ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হচ্ছে আরও সিএপিএফ বাহিনী
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
ঝাড়খণ্ডে ‘বাংলাদেশি কার্ড’ খেলেও লাভ হলো না বিজেপির
নিজেকে ‘পাহারাদার’ দাবি করে যা বললেন মমতা
বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানে ট্রাম্পকে দায়ী করলেন মোরালেস
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে এশিয়ার এই শহর, বাড়ছে ভিড়
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
চিরকুমার রতন টাটার ৪ হাজার কোটি রুপির উত্তরসূরি হবেন কে?
ভারতীয় শিল্পপতি টাটা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান রতন টাটা বিয়ে করেননি। সুতরাং তার কোনো সন্তানও নেই। মৃত্যুর আগে তিনি তার বিপুল সম্পদ দান করেও যাননি। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে রতন টাটার রেখে যাওয়া কয়েক হাজার কোটি রুপির সম্পদের উত্তরসূরি হচ্ছেন কে?
বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মৃত্যুর আগে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার কোটি রুপি।
১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম হয় রতন টাটার। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। তার দাদি নওয়াজবাই টাটার কাছে বেড়ে
ওঠেন তিনি। রতন টাটার এক ভাই জিমি টাটা, আরেকজন সৎভাই নোয়েল টাটা। ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন এই রতন টাটা। দীর্ঘদিন ধরে রাজত্য ধরে রাখা এই শিল্পপতি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সাধারণ মানুষের মনে সর্বদা একটি প্রশ্ন ছিল, কেন রতন টাটা অবিবাহিত? তবে মজার ব্যাপার হলো, একবার নয় দুবার নয়, রীতিমতো চারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, প্রায় তার বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে সময় তিনি
দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিয়ে করা হয়নি তার। জানা গেছে, বর্তমানে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন উচ্চ পদে কিছু তরুণ ও প্রতিভাবান নেতৃত্বে রয়েছেন। তারাই রতন টাটার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন বোর্ডের দায়িত্বে রয়েছেন। রতন টাটা সব এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে তার মৃত্যুর পরও শিল্প গোষ্ঠীটি মুখ থুবড়ে না পড়ে। এ হিসাবে টাটার সম্পত্তি একক কারও হস্তগত হচ্ছে না। বোর্ডের পরিচালকদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে। সেসব উচ্চ পদে থাকা তরুণ ও প্রতিভাবানদের মধ্যে রয়েছেন নিশান্ত টাটা। যিনি টাটা মোটরসের পরিচালনায় যুক্ত। তার আধুনিক চিন্তাধারা এবং নতুন প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ টাটা গোষ্ঠীকে নতুন উচ্চতায় নিতে সক্ষম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বভাবতই টাটা মোটরসের অধীনে থাকা
রতন টাটার সম্পদ তিনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন। রতন টাটার সৎ ভাই নাভাল টাটার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান নোয়েল টাটা। বর্তমানে তিনি টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। উত্তরসূরী হিসেবে তার নামও থাকছে। ট্রেন্ট ও টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং টাইটান ও টাটা স্টিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত নোয়েল টাটা। নোয়েল টাটার ছোট ছেলে নেভিল টাটা। বয়স মাত্র ৩২, কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই টাটা গোষ্ঠীর অন্তর্গত ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে স্টার বাজারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। তারুণ্যের উদ্যম ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ একক নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। নোয়েল টাটার মেয়ে লিয়া টাটা এই গ্রুপের হসপিটালিটি সেক্টরকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে
তাজ হোটেলের অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনাসহ হসপিটালিটি সেক্টরের প্রবল বিকাশ ঘটেছে। তিনিও তার অধীনে থাকা রতন টাটার সম্পদের অলিখিত উত্তরসূরি। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ হিসেবে আলোচনায় রয়েছে নোয়েল টাটার আরেক মেয়ে মায়া টাটার নামও। ৩৪ বছর বয়সী মায়া, টাটা গোষ্ঠীর ডিজিটাল সেক্টরে বিপ্লব এনেছেন, বিশেষ করে তার নেতৃত্বে লঞ্চ হওয়া টাটা নিউঅ্যাপ গ্রুপের ডিজিটাল সাফল্য এক বিরাট উদাহরণ হয়ে উঠেছে। তার দক্ষতায় রতন টাটার রেখে যাওয়া সম্পদ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী মুনাফার আনুপাতিক হারে মায়া টাটার সম্পদও বাড়বে। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০০৮ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা পান রতন টাটা। তার মেধা ও কৌশল সর্বজনের কাছে প্রশংসনীয়। অনেকে
