ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
হজ ভিসায় নতুন শর্ত দিল সৌদি আরব
তালেবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা, নেপথ্যে কী?
প্রেসিডেন্ট পদে ফিরছেন ট্রাম্প, কাজ হারাতে শুরু করেছেন ভারতীয়রা
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাইডেনের
ইরানের সেনাবাহিনীতে আরও এক হাজার নতুন ড্রোন
চেক প্রজাতন্ত্রের রেস্তোরাঁয় গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৬
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক বসাবে কানাডা
প্রেসিডেন্ট পদে ফিরছেন ট্রাম্প, কাজ হারাতে শুরু করেছেন ভারতীয়রা
আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই প্রত্যাবর্তনে ফলে মার্কিন মুলুকে আবারও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে। যা ফলে এরই মধ্যে দেশটিতে কর্মরত ভারতীয়দের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ইলন মাস্ক যতই যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ বিদেশিদের চাকরি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করুন না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরলেই ভিসা নীতি আরও কঠোর করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ, যারা তাকে ভোটে জিতিয়ে ফের একবার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে বসিয়েছেন, সেই আম-মার্কিন ভোটারদের একটা বড় অংশই মনে করেন, ভারতীয়সহ অন্যান্য বিদেশিরা তাদের কাজের সুযোগ কেড়ে নিচ্ছেন।
যার ফলস্বরূপ ট্রাম্প যখনই কোনো
উঁচু পদে কোনো ভারতীয়কে নিযুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ মনে করছে, এইচ-১বি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি কঠোর করাটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই পালাবদলের নেতিবাচক ফল ভোগ করতে শুরু করেছেন ভারতীয়রা। অনেকে কাজের সুযোগ পেয়েও কাজে যোগ দিতে পারছেন না। কারণ, পুরো প্রক্রিয়াটিই হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। কেউ আবার চাকরির অফার পাওয়ার পরও সেই অফার ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই চাকরির সুযোগ পেলেও ভিসা পাচ্ছেন না। এই সমস্ত লক্ষণগুলো মার্কিন মুলুকে কাজ করা ভারতীয়দের জন্য মোটেও শুভ নয় বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। টাইমস
অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকা ও হায়দরাবাদের আটজন ভারতীয় পেশাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে চাকরির অফার দেওয়ার পরও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ, হিসাবে দেখানো হয়েছে – ‘ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা।’ তাদের মধ্যে একজন হলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বৈষ্ণবী পুভভাদা। গত ডিসেম্বর মাসে মার্কিন একটি খ্যাতনামা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি পান তিনি। এই সুখবর পাওয়ার পর সানফ্রান্সিস্কোয় গিয়ে থাকার ব্যবস্থা শুরু করে দেন বৈষ্ণবী। কিন্তু, তারপর হঠাৎই তিনি জানতে পারেন, তাকে দেওয়া চাকরির অফার সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সবথেকে শোচনীয় বিষয় হল, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি পাওয়ার পর বৈষ্ণবী তার বর্তমান কাজের জায়গায়তেও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। যার
ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। ২৮ বছরের ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি চাকরি পাই। আমাকে লিখিতভাবে সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। সেই কারণেই আমি আমার বর্তমান চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলাম।' সংশ্লিষ্ট সংস্থা বৈষ্ণবীকে জানায়, ‘ভিসা নীতিতে পরিবর্তন’ আসতে পারে। এটা মাথায় রেখেই তারা তাকে দেওয়া চাকরির অফার প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। বৈষ্ণবী বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আপনারা যদি ভিসা দিতে পারা নিয়ে নিশ্চিত না হন, তাহলে চাকরির অফার দিলেন কেন? তারা বলছেন, একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসুন। ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। তখন যদি বিষয়টি মিটে যায়, তাহলে তারা আবার আমাকে অফার লেটার পাঠাবেন। কিন্তু, আমি
কত দিন তার জন্য অপেক্ষা করব? মার্কিন প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে যত পরিমাণ এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন করে, তার সিংহভাগই থাকে ভারতীয়দের কাছে। যেমন - ২০২৩ সালে মোট যত জনকে এই ভিসা দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ভারতীয় ছিলেন প্রায় ৭২ শতাংশ। যার ফলে, এই ভিসার নিয়ম কঠোর হলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্তও হবেন ভারতীয়রাই।
উঁচু পদে কোনো ভারতীয়কে নিযুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ মনে করছে, এইচ-১বি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি কঠোর করাটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই পালাবদলের নেতিবাচক ফল ভোগ করতে শুরু করেছেন ভারতীয়রা। অনেকে কাজের সুযোগ পেয়েও কাজে যোগ দিতে পারছেন না। কারণ, পুরো প্রক্রিয়াটিই হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। কেউ আবার চাকরির অফার পাওয়ার পরও সেই অফার ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই চাকরির সুযোগ পেলেও ভিসা পাচ্ছেন না। এই সমস্ত লক্ষণগুলো মার্কিন মুলুকে কাজ করা ভারতীয়দের জন্য মোটেও শুভ নয় বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। টাইমস
অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকা ও হায়দরাবাদের আটজন ভারতীয় পেশাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে চাকরির অফার দেওয়ার পরও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ, হিসাবে দেখানো হয়েছে – ‘ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা।’ তাদের মধ্যে একজন হলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বৈষ্ণবী পুভভাদা। গত ডিসেম্বর মাসে মার্কিন একটি খ্যাতনামা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি পান তিনি। এই সুখবর পাওয়ার পর সানফ্রান্সিস্কোয় গিয়ে থাকার ব্যবস্থা শুরু করে দেন বৈষ্ণবী। কিন্তু, তারপর হঠাৎই তিনি জানতে পারেন, তাকে দেওয়া চাকরির অফার সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সবথেকে শোচনীয় বিষয় হল, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি পাওয়ার পর বৈষ্ণবী তার বর্তমান কাজের জায়গায়তেও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। যার
ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। ২৮ বছরের ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি চাকরি পাই। আমাকে লিখিতভাবে সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। সেই কারণেই আমি আমার বর্তমান চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলাম।' সংশ্লিষ্ট সংস্থা বৈষ্ণবীকে জানায়, ‘ভিসা নীতিতে পরিবর্তন’ আসতে পারে। এটা মাথায় রেখেই তারা তাকে দেওয়া চাকরির অফার প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। বৈষ্ণবী বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আপনারা যদি ভিসা দিতে পারা নিয়ে নিশ্চিত না হন, তাহলে চাকরির অফার দিলেন কেন? তারা বলছেন, একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসুন। ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। তখন যদি বিষয়টি মিটে যায়, তাহলে তারা আবার আমাকে অফার লেটার পাঠাবেন। কিন্তু, আমি
কত দিন তার জন্য অপেক্ষা করব? মার্কিন প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে যত পরিমাণ এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন করে, তার সিংহভাগই থাকে ভারতীয়দের কাছে। যেমন - ২০২৩ সালে মোট যত জনকে এই ভিসা দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ভারতীয় ছিলেন প্রায় ৭২ শতাংশ। যার ফলে, এই ভিসার নিয়ম কঠোর হলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্তও হবেন ভারতীয়রাই।