ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ
গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী
ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা
ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন
৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক
‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব ও একাডেমিক সনদ বাতিলের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর চিঠি দিয়েছে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট অ্যাট্রোসিটি অ্যান্ড ভায়োলেন্স অন হিউম্যানিটি’।
কানাডা ভিত্তিক এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে পাঠানো এক জরুরি পিটিশনে অভিযোগ করা হয়, কোনো প্রকার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া (Due Process), আগাম নোটিশ কিংবা সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংগঠনটির চেয়ারপারসন ইশরাত আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু করা
হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাদের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিলের মতো ঘটনা ঘটছে বলে চিঠিতে দাবি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), ৩১ অনুচ্ছেদ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার) এবং ৩৮ অনুচ্ছেদের (সংগঠন করার স্বাধীনতা) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একাডেমিক শাস্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচ্চশিক্ষার নৈতিক ভিত্তি এবং ক্যাম্পাসের একাডেমিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করেছে: ১. রাজনৈতিক পরিচয় বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে যাদের ছাত্রত্ব বা সনদ বাতিল করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে তা ফিরিয়ে দেওয়া। ২. এসব বাতিলের পেছনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখতে
একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা। ৩. রাজনৈতিক বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবে একাডেমিক ব্যবস্থার ব্যবহার রোধে প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ৪. সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান আচরণ, সাংবিধানিক অধিকার ও একাডেমিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশ্য অঙ্গীকার। উক্ত পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম. আউয়াল, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অশোক ভট্টাচার্য ও ড. মৃদুল বোস, কানাডার শেরিডান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য্য, যুক্তরাষ্ট্রের
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী উইলিয়াম স্লোন প্রমুখ। শিক্ষাবিদ ও সচেতন মহল মনে করছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় এই চিঠির গুরুত্ব অপরিসীম। তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাদের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিলের মতো ঘটনা ঘটছে বলে চিঠিতে দাবি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), ৩১ অনুচ্ছেদ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার) এবং ৩৮ অনুচ্ছেদের (সংগঠন করার স্বাধীনতা) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একাডেমিক শাস্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচ্চশিক্ষার নৈতিক ভিত্তি এবং ক্যাম্পাসের একাডেমিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করেছে: ১. রাজনৈতিক পরিচয় বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে যাদের ছাত্রত্ব বা সনদ বাতিল করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে তা ফিরিয়ে দেওয়া। ২. এসব বাতিলের পেছনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখতে
একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা। ৩. রাজনৈতিক বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবে একাডেমিক ব্যবস্থার ব্যবহার রোধে প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ৪. সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান আচরণ, সাংবিধানিক অধিকার ও একাডেমিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশ্য অঙ্গীকার। উক্ত পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম. আউয়াল, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অশোক ভট্টাচার্য ও ড. মৃদুল বোস, কানাডার শেরিডান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য্য, যুক্তরাষ্ট্রের
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী উইলিয়াম স্লোন প্রমুখ। শিক্ষাবিদ ও সচেতন মহল মনে করছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় এই চিঠির গুরুত্ব অপরিসীম। তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।



