
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা

মেয়র নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন ফিলিপাইনের কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আতঙ্ক

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে?

গাজা যুদ্ধ হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনিদের জাগরণের প্রতীক
বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় জনসমাগম’ মহা কুম্ভ মেলা শুরু

ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (সাবেক এলাহাবাদ) শুরু হয়েছে পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় জনসমাগম মহা কুম্ভ মেলা। সোমবার শুরু হওয়া এই মেলায় যোগ দিতে এরই মধ্যে শহরটিতে হাজির হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
প্রতি এক যুগ অর্থাৎ ১২ বছর পরপর এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলবে ৪৫ দিন। ভারতের সবচেয়ে পবিত্র নদী গঙ্গার সঙ্গে যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সংযোগস্থলে—যা সঙ্গম নামে পরিচিত—গোসল করার এ উৎস বহু আগে থেকেই প্রচলিত।
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, পবিত্র নদীতে স্নান বা গোসল করলে পাপ মোচন হয়, আত্মা বিশুদ্ধ হয় এবং জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
কারণ, হিন্দু ধর্মের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মোক্ষ লাভ। প্রায় ৪০ কোটি তীর্থযাত্রী এই ৪৫ দিনের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য আসবেন। এই মেলার আকার এতই বিশাল যে, এটি মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। অনুমান করা হচ্ছে, সোমবার ৫০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ ভক্ত স্নান করবেন এবং পরবর্তী দিন এই সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগামীকালের মাহাত্ম্য হলো, ছাই মাখা ও ধুলো ধূসরিত নগ্ন গায়ের নাগা সন্ন্যাসীরাও এদিন সকালে স্নান করতে আসবেন। প্রয়াগরাজ শহর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে সব প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য এক বিশাল তাঁবুর শহর তৈরি করা হয়েছে। নদীর তীরে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর এলাকায় এসব
তাঁবু বসানো হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ শেষ হয়নি বলেই দেখা গেছে সরেজমিনে। অনেক ধর্মগুরু এবং অন্যান্য ভক্তদের তাঁবুতে এখনো পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আগত ভক্তদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় হাজার হাজার শৌচাগার এখনো বসানো হয়নি এবং অনেক শৌচাগার বসানো হলেও পানির অভাবে সেগুলো ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব হয়নি। প্রয়াগরাজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিবেক চতুর্বেদী এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, গত বছরের মৌসুমি বৃষ্টির পানি অনেক দেরিতে নেমে যাওয়ার কারণে নির্মাণকাজের জন্য খুব একটা সময় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং ভক্তদের স্বাগত জানাতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্বেদী বলেন, আমরা ৬৫০ কিলোমিটার অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করেছি
এবং হাজার হাজার তাঁবু ও শৌচাগার স্থাপন করেছি। ৪০ হাজার পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীসহ ১ লাখের বেশি মানুষ এই মেলা সফল করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বড় আকর্ষণ হলো নগ্ন নাগা সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি। এসব সন্ন্যাসী দীর্ঘদিন গোসল না করে থাকেন এবং এ মেলার সময় তারা বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের শরীর পরিষ্কার করেন। তবে সাধারণ হিন্দুদের কাছে এর গুরুত্ব আসলে ধর্মীয়। কারণ, তারা বিশ্বাস করেন যে—নাগা সন্ন্যাসীরা যে পানিতে গোসল করেন সেই পানি তাদের কারণে পূর্ণ হয়ে ওঠে।
কারণ, হিন্দু ধর্মের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মোক্ষ লাভ। প্রায় ৪০ কোটি তীর্থযাত্রী এই ৪৫ দিনের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য আসবেন। এই মেলার আকার এতই বিশাল যে, এটি মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। অনুমান করা হচ্ছে, সোমবার ৫০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ ভক্ত স্নান করবেন এবং পরবর্তী দিন এই সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগামীকালের মাহাত্ম্য হলো, ছাই মাখা ও ধুলো ধূসরিত নগ্ন গায়ের নাগা সন্ন্যাসীরাও এদিন সকালে স্নান করতে আসবেন। প্রয়াগরাজ শহর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে সব প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য এক বিশাল তাঁবুর শহর তৈরি করা হয়েছে। নদীর তীরে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর এলাকায় এসব
তাঁবু বসানো হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ শেষ হয়নি বলেই দেখা গেছে সরেজমিনে। অনেক ধর্মগুরু এবং অন্যান্য ভক্তদের তাঁবুতে এখনো পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আগত ভক্তদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় হাজার হাজার শৌচাগার এখনো বসানো হয়নি এবং অনেক শৌচাগার বসানো হলেও পানির অভাবে সেগুলো ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব হয়নি। প্রয়াগরাজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিবেক চতুর্বেদী এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, গত বছরের মৌসুমি বৃষ্টির পানি অনেক দেরিতে নেমে যাওয়ার কারণে নির্মাণকাজের জন্য খুব একটা সময় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং ভক্তদের স্বাগত জানাতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্বেদী বলেন, আমরা ৬৫০ কিলোমিটার অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করেছি
এবং হাজার হাজার তাঁবু ও শৌচাগার স্থাপন করেছি। ৪০ হাজার পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীসহ ১ লাখের বেশি মানুষ এই মেলা সফল করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বড় আকর্ষণ হলো নগ্ন নাগা সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি। এসব সন্ন্যাসী দীর্ঘদিন গোসল না করে থাকেন এবং এ মেলার সময় তারা বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের শরীর পরিষ্কার করেন। তবে সাধারণ হিন্দুদের কাছে এর গুরুত্ব আসলে ধর্মীয়। কারণ, তারা বিশ্বাস করেন যে—নাগা সন্ন্যাসীরা যে পানিতে গোসল করেন সেই পানি তাদের কারণে পূর্ণ হয়ে ওঠে।