বলছেন, রতন টাটা নিজেও জানতেন তার মৃত্যুর পর সুনির্দিষ্ট উত্তরসূরির প্রশ্ন বা বিতর্ক উঠতে পারে। অত্যান্ত বুদ্ধিমান রতন টাটা অন্য কোনো উপায়ে উত্তরসূরি নির্বাচনের হলফনামা রেখে যেতে পারেন। যদি এমনটি হয় তবে সব হিসাব-নিকাশ বদলে যাবে।
ওঠেন তিনি। রতন টাটার এক ভাই জিমি টাটা, আরেকজন সৎভাই নোয়েল টাটা। ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন এই রতন টাটা। দীর্ঘদিন ধরে রাজত্য ধরে রাখা এই শিল্পপতি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সাধারণ মানুষের মনে সর্বদা একটি প্রশ্ন ছিল, কেন রতন টাটা অবিবাহিত? তবে মজার ব্যাপার হলো, একবার নয় দুবার নয়, রীতিমতো চারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, প্রায় তার বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে সময় তিনি
দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিয়ে করা হয়নি তার। জানা গেছে, বর্তমানে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন উচ্চ পদে কিছু তরুণ ও প্রতিভাবান নেতৃত্বে রয়েছেন। তারাই রতন টাটার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন বোর্ডের দায়িত্বে রয়েছেন। রতন টাটা সব এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে তার মৃত্যুর পরও শিল্প গোষ্ঠীটি মুখ থুবড়ে না পড়ে। এ হিসাবে টাটার সম্পত্তি একক কারও হস্তগত হচ্ছে না। বোর্ডের পরিচালকদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে। সেসব উচ্চ পদে থাকা তরুণ ও প্রতিভাবানদের মধ্যে রয়েছেন নিশান্ত টাটা। যিনি টাটা মোটরসের পরিচালনায় যুক্ত। তার আধুনিক চিন্তাধারা এবং নতুন প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ টাটা গোষ্ঠীকে নতুন উচ্চতায় নিতে সক্ষম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বভাবতই টাটা মোটরসের অধীনে থাকা
রতন টাটার সম্পদ তিনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন। রতন টাটার সৎ ভাই নাভাল টাটার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান নোয়েল টাটা। বর্তমানে তিনি টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। উত্তরসূরী হিসেবে তার নামও থাকছে। ট্রেন্ট ও টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং টাইটান ও টাটা স্টিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত নোয়েল টাটা। নোয়েল টাটার ছোট ছেলে নেভিল টাটা। বয়স মাত্র ৩২, কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই টাটা গোষ্ঠীর অন্তর্গত ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে স্টার বাজারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। তারুণ্যের উদ্যম ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ একক নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। নোয়েল টাটার মেয়ে লিয়া টাটা এই গ্রুপের হসপিটালিটি সেক্টরকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে
তাজ হোটেলের অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনাসহ হসপিটালিটি সেক্টরের প্রবল বিকাশ ঘটেছে। তিনিও তার অধীনে থাকা রতন টাটার সম্পদের অলিখিত উত্তরসূরি। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ হিসেবে আলোচনায় রয়েছে নোয়েল টাটার আরেক মেয়ে মায়া টাটার নামও। ৩৪ বছর বয়সী মায়া, টাটা গোষ্ঠীর ডিজিটাল সেক্টরে বিপ্লব এনেছেন, বিশেষ করে তার নেতৃত্বে লঞ্চ হওয়া টাটা নিউঅ্যাপ গ্রুপের ডিজিটাল সাফল্য এক বিরাট উদাহরণ হয়ে উঠেছে। তার দক্ষতায় রতন টাটার রেখে যাওয়া সম্পদ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী মুনাফার আনুপাতিক হারে মায়া টাটার সম্পদও বাড়বে। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০০৮ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা পান রতন টাটা। তার মেধা ও কৌশল সর্বজনের কাছে প্রশংসনীয়। অনেকে
বলছেন, রতন টাটা নিজেও জানতেন তার মৃত্যুর পর সুনির্দিষ্ট উত্তরসূরির প্রশ্ন বা বিতর্ক উঠতে পারে। অত্যান্ত বুদ্ধিমান রতন টাটা অন্য কোনো উপায়ে উত্তরসূরি নির্বাচনের হলফনামা রেখে যেতে পারেন। যদি এমনটি হয় তবে সব হিসাব-নিকাশ বদলে যাবে।