ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর, এখন সব উল্টে দিচ্ছেন’—ফাঁস হওয়া অডিওতে শেখ হাসিনা
‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর, এখন সব উল্টে দিচ্ছেন’—ফাঁস হওয়া অডিওতে শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্ব: এক যুগে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেল আড়াই কোটি মানুষ, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ঐতিহাসিক সাফল্যের চিত্র
ডিজিটাল ফোরাম থেকে টিটিপি নিয়োগ নেটওয়ার্ক
লটারির মাধ্যমে দেশের ৫২৭ থানার ওসি পদে রদবদল
সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বিএসএফের অস্বীকার
আবারও বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার: অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্স সফর করলেন সিজিএস লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) সার্বিক নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের একমাত্র এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা ‘নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি রেজিম’ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্স সফর করেছেন।
‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর হাতে আসা বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের (এএফডি) নথিপত্র অনুযায়ী, গত ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় দিনের এই সফর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দলটি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সদর দপ্তরে সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে সিজিএস ছাড়াও ভিয়েনায় বাংলাদেশের
ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার রুবাইয়াত মাহমুদ হাসিব এবং দুইজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত করা। এতদিন একটি বিশেষ সেলের মাধ্যমে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এই ‘ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম’ (পিপিএস) পরিচালিত হতো। তবে এখন সেনাবাহিনী এই ব্যবস্থার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম রিঅ্যাক্টরটি (Reactor-1) শীঘ্রই চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় আইন, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা এবং আইএইএ (IAEA) প্রোটোকল মেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো সেনাবাহিনীর জন্য এখন অগ্রাধিকারমূলক কাজ। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে লে. জেনারেল শামীম ‘নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি’র পরিধি বাড়ানো নিয়ে আইএইএ কর্মকর্তাদের সাথে
বিশদ আলোচনা করেন। অস্ট্রিয়া সফরের পর প্রতিনিধি দলটি ফ্রান্সে যায়। সেখানে তারা ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তবে ফ্রান্সের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার রোসাটমের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পে দুটি ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা চালু হলে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিশেষ এয়ার কার্গোযোগে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য
ফ্রেশ ইউরেনিয়াম জ্বালানি বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ভারত এই প্রকল্পের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের সহায়তা প্রদান করেছে। যদিও ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা ছিল, তবে তা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার রুবাইয়াত মাহমুদ হাসিব এবং দুইজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত করা। এতদিন একটি বিশেষ সেলের মাধ্যমে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এই ‘ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম’ (পিপিএস) পরিচালিত হতো। তবে এখন সেনাবাহিনী এই ব্যবস্থার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম রিঅ্যাক্টরটি (Reactor-1) শীঘ্রই চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় আইন, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা এবং আইএইএ (IAEA) প্রোটোকল মেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো সেনাবাহিনীর জন্য এখন অগ্রাধিকারমূলক কাজ। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে লে. জেনারেল শামীম ‘নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি’র পরিধি বাড়ানো নিয়ে আইএইএ কর্মকর্তাদের সাথে
বিশদ আলোচনা করেন। অস্ট্রিয়া সফরের পর প্রতিনিধি দলটি ফ্রান্সে যায়। সেখানে তারা ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তবে ফ্রান্সের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার রোসাটমের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পে দুটি ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা চালু হলে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিশেষ এয়ার কার্গোযোগে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য
ফ্রেশ ইউরেনিয়াম জ্বালানি বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ভারত এই প্রকল্পের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের সহায়তা প্রদান করেছে। যদিও ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা ছিল, তবে তা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।



