গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ২:১৩ অপরাহ্ণ

আরও খবর

“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ

ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের

ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন

৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক

‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক

গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২:১৩ 15 ভিউ
দিনটি ছিল মঙ্গলবার। হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় আনুমানিক ভোর পাঁচটায় বাগবাটী গ্রাম ঘেরাও করে। গাড়ির শব্দে পাহারারত যুবকরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করার আগেই এক শ’ পাকসেনা গ্রামে ঢুকে পড়ে তিন ভাগে অভিযান চালায়। একটি গ্রুপ হত্যা চালায়, একটি গ্রুপ ধর্ষণ করে, আরেকটি গ্রুপ পুরো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় রাজাকাররা পাকিস্তানীদের বাড়ি চিনিয়ে নিয়ে যায়। আকস্মিক হামলায় ঘুমন্ত মানুষ দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। পাকিরা যাকে চোখের সামনে পেয়েছে, তাকেই গুলি করে হত্যা করেছে। বিশেষ করে যুবক ও পুরুষদের। পালানোর সময় যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিল তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও দাঁড়াতে পারেনি স্বজনের পাশে। সেদিন পাকিরা আট-দশজন নারীকে

ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ নারি ছিলেন হিন্দু যুবতী এবং সদ্য বিবাহিতা। তাদের পিতা ও স্বামীর সামনেই হত্যা করা হয়। সেদিনের এক প্রত্যক্ষদর্শী রানী দত্ত বলেন, ভোরবেলা তিনি দেখতে পান মিলিটারি এসেছে। লোকজন ছুটছে। পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। গরু-বাছুর সব নিয়ে গিয়েছে। মিলিটারিরা তাঁর স্বামী, ভাসুর, ননদের জামাইসহ আরও অনেক নিকটাত্মীয়কে হত্যা করেছিল। সেই পরিবারগুলোর সবকিছু এক মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তাদের সেই দুঃখ, কষ্ট, বেদনা আজও লাঘব হয়নি। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সেদিন ভোররাত থেকে প্রায় সকাল নয়-দশটা পর্যন্ত হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে সুইপাররা এসে আশ্রয় নিয়েছিল হরিণা বাগবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে। সুইপাররা লাশগুলো একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে

নিয়ে গিয়ে কবর দেয়। এছাড়া অনেক লাশ কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। সেসব লাশের পচা দুর্গন্ধ অনেকদিন পর্যন্ত দূর থেকে পাওয়া যেত। যেই সুইপাররা লাশ মাটিচাপা দিত, তাদেরও মুক্তি ছিল না। সুইপারদেরও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। আমাদের জরিপ অনুসারে সেদিন সেখানে দুই শ’র অধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁদের মাঝে কয়েকজনের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অধিকাংশ শহীদের লাশ শনাক্ত না হওয়ার কারণ তাঁরা দূর-দুরান্তের গ্রাম থেকে এখানে এসেছিলেন জীবন বাঁচাতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁরা সবাই নিহত হন। হরিণাগোপাল ও বাগবাটী গ্রামে বলরাম নবদাসের বাঁশঝাড় এবং ক্ষুদিরাম রায়ের কুয়ায় এলাকাজুড়ে রয়েছে একাত্তরের বধ্যভূমি। এছাড়া উত্তর আলোকদিয়া শ্মশানেও রয়েছে

বধ্যভূমি। এ সকল বধ্যভূমি এখন ঝোপঝাড়ে আবৃত। প্রাণের ভয়ে সেই এলাকার গ্রামবাসী যে যার মতো পালিয়ে যান দূর-দূরান্তের গ্রামে বা আশপাশের ঝোপঝাড়ে। পরদিন বিকেলে অনেকে গ্রামে ফেরেন। ফিরে এসে এই নারকীয় বীভৎসতা দেখে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পথচলা শুরু করেন শরণার্থী শিবিরের দিকে। অনেকে পাড়ি জমান দূরের কোন আত্মীয়ের বাড়িতে। অনেক তরুণ যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। হরিণাগোপাল-বাগবাটী গণহত্যা নিয়ে ‘গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে একটি গণহত্যা নির্ঘণ্ট গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘ গবেষণার পর এই গ্রন্থটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এমফিল গবেষক সুস্মিতা দাস। তিনি নিয়মিত লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক ‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন শাসক বঙ্গবন্ধু: ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এক রাষ্ট্রনির্মাতার উপাখ্যান শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘সাংবিধানিক প্রহসন’, সংবিধানের ওপর আঘাত: ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদন তারেক জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির উত্থান: একটি অন্ধকার অধ্যায়ের বিশ্লেষণ গৃহকর্মীর পেটে বাবার ‘অবৈধ সন্তান’: ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের কলঙ্কিত জন্মরহস্য ফাঁস! বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান করতেই কি ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’? খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুঞ্জন ও ১৬ই ডিসেম্বরের নেপথ্য বিশ্লেষণ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মালাইকার বিস্ফোরক মন্তব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ ২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?