জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৫:৪৫ 26 ভিউ
কারাগারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এবার গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্নার (৬৮) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। গতকাল ২১শে সেপ্টেম্বর, রোববার মধ্যরাতে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। গাইবান্ধা কারাগারের জেলার আতিকুর রহমান জানান, আবু বক্করের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ তাকে পুনঃগ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার

রাত সোয়া ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলারের দাবি, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রেশার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগলেও কারাগারে তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল না। যদিও পরিবারের বক্তব্য ভিন্ন। তার পরিবারের সাথে কথা বলে মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তারা জানান, ৬৮ বছর বয়সে স্বাভাবিক কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল আবু বক্করের। কিন্তু তিনি এতটা অসুস্থ ছিলেন না যে, শারীরিক পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতি ঘটতে পারে। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ওপর। তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা আরও জানান, আবু বক্কর সিদ্দিককে

কৌশলে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। রাতে মৃত্যু হলেও কারা কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সৌমিক বলেন, বাবা কোনো অন্যায়-অনিয়মে জড়িত ছিলেন না। তবু তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে তিনি নিয়মিত ওষুধপথ্যও পাননি। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। তিনি আরও জানান, প্রথমে তার বাবাকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন-ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর জামিন পান। কিন্তু মুক্তি না দিয়ে জেলগেটে আরেকটি মামলায় পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখায়। তারপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার কাছে চাইব জানি না। খুনিদের কাছে বিচার চাই না, দেশবাসীর

কাছে বিচারের ভার তুলে দিলাম- জানান পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র, সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা রাজশাহীতে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল মজুদ, কোটি টাকার ধান্দায় যুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা উদ্ভট সব মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জামায়াতি বক্তা আমির হামজা ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণে অপ্রাপ্তবয়স্ক মাদ্রাসাছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে ধস, গড় লেনদেন কমেছে ৩৯% আওয়ামী লীগ নেতা বলে মামলা ছাড়াই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা ঠিকাদারদের অর্থে টয়লেট প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তাদের চীন ভ্রমণ, চলছে ভ্রমণ বিভিন্ন দেশে আফগানিস্তানে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর বই নিষিদ্ধ করলো তালেবান সরকার সংস্কৃতি চর্চায় উগ্রবাদের বিরোধ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে আরসা-আরাকান আর্মির তীব্র সংঘর্ষ, গোলাগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক করা ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার: ইতিহাসের বৃহত্তম ব্যাংক-হ্যাকের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় দুই মাসেই ৬,৫৭৭ কোটি টাকা ঘাটতি: এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে ধস ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা অবশেষে হাত মেলাল ভারত, তবে… রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে? বঙ্গোপসাগরে ২ লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও সহজ জয় ভারতের