
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

হামাসের দাবি, দোহায় ইসরাইলি হামলা থেকে নেতারা অক্ষত

কাতারে ইসরাইলের প্রধান টার্গেট কে এই খলিল আল-হাইয়া

এবার কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

এক মাসে ছয় আরব দেশে ইসরাইলের বোমা হামলা

‘নেপালে অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন’

বিক্ষোভের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী
কাতারে হামাস নেতৃত্বের উপর ইসরায়েলের ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’: মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা বৃদ্ধি

ইসরায়েল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই অভূতপূর্ব হামলায় দোহার কাতারা জেলায় একাধিক বিস্ফোরণ শোনা যায় এবং ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখা যায়।
হামাসের প্রধান আলোচনাকারী খলিল আল-হায়া সহ কয়েকজন নেতাকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়েছে, যা গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কাতার সরকার এটিকে ‘কাপুরুষতাপূর্ণ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এবং শিন বেট গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইডিএফ এবং আইএসএ (শিন বেট) হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে একটি সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,
এই নেতারা বছরের পর বছর ধরে হামাসের অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন এবং ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর নির্মম গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী। হামলার আগে বেসামরিকদের ক্ষতি কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট অস্ত্র এবং গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযানের নাম ‘সামিট অফ ফায়ার’। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতান্যাহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজকের এই অভিযান হামাসের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতাদের বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইসরায়েলি অপারেশন। ইসরায়েল এটি শুরু করেছে, চালিয়েছে এবং সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করছে।” সূত্র জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল খলিল আল-হায়া এবং জাহের জাবারিন সহ হামাসের শীর্ষ নেতারা, যারা গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন। হামাসের একটি উৎস জানায়, আলোচনা দলের সদস্যরা বেঁচে গেছেন,
কিন্তু আরব মিডিয়ায় হতাহতের বৈষম্যপূর্ণ রিপোর্ট এসেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “কাতার রাষ্ট্র দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যদের বাসস্থানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি কাপুরুষতাপূর্ণ হামলাকে সবচেয়ে কঠোরভাবে নিন্দা করে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাতারের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।” কাতার সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্স তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে এবং তদন্ত চলছে। এই হামলা গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কাতার দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করে আসছে। মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালীন এই হামলা শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান,
ইসরায়েল হামলার আগে তাদের অবহিত করেছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল না। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামলাকে নিন্দা করে বলেন, “কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।” সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো হামলার নিন্দা করেছে এবং এটিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে গাজায় চলমান অভিযানের মধ্যে। হামাসের নেতৃত্বের ভাগ্য এখনও অস্পষ্ট, কিন্তু এই হামলা যুদ্ধের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই নেতারা বছরের পর বছর ধরে হামাসের অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন এবং ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর নির্মম গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী। হামলার আগে বেসামরিকদের ক্ষতি কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট অস্ত্র এবং গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযানের নাম ‘সামিট অফ ফায়ার’। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতান্যাহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজকের এই অভিযান হামাসের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতাদের বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইসরায়েলি অপারেশন। ইসরায়েল এটি শুরু করেছে, চালিয়েছে এবং সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করছে।” সূত্র জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল খলিল আল-হায়া এবং জাহের জাবারিন সহ হামাসের শীর্ষ নেতারা, যারা গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলেন। হামাসের একটি উৎস জানায়, আলোচনা দলের সদস্যরা বেঁচে গেছেন,
কিন্তু আরব মিডিয়ায় হতাহতের বৈষম্যপূর্ণ রিপোর্ট এসেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “কাতার রাষ্ট্র দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যদের বাসস্থানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি কাপুরুষতাপূর্ণ হামলাকে সবচেয়ে কঠোরভাবে নিন্দা করে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাতারের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।” কাতার সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্স তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে এবং তদন্ত চলছে। এই হামলা গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কাতার দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করে আসছে। মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালীন এই হামলা শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান,
ইসরায়েল হামলার আগে তাদের অবহিত করেছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল না। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামলাকে নিন্দা করে বলেন, “কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।” সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো হামলার নিন্দা করেছে এবং এটিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে গাজায় চলমান অভিযানের মধ্যে। হামাসের নেতৃত্বের ভাগ্য এখনও অস্পষ্ট, কিন্তু এই হামলা যুদ্ধের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।