্যালিসেইডস এলাকার দাবানল এখনো জ্বলছে। গতকাল নাগাদ তা সামান্য নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বাতাসের বেগ কমেছে। তবে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। মাইলের পর মাইল শুকনা জায়গা পুড়িয়ে দিচ্ছে দাবানল। লেন্টিনি বলেন, আবহাওয়ার বদল হলেই কেবল দাবানল থামতে পারে।