পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ১১:২১ অপরাহ্ণ

পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:২১ 24 ভিউ
পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ ১৪১ কোটি টাকার কাজ বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের হাতে নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে বাহিনীর ভেতরেই চলছে হাসাহাসি বাংলাদেশ পুলিশের নতুন পোশাকের কাপড় সরবরাহের ১৪১ কোটি টাকার কার্যাদেশ নোমান গ্রুপকে দেওয়াকে ঘিরে অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা বিচারাধীন থাকায় এই ক্রয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন ও সাধারণ মহলে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি পুলিশের নতুন ইউনিফর্মের জন্য কাপড় সরবরাহে দরপত্র আহ্বান করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রের শর্ত এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, যাতে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানই বাড়তি সুবিধা পায়। এতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং শেষ পর্যন্ত নোমান গ্রুপ ১৪১

কোটি টাকার কাজ পায়। অভিযোগ রয়েছে, বাজারদরের তুলনায় বেশি দামে এই কাপড় কেনা হয়েছে। একই মানের কাপড় অন্যান্য সরকারি সংস্থায় কম দামে কেনা হলেও পুলিশের ক্ষেত্রে ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেশি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ, হাসাহাসিও নতুন পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরুর পর এর ডিজাইন, কাপড়ের মান ও ফিটিং নিয়ে বাহিনীর ভেতর থেকেই অসন্তোষের কথা উঠে এসেছে। একাধিক ইউনিটের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই পোশাকে আরাম কম, নকশাও মানসম্মত নয়। এমনকি নতুন পোশাক নিয়ে পুলিশের ভেতরেই রসিকতা ও হাসাহাসি চলছে, যা বাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য অস্বস্তিকর বলে তারা মনে করছেন। দর মূল্যায়নেও

প্রশ্ন ক্রয় প্রক্রিয়ায় যুক্ত একাধিক কর্মকর্তা জানান, কারিগরি ও আর্থিক দর মূল্যায়নের সময় সব প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব সমানভাবে বিবেচিত হয়নি। দর মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কিত মালিকানা নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যে প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বিচারাধীন, সেই প্রতিষ্ঠানকে এত বড় সরকারি কাজ দেওয়ার আগে বাড়তি যাচাই জরুরি ছিল। এ ক্ষেত্রে সেই সতর্কতা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। দুদকের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন। পুলিশের পোশাক কেনা নিয়ে নতুন করে ওঠা অভিযোগগুলোর তথ্যও কমিশনের নজরে রয়েছে। যাচাই শেষে প্রয়োজন হলে

আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নীরব পুলিশ ও নোমান গ্রুপ এ বিষয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নোমান গ্রুপের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সুশাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুলিশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পোশাক সরবরাহে যদি স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হয়, তাহলে তা শুধু আর্থিক ক্ষতির বিষয় নয়, বরং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার ওপর জনগণের আস্থাও ক্ষুণ্ন করে। তারা পুরো ক্রয় প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ত্বকের কোলাজেন বাড়াবে ৬ খাবার বরিশালে তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্রই তালেবানের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি খেলাপি ঋণ আদায়ে তিন মাসে ১৫ হাজার মামলা আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি মাদুরো যেভাবে ব্যর্থ করছেন ভবিষ্যদ্বাণী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের শাহজালালে যাত্রীর লাগেজে মিলল ৯৩ হাজার ইউরো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘রিটায়ার্ড আউট’ সাকিব মৌলভীবাজার থেকে পিছু হটেছিল পাকিস্তানিরা প্রীতি সম্মিলনে এলেন তাঁরা এনসিপি নেতা আশরাফ মাহদীর বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ সেই জহুরুল হক হলের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে পাকিস্তানের পতাকা। বছর শেষে জোড়া ধামাকা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন তানজিকা মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি