ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ড. ইউনূসের পদত্যাগ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবিতে আওয়ামী লীগের ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা, শনিবার দেশজুড়ে ‘লকডাউন’
ডিএমপির ডিসি সামীর বিরুদ্ধে মামলা-বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎ এবং লন্ডনে টাকা পাচারের গুরুতর অভিযোগ
পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
৬ ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ থেকে সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা
এনইআইআর চালু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, ফোন নিবন্ধন চলবে মার্চ পর্যন্ত
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ : আইওএম
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েমের গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের লেখা ওই নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ‘হাউ প্রফেসর ইউনূস ইজ টিচিং ফ্যাসিজম ইন বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটিজ’ (কীভাবে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্যাসিবাদের পাঠ দিচ্ছেন) শীর্ষক ওই নিবন্ধে বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়।
১৫ হাজার শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও সনদ অকার্যকর
নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রায় ১৫,০০০ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে
বাতিল এবং তাদের অ্যাকাডেমিক সনদ অকার্যকর করা হয়েছে। লেখক অভিযোগ করেন, এই শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি, কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি এবং তাদের অপরাধ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্যও জানানো হয়নি। প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়া বা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর ‘মব জাস্টিস’ সাদ্দাম হোসেন তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন ‘মব’ বা সংঘবদ্ধ চক্রের শাসন চলছে। ছাত্রদলের ও শিবিরের কর্মীরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ
ছাড়াই শিক্ষকদের ক্লাসরুমে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কারজনকে একটি সেমিনার থেকে আটক করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া এবং জামিন না দিয়ে চার মাস কারাগারে রাখার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এছাড়া, ফেসবুকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিচার বিভাগ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহ নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণ এখন আর নিরাপদ নয়। বিচারকদের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেল প্রকাশ্যে বিচারকদের জামিন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করছেন। এছাড়া ড. ইউনূস প্রশাসন
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করা হয়। বিদেশি প্রতিনিধিরা যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের দূরে রেখে শুধুমাত্র সরকারের অনুগতদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে প্রকৃত সত্য ধামাচাপা থাকে।
বাতিল এবং তাদের অ্যাকাডেমিক সনদ অকার্যকর করা হয়েছে। লেখক অভিযোগ করেন, এই শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি, কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি এবং তাদের অপরাধ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্যও জানানো হয়নি। প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়া বা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর ‘মব জাস্টিস’ সাদ্দাম হোসেন তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন ‘মব’ বা সংঘবদ্ধ চক্রের শাসন চলছে। ছাত্রদলের ও শিবিরের কর্মীরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ
ছাড়াই শিক্ষকদের ক্লাসরুমে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কারজনকে একটি সেমিনার থেকে আটক করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া এবং জামিন না দিয়ে চার মাস কারাগারে রাখার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এছাড়া, ফেসবুকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিচার বিভাগ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহ নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণ এখন আর নিরাপদ নয়। বিচারকদের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেল প্রকাশ্যে বিচারকদের জামিন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করছেন। এছাড়া ড. ইউনূস প্রশাসন
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করা হয়। বিদেশি প্রতিনিধিরা যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের দূরে রেখে শুধুমাত্র সরকারের অনুগতদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে প্রকৃত সত্য ধামাচাপা থাকে।



