জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
     ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৫:৪৫ 84 ভিউ
কারাগারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এবার গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্নার (৬৮) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। গতকাল ২১শে সেপ্টেম্বর, রোববার মধ্যরাতে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। গাইবান্ধা কারাগারের জেলার আতিকুর রহমান জানান, আবু বক্করের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ তাকে পুনঃগ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার

রাত সোয়া ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলারের দাবি, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রেশার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগলেও কারাগারে তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল না। যদিও পরিবারের বক্তব্য ভিন্ন। তার পরিবারের সাথে কথা বলে মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তারা জানান, ৬৮ বছর বয়সে স্বাভাবিক কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল আবু বক্করের। কিন্তু তিনি এতটা অসুস্থ ছিলেন না যে, শারীরিক পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতি ঘটতে পারে। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ওপর। তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা আরও জানান, আবু বক্কর সিদ্দিককে

কৌশলে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। রাতে মৃত্যু হলেও কারা কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সৌমিক বলেন, বাবা কোনো অন্যায়-অনিয়মে জড়িত ছিলেন না। তবু তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে তিনি নিয়মিত ওষুধপথ্যও পাননি। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। তিনি আরও জানান, প্রথমে তার বাবাকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন-ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর জামিন পান। কিন্তু মুক্তি না দিয়ে জেলগেটে আরেকটি মামলায় পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখায়। তারপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার কাছে চাইব জানি না। খুনিদের কাছে বিচার চাই না, দেশবাসীর

কাছে বিচারের ভার তুলে দিলাম- জানান পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শৈত্যপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নতুন বার্তা এবার কাজের সময় নিয়ে মুখ খুললেন ‘ড্যান্সিং কুইন’ মাধুরী দেশে স্বর্ণের দাম কমলো সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বিএসএফের অস্বীকার আবারও বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প বিশ্বরেকর্ড গড়া তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয় ড্রয়ের আগে জেনে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপের নতুন সব নিয়ম ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি আবারও বিয়ে করলেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ফেসবুক আইডি হ্যাকড প্রচণ্ড ঠান্ডা নিয়ে সতর্কতা টেবিলের দাঁড়িয়ে মুফতি আমির হামজার বক্তব্য, তুমুল সমালোচনা আবারও বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প ইরানে স্বর্ণের বিশাল মজুতের সন্ধান ১৯৭১, নীলফামারীর গোলাহাট গণহত্যা “কোন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙতে পারে না; শেখ হাসিনার রায়, এই সরকার মানিনা” — বীর বাঙালি ইউনূসের দুঃশাসনে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনিত, নিরাপদ না আদালতও “গান পাউডার ছিটাইলে ভাই আগুন ধরে বেশি, এটা ভাই করা হইছে, এটা পূর্বপরিকল্পিত” – কড়াইল বাসী “বিএনপি নমিনেশন দেয়নি, তার ক্ষোভ গাড়ি ভেঙে কেন?” — ভুক্তভোগী কোন দেশের নাগরিক হয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন তারেক রহমান