
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজশাহীতে পুলিশের উপস্থিতিতে খানকা শরিফে উগ্রবাদীদের হামলা

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮, পুলিশ জানে না কিছু

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা

মনপুরায় শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

মুন্সীগঞ্জে মদ্যপানে ৪ জনের মৃত্যু

কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিল উত্তেজিত জনতা

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্কুল শিক্ষিকার লাশ
গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, নিহত ১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহাদী দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে বাদ জুমা বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় মো. রাসেল মোল্লা (২৮) নামে একজন নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছিতে খানকা শরিফ ভাঙচুর করেছে ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’।
জুমার নামাজের পর দেড় শতাধিক মুসল্লি বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামের খানকা শরিফ ভাঙচুর করে।
এ সম্পর্কে ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর :
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলের মৃত্যুর পর তার লাশ দরবারের মধ্যে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচু স্থানে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এটি ‘শরিয়ত পরিপন্থি’ দাবি করে ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতের অভিযোগে কয়েক
দিন ধরে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিল জনতা। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে নুরাল পাগলের লাশ উঁচু কবর থেকে তুলে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। এর আগে দুপুরে বিক্ষুব্ধ লোকজন তার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। এ সময় মো. রাসেল মোল্লা নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের দুটি ডাবল কেবিন পিকআপসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আহতদের ফরিদপুর ও গোয়ালন্দের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রামের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সন্ধ্যায় উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির নেতারা জরুরি
সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তারা বলেন, আজকে আনসার ক্লাব ময়দানে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সমাবেশে আসা লোকজনকে পুলিশ বাধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরুল হক। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করলে জনরোষ তৈরি হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়েন। কয়েক দিন পর তিনি আবার দরবারে ফিরে কার্যক্রম শুরু করেন। ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে
প্রথম জানাজা ও ভক্তদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে নুরুল হককে কবর দেওয়া হয়েছে। এটা ইসলাম পরিপন্থি। অল্প সময়ের মধ্যে ধর্মীয় রীতি মেনে কবর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। রাজশাহী : প্রায় ১৫ বছর আগে চন্দ্রপুকুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারী নিজের বাড়ির পাশে নিজের জায়গায় ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ’ স্থাপন করেন। ভক্তদের কাছে তিনি ‘পীর’ হিসাবে পরিচিত। খানকায় প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত
তিন দিনের আয়োজন ছিল। এতে অংশ নিতে নারী শিল্পীরা আসছিলেন। ভান্ডারী ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। এ নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। হামলার শঙ্কায় সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করেন। তবে হামলার সময় দর্শকের ভ‚মিকায় ছিলেন তারা। শুক্রবারের হামলার ভিডিওতে দেখা যায় দেড় শতাধিক মুসল্লি খানকা শরীফে আক্রমণ করছে। টিন দিয়ে ঘেরা খানকা তারা গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় বাড়ি থেকে বের হননি আজিজুর রহমান ভান্ডারী। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এলাকার কিছু লোক আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছিল। অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গত রাতে তারা পবা থানায় গিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে, জানি না। জুমার নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে খানকা শরীফে হামলা চালায়। ভক্তরা আমাকে
বাড়ি থেকে বের হতে দেননি। তিনি দাবি করেন-এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাইকে তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়েছে। জানতে চাইলে বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাকে গত রাতে থানায় ডেকেছিল। সে জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু হামলার সময় আমি ছিলাম না। পরে এমন ঘটনার কথা শুনেছি। পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা বিএনপির পুরোনো লোক। তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’ আলী হোসেন বলেন, খানকা ভাঙার দরকার কি? যার যেটা বিশ্বাস, সে সেটা করবে। বিএনপি হলেও কারও ছাড় নেই। পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত রাতে থানায় অনেক
