‘ভারত টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না’: সাবেক জেনারেল আজমির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৫:১২ অপরাহ্ণ

‘ভারত টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না’: সাবেক জেনারেল আজমির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:১২ 24 ভিউ
বাংলাদেশের সাবেক সেনাসদস্য এবং জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আজমি ভারতের বিরুদ্ধে চরম উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। এক অনলাইন আলোচনায় তিনি মন্তব্য করেন, "ভারত যতদিন টুকরো টুকরো না হবে, ততদিন বাংলাদেশে পূর্ণ শান্তি আসবে না।" তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় আজমি দাবি করেন, নয়াদিল্লি সব সময় বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিরতা জিইয়ে রাখে। তিনি বলেন, "ভারত ভেঙে টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ কখনোই প্রকৃত শান্তি দেখবে না।" পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অভিযোগ আবদুল্লাহিল আমান আজমি অভিযোগ করেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল

পর্যন্ত ভারত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টিতে ইন্ধন যুগিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) গঠিত হয় এবং এর সশস্ত্র শাখা ছিল শান্তিবাহিনী। আজমির দাবি, "ভারত তাদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যার ফলে পাহাড়ে রক্তপাত হয়েছে।" এছাড়া, ১৯৯৭ সালে সই হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে, শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ ছিল কেবলই একটি ‘লোকদেখানো নাটক’। ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা উদ্বেগ আজমির এই বক্তব্যের পর ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মায়াঙ্ক চৌবে টুইটারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন মন্তব্য নয়, বরং বাংলাদেশের ক্ষমতার কাঠামোর ভেতরে লুকিয়ে

থাকা একটি বিশেষ ‘মনস্তত্ত্ব’। কর্নেল চৌবে সতর্ক করে বলেন, "এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে যে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো বর্তমানে কতটা শক্তিশালী বোধ করছে। ভারতকে অবশ্যই সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা কূটনীতির আড়ালে হাসিমুখে ভারতের ভাঙনের স্বপ্ন দেখে, তাদের বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।" জামায়াতের উত্থান ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলোর পুনরুত্থান নিয়ে ভারতে উদ্বেগ বাড়ছে। আগামী নির্বাচনের আগে জামায়াতের রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতিতে তাদের সাম্প্রতিক প্রভাব ভারতের নীতিনির্ধারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ১৯৭১ সালে যেই ভারত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জওয়ানদের রক্ত দিয়েছে এবং লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই ভারতের অখণ্ডতা বিনষ্টের আহ্বান জানানো ইতিহাসের অকৃতজ্ঞতা এবং সুবিধাবাদী রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির জন্য প্রতিবেশী দেশের ধ্বংস কামনা না করে বরং পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ত্বকের কোলাজেন বাড়াবে ৬ খাবার বরিশালে তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্রই তালেবানের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি খেলাপি ঋণ আদায়ে তিন মাসে ১৫ হাজার মামলা আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি মাদুরো যেভাবে ব্যর্থ করছেন ভবিষ্যদ্বাণী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের শাহজালালে যাত্রীর লাগেজে মিলল ৯৩ হাজার ইউরো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘রিটায়ার্ড আউট’ সাকিব মৌলভীবাজার থেকে পিছু হটেছিল পাকিস্তানিরা প্রীতি সম্মিলনে এলেন তাঁরা এনসিপি নেতা আশরাফ মাহদীর বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ সেই জহুরুল হক হলের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে পাকিস্তানের পতাকা। বছর শেষে জোড়া ধামাকা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন তানজিকা মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি