
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে তীব্র নিন্দা-সমালোচনা

চীনের শীর্ষ ৫ নতুন অস্ত্র কী বার্তা দিচ্ছে?

এবার ইউএস ওপেন ফাইনালে অতিথি হয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

চীনের শীর্ষ ৫ নতুন অস্ত্র কী বার্তা দিচ্ছে?

রকেট ইঞ্জিন বানাতে চান পুতিন

ভেনেজুয়েলায় যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণকারীদের নিয়ে ইমিগ্রেশনের নতুন ঘোষণা
‘মোদি চোর, অমিত শাহ চোর, বিজেপি চোর’

ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিধানসভা মঞ্চ থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাফ বক্তব্য, ‘মোদি চোর, অমিত শাহ চোর, বিজেপি চোর’। এমন মন্তব্যে একদিকে যেমন শোরগোল পড়েছে, অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত আরও গভীর হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত কেন্দ্রের নতুন অভিবাসন আইনকে ঘিরে। ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বলা হয়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং পাশের এক দেশের সংখ্যালঘুরা যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন, তারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই থাকতে পারবেন। বিজেপির দাবি, মানবিক কারণে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু মমতা মনে করেন, আসল উদ্দেশ্য অন্য।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘এই আইন কি সংসদে
আলোচনা হয়েছে? স্থায়ী কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতে গিয়েছে? একতরফাভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কিভাবে?’ তার দাবি, বিজেপি নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় খেলা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার কণ্ঠে দৃঢ় বিশ্বাস- ‘ভোটে বিজেপি জিতবে না। এই আসনে থাকবে আমরা, থাকবে অন্যরা। বিজেপির কোনো অস্তিত্বই থাকবে না।’ তার বক্তব্য শুরুর পর থেকেই বিজেপি বিধায়কেরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। কাগজ ছুঁড়ে তারা বক্তব্য বন্ধ করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত স্পিকার চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি মূলত বাঙালির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ সংসদীয় নয়, গণতান্ত্রিকও নয়। কিন্তু আমাকে তারা দমাতে পারবে না।’ বিজেপি শিবির পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চোর’
বলে স্লোগান তোলে। তারই জবাব দিলেন মমতা, আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি মোদি-অমিত শাহকে লক্ষ্য করে চুরি-অভিযোগ তুললেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাকযুদ্ধ শুধু মুখের লড়াই নয়। এর গভীরে রয়েছে ২০২৬ সালের নির্বাচন। বিজেপি যেভাবে উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছে, তৃণমূল সেটাকেই ভোট রাজনীতির চাল মনে করছে। আবার মমতার কঠিন ভাষা তার সমর্থকদের কাছে শক্তি যোগাচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, এমন মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরিণতি দেখাতে পারে। কিন্তু তৃণমূল শিবিরের দাবি, বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতির সামনে এই আক্রমণই প্রয়োজনীয়। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, নতুন আইন শুধু অভিবাসন ইস্যু নয়, এটি বাংলার রাজনীতিকে ঝড়ের মুখে নিয়ে এসেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এ রাজ্যের ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, তৃণমূল অকারণে আতঙ্ক তৈরি করছে। ভোটের আর মাত্র এক বছরেরও কম সময় বাকি। তার আগে এই সংঘাত যে আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আলোচনা হয়েছে? স্থায়ী কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতে গিয়েছে? একতরফাভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কিভাবে?’ তার দাবি, বিজেপি নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় খেলা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার কণ্ঠে দৃঢ় বিশ্বাস- ‘ভোটে বিজেপি জিতবে না। এই আসনে থাকবে আমরা, থাকবে অন্যরা। বিজেপির কোনো অস্তিত্বই থাকবে না।’ তার বক্তব্য শুরুর পর থেকেই বিজেপি বিধায়কেরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। কাগজ ছুঁড়ে তারা বক্তব্য বন্ধ করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত স্পিকার চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি মূলত বাঙালির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই আচরণ সংসদীয় নয়, গণতান্ত্রিকও নয়। কিন্তু আমাকে তারা দমাতে পারবে না।’ বিজেপি শিবির পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চোর’
বলে স্লোগান তোলে। তারই জবাব দিলেন মমতা, আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি মোদি-অমিত শাহকে লক্ষ্য করে চুরি-অভিযোগ তুললেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাকযুদ্ধ শুধু মুখের লড়াই নয়। এর গভীরে রয়েছে ২০২৬ সালের নির্বাচন। বিজেপি যেভাবে উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছে, তৃণমূল সেটাকেই ভোট রাজনীতির চাল মনে করছে। আবার মমতার কঠিন ভাষা তার সমর্থকদের কাছে শক্তি যোগাচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, এমন মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরিণতি দেখাতে পারে। কিন্তু তৃণমূল শিবিরের দাবি, বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতির সামনে এই আক্রমণই প্রয়োজনীয়। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, নতুন আইন শুধু অভিবাসন ইস্যু নয়, এটি বাংলার রাজনীতিকে ঝড়ের মুখে নিয়ে এসেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এ রাজ্যের ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, তৃণমূল অকারণে আতঙ্ক তৈরি করছে। ভোটের আর মাত্র এক বছরেরও কম সময় বাকি। তার আগে এই সংঘাত যে আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।