মানুষ এসেছিল। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছিলাম। এত বেশি মানুষ, অল্প কয়েকজন পুলিশের কিছু করার ছিল না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়ে আজিজুর ভান্ডারী বলেন, ‘পুলিশ ছিল, ডিবি ছিল, ওসি নিজেই ছিলেন। সেখানে তারা রক্ষা করেননি, অভিযোগ করব কার কাছে?’ তিনি বলেন, আমি অভিযোগ করব না। আমি মানবধর্ম করি, আমার কাছে সবাই আসে। সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন। তারা ভেঙে খুশি হয়েছে, হোক।
দিন ধরে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিল জনতা। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে নুরাল পাগলের লাশ উঁচু কবর থেকে তুলে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। এর আগে দুপুরে বিক্ষুব্ধ লোকজন তার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। এ সময় মো. রাসেল মোল্লা নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের দুটি ডাবল কেবিন পিকআপসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আহতদের ফরিদপুর ও গোয়ালন্দের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রামের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সন্ধ্যায় উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির নেতারা জরুরি
সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তারা বলেন, আজকে আনসার ক্লাব ময়দানে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সমাবেশে আসা লোকজনকে পুলিশ বাধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে দরবার শরিফ গড়ে তোলেন নুরুল হক। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করলে জনরোষ তৈরি হয়। পরে ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়েন। কয়েক দিন পর তিনি আবার দরবারে ফিরে কার্যক্রম শুরু করেন। ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে
প্রথম জানাজা ও ভক্তদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে নুরুল হককে কবর দেওয়া হয়েছে। এটা ইসলাম পরিপন্থি। অল্প সময়ের মধ্যে ধর্মীয় রীতি মেনে কবর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। রাজশাহী : প্রায় ১৫ বছর আগে চন্দ্রপুকুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারী নিজের বাড়ির পাশে নিজের জায়গায় ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ’ স্থাপন করেন। ভক্তদের কাছে তিনি ‘পীর’ হিসাবে পরিচিত। খানকায় প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত
তিন দিনের আয়োজন ছিল। এতে অংশ নিতে নারী শিল্পীরা আসছিলেন। ভান্ডারী ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। এ নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। হামলার শঙ্কায় সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করেন। তবে হামলার সময় দর্শকের ভ‚মিকায় ছিলেন তারা। শুক্রবারের হামলার ভিডিওতে দেখা যায় দেড় শতাধিক মুসল্লি খানকা শরীফে আক্রমণ করছে। টিন দিয়ে ঘেরা খানকা তারা গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় বাড়ি থেকে বের হননি আজিজুর রহমান ভান্ডারী। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এলাকার কিছু লোক আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছিল। অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গত রাতে তারা পবা থানায় গিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে, জানি না। জুমার নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে খানকা শরীফে হামলা চালায়। ভক্তরা আমাকে
বাড়ি থেকে বের হতে দেননি। তিনি দাবি করেন-এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাইকে তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়েছে। জানতে চাইলে বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাকে গত রাতে থানায় ডেকেছিল। সে জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু হামলার সময় আমি ছিলাম না। পরে এমন ঘটনার কথা শুনেছি। পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা বিএনপির পুরোনো লোক। তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’ আলী হোসেন বলেন, খানকা ভাঙার দরকার কি? যার যেটা বিশ্বাস, সে সেটা করবে। বিএনপি হলেও কারও ছাড় নেই। পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত রাতে থানায় অনেক
মানুষ এসেছিল। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছিলাম। এত বেশি মানুষ, অল্প কয়েকজন পুলিশের কিছু করার ছিল না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়ে আজিজুর ভান্ডারী বলেন, ‘পুলিশ ছিল, ডিবি ছিল, ওসি নিজেই ছিলেন। সেখানে তারা রক্ষা করেননি, অভিযোগ করব কার কাছে?’ তিনি বলেন, আমি অভিযোগ করব না। আমি মানবধর্ম করি, আমার কাছে সবাই আসে। সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন। তারা ভেঙে খুশি হয়েছে, হোক।