ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিপিএল এক সপ্তাহ পেছাল, শুরু ২৬ ডিসেম্বর
প্রথম টি২০তে ৩৯ রানে হারল বাংলাদেশ
৪০ পেরিয়ে রোনালদোর অবিশ্বাস্য বাইসাইকেল কিক গোল
বিপিএল শুরুর সময় জানাল বিসিবি
টি-টোয়েন্টিতে মালয়েশিয়ার অলরাউন্ডারের বিরল কীর্তি
পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা
যত ইচ্ছা সমালোচনা করতে বললেন তাওহিদ
তাওহিদ হৃদয় যেন অভিমান জমিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন! চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার প্রথম টি২০তে দল হারলেও তাওহিদ নিজে অবশ্য ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেললেন। তবু তার ইনিংসটি ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে টি২০ দলের হঠাৎ ছন্দপতন। সর্বশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি২০সহ টানা চার ম্যাচ হারল বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাওহিদ প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন।
ছুটে আসা একেকটি ‘বাউন্সার’ নিজের মতো করে ‘ডাক’ করেন তাওহিদ। হারের পেছনে একটি বড় জুটির আক্ষেপ যেমন ছিল, তেমনি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ হারানো দল ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাসের কথাও জানান এই ব্যাটার। একপর্যায়ে তাওহিদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ
ঘটে মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্নে। এই বিভাগে তাওহিদ নিজে আজ ভালো একটি ইনিংস খেললেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার নাম হয়ে উঠেছে এই মিডলঅর্ডার। গত কয়েকটি সিরিজে অনেকভাবে চেষ্টা করেও ফল মিল ছিল না। মিডল অর্ডার নিয়ে সমালোচনার জবাবে তাওহিদের উত্তর, ‘এটা তো স্বাভাবিক যে আপনি আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করবেন। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আপনারা যত ইচ্ছা সমালোচনা করবেন। এটা আপনাদের অধিকার। আপনারা করেনও। তবে এখান থেকেও ইতিবাচক কিছু পাওয়া যেতে পারে। আপনার কথায় আমাদের অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। অবশ্যই এটা ইতিবাচকভাবে দেখছি। সমালোচনা করার সঙ্গে নিজের একটি অনুরোধের কথাও জানান তাওহিদ, ‘আমি অনুরোধ করতে পারি, আপনারা যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন।
আমরা তো বাঙালি। অনেক সময় একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তা চলতেই থাকে। ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। তবে আমি চাই আপনারা সমালোচনা করেন।‘ আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে টানা হারের মধ্যে থাকলেও দল নিয়ে ইতিবাচক তাওহিদ, ‘আমার মনে হয়, দল ভালোভাবেই গুছানো আছে। কারণ সব খেলোয়াড়রা গত এক বছর অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে। সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। সুযোগ পেলে সবাই কাজে লাগাবে।‘ সমালোচনাকে আলিঙ্গন করে নিতে দুহাত বাড়িয়ে রাখলেন তাওহিদ হৃদয়। সমালোচনা থেকেও ইতিবাচক কিছু মিলতে পারে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তার একটি অনুরোধ, সমালোচনাগুলো যেন যুক্তি দিয়ে হয়। হৃদয় যখন কথাগুলি বলছেন, তখন আসলে সমালোচনার মুখে তিনি ছিলেন না।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন, দলের ১৪২ রানে তিনি একাই করেছেন অপরাজিত ৮৩। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনেও স্বাভাবিকভাবে এলেন তিনিই। প্রথমেই তাকে শুনতে হলো, এমন পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা কতটা কঠিন? হৃদয় অবশ্য বললেন, তার কঠিন মনে হচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচটা তো ছিল বাংলাদেশের জন্য কঠিন, সময়টাও এখন কঠিন। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম টি২০তে সেভাবে লড়াই করতেই পারেনি লিটন কুমার দাসের দল। আগের সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। সমালোচনার অধিকার চর্চার আহবান জানিয়ে রাখলেও একটি শর্ত তিনি জুড়ে দিলেন। সেখানে যেন কোনো ভালো বার্তা থাকে, কোনো কিছু যেন টেনে লম্বা না করা হয়। তিনি বলেন,‘ আমি অনুরোধ করছি
যে, আপনারা অবশ্যই যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন। মানে, কিছু সময় আছে যে, আমরা বাঙালি অনেক সময় একটা শুরু করলে ওটা নিয়েই চলতে থাকে। জিনিসটা এমন যেন না হয়। (সমালোচনা) অবশ্যই করবেন। আমি চাই আপনারা করেন। এখান থেকে তো অনেক কিছু আমাদের ম্যাসেজ আমরাও পেতে পারি, যদি ভালো কিছু হয়।” হৃদয় এই ম্যাচে রান করলেও তাকে নিয়ে গত কিছুদিনে সমালোচনা কম হয়নি। সেটা নিয়ে তার ভেতরে খেদ আছে বলেই ফুটে উঠল আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে। গত কয়েক মাসে রান তিনি টুকটাক করে গেছেন বটে, তবে ব্যাটিং খুব সাবলীল ছিল না, ইনিংস বড় হচ্ছিল না। বিপিএলে তাকে খেলতে দেখা যায় টপ অর্ডারে, যেখান থেকে
বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকে। জাতীয় দলে তার ভূমিকা ভিন্ন। এজন্যই তার সহজাত ব্যাটিং ব্যাহত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তার উত্তরে মিশে থাকল একটু অন্যরকম সুর। তিনি বলেন,‘ আমার কাছে তো এরকম মনে হয়নি (ওপরের দিকে ব্যাট করতে হবে)। কারণ ক্রিকেট খেলা তো শুধু আমার একার খেলা নয়। যেহেতু এটা দলীয় খেলা, এই মুহূর্তে ওপরের দিকে খেলার মতো আসলে কোনো জায়গা আমার নেই। আপনারা অনেকে হয়তো ভাবেন, আমি দলে থাকার মতোও নই। তো ভাই, আমি যেখানে আছি, ভালো আছি। (ওপরে) যারা আছে, ওরা অনেক ভালো টাচে আছে। সবাই খুব ভালো শেইপে আছে। পারফর্মও করছে, যদি আপনারা ভালোভাবে দেখেন। দিনশেষে, এত
আফসোসের কিছু নাই। এটা পার্ট অফ লাইফ। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই, যতটুকু অবদান রাখতে পারি দলের জন্য।’
ঘটে মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্নে। এই বিভাগে তাওহিদ নিজে আজ ভালো একটি ইনিংস খেললেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার নাম হয়ে উঠেছে এই মিডলঅর্ডার। গত কয়েকটি সিরিজে অনেকভাবে চেষ্টা করেও ফল মিল ছিল না। মিডল অর্ডার নিয়ে সমালোচনার জবাবে তাওহিদের উত্তর, ‘এটা তো স্বাভাবিক যে আপনি আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করবেন। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আপনারা যত ইচ্ছা সমালোচনা করবেন। এটা আপনাদের অধিকার। আপনারা করেনও। তবে এখান থেকেও ইতিবাচক কিছু পাওয়া যেতে পারে। আপনার কথায় আমাদের অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। অবশ্যই এটা ইতিবাচকভাবে দেখছি। সমালোচনা করার সঙ্গে নিজের একটি অনুরোধের কথাও জানান তাওহিদ, ‘আমি অনুরোধ করতে পারি, আপনারা যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন।
আমরা তো বাঙালি। অনেক সময় একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তা চলতেই থাকে। ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। তবে আমি চাই আপনারা সমালোচনা করেন।‘ আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে টানা হারের মধ্যে থাকলেও দল নিয়ে ইতিবাচক তাওহিদ, ‘আমার মনে হয়, দল ভালোভাবেই গুছানো আছে। কারণ সব খেলোয়াড়রা গত এক বছর অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে। সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। সুযোগ পেলে সবাই কাজে লাগাবে।‘ সমালোচনাকে আলিঙ্গন করে নিতে দুহাত বাড়িয়ে রাখলেন তাওহিদ হৃদয়। সমালোচনা থেকেও ইতিবাচক কিছু মিলতে পারে বলেই মনে করেন তিনি। তবে তার একটি অনুরোধ, সমালোচনাগুলো যেন যুক্তি দিয়ে হয়। হৃদয় যখন কথাগুলি বলছেন, তখন আসলে সমালোচনার মুখে তিনি ছিলেন না।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন, দলের ১৪২ রানে তিনি একাই করেছেন অপরাজিত ৮৩। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনেও স্বাভাবিকভাবে এলেন তিনিই। প্রথমেই তাকে শুনতে হলো, এমন পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা কতটা কঠিন? হৃদয় অবশ্য বললেন, তার কঠিন মনে হচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচটা তো ছিল বাংলাদেশের জন্য কঠিন, সময়টাও এখন কঠিন। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম টি২০তে সেভাবে লড়াই করতেই পারেনি লিটন কুমার দাসের দল। আগের সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। সমালোচনার অধিকার চর্চার আহবান জানিয়ে রাখলেও একটি শর্ত তিনি জুড়ে দিলেন। সেখানে যেন কোনো ভালো বার্তা থাকে, কোনো কিছু যেন টেনে লম্বা না করা হয়। তিনি বলেন,‘ আমি অনুরোধ করছি
যে, আপনারা অবশ্যই যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন। মানে, কিছু সময় আছে যে, আমরা বাঙালি অনেক সময় একটা শুরু করলে ওটা নিয়েই চলতে থাকে। জিনিসটা এমন যেন না হয়। (সমালোচনা) অবশ্যই করবেন। আমি চাই আপনারা করেন। এখান থেকে তো অনেক কিছু আমাদের ম্যাসেজ আমরাও পেতে পারি, যদি ভালো কিছু হয়।” হৃদয় এই ম্যাচে রান করলেও তাকে নিয়ে গত কিছুদিনে সমালোচনা কম হয়নি। সেটা নিয়ে তার ভেতরে খেদ আছে বলেই ফুটে উঠল আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে। গত কয়েক মাসে রান তিনি টুকটাক করে গেছেন বটে, তবে ব্যাটিং খুব সাবলীল ছিল না, ইনিংস বড় হচ্ছিল না। বিপিএলে তাকে খেলতে দেখা যায় টপ অর্ডারে, যেখান থেকে
বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকে। জাতীয় দলে তার ভূমিকা ভিন্ন। এজন্যই তার সহজাত ব্যাটিং ব্যাহত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তার উত্তরে মিশে থাকল একটু অন্যরকম সুর। তিনি বলেন,‘ আমার কাছে তো এরকম মনে হয়নি (ওপরের দিকে ব্যাট করতে হবে)। কারণ ক্রিকেট খেলা তো শুধু আমার একার খেলা নয়। যেহেতু এটা দলীয় খেলা, এই মুহূর্তে ওপরের দিকে খেলার মতো আসলে কোনো জায়গা আমার নেই। আপনারা অনেকে হয়তো ভাবেন, আমি দলে থাকার মতোও নই। তো ভাই, আমি যেখানে আছি, ভালো আছি। (ওপরে) যারা আছে, ওরা অনেক ভালো টাচে আছে। সবাই খুব ভালো শেইপে আছে। পারফর্মও করছে, যদি আপনারা ভালোভাবে দেখেন। দিনশেষে, এত
আফসোসের কিছু নাই। এটা পার্ট অফ লাইফ। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই, যতটুকু অবদান রাখতে পারি দলের জন্য।’



