
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ফরিদপুরে থানার সামনে বাসে আগুন

‘হাতে বানানো মদ’ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যু

ভুল চিকিৎসায় হাত-পা হারালেন শিশু তানভির, চিকিৎসক আটক

কলাপাড়ায় ইউএনওর পুকুরে মিলল জীবন্ত ইলিশ

মুরাদনগরে বাস স্টেশনে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ মোতায়েন

পরিবারের সবাই ইয়াবা বিক্রেতা, অতঃপর…

জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার প্রস্তুতির আহ্বান পূজা পরিষদের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ স্ত্রীর

পঞ্চগড়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আসিফ আলী জিভালের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধর, মানসিক নির্যাতন এবং পরনারীতে আসক্তির অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী দেওয়ান স্বীকৃতি রহমান ওরফে চৈতী।
এ ঘটনায় তিনি ঢাকা সিএমএম আদালত ও যশোরে পৃথক মামলা করেছেন। তার স্বামী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে হেনস্তা করবেন- এমন হুমকি দিয়েছেন বলে চৈতী জানান।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফ আলী জিভাল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে, সে কারণে আদালতেই এর সুরাহা হবে।
জানা গেছে, যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড এলাকার দেওয়ান মিজানুর রহমানের মেয়ে দেওয়ান স্বীকৃতি রহমান ওরফে
চৈতী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। অপরদিকে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন সোনাডাঙ্গা ফেজ-২ এর (রোড নম্বর ৫, হোল্ডিং নম্বর ৫৮) বাসিন্দা নওয়াব আলীর ছেলে আসিফ আলী জিভালও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পূর্বের জানা শোনা থেকে পরিচয় ও অন্তরঙ্গতার একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ তারা ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিভাল ও চৈতীর এর আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং উভয়েই তালাকপ্রাপ্ত হয়ে এই বিয়ে করেন। চৈতীর প্রথমপক্ষে একটি মেয়ে রয়েছে। যা দুইজনেই তাদের অ্যাফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন। চৈতীর অভিযোগ, বিয়ের পর সুখে-শান্তিতেই তাদের সংসার শুরু হয়। এক মাস যেতে না যেতেই জিভাল ওই বছরের ১৯ এপ্রিল একটি গাড়ি কেনার জন্যে তার কাছে ২৫ লাখ টাকা
দাবি করেন। কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় জিভাল তাকে শারীরিকভাবে আঘাত (চড়-থাপ্পড়সহ লাঠি দিয়ে বাড়ি) এবং মানসিকভাবেও অত্যাচার করেন। পরদিন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যশোরে বাবার বাড়ি চলে যান এবং হাসপাতাল ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি জানান, সংসার টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষের আপস-মীমাংসার পর তিনি ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। এরপর ১৫ নভেম্বর তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে এলে জিভালও আসেন। যশোরে এসেও তিনি গাড়ি কেনার সেই ২৫ লাখ টাকার জন্যে ফের চাপ দিতে থাকেন। পরিবারের অর্থনৈতিক দৈন্যতার কথা জানিয়ে ওই টাকা দিতে পারবে না জানালে জিভাল এখানেও তাকে মারধর করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে মেঝেতে ফেলে চড়, লাথি মারতে
থাকেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় এবং ঠোঁট কেটে যায়। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তিনি। চৈতী বলেন, আমাদের দু’জনেরই আগে বিয়ে হয়েছিল; এ বিষয়ে আমরা দুইজনই অবগত। এসব জেনে শুনেই আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই জিভাল পল্লবী নামে আরেক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। তাদের সেই সম্পর্কে বাধা হয়েছি বিধায় যৌতুকের দাবিতে আমাকে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা এবং যশোর আদালতে আরেকটি মামলা করি। তিনি বলেন, এসব ঘটনার আদ্যোপান্ত উল্লেখ
করে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি কোনো সুরাহা না করায় চলতি বছরের ২ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি। সেখানে যৌতুকের দাবিতে মারপিটসহ পরনারীতে আসক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছি। এখন সবকিছু ভুলে আবারও স্বামী-সংসার করতে চাই। এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আসিফ আলী জিভাল বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে কখনো একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সংসার বা থাকা হয়নি। তাকে মারধরের কোনো প্রশ্নই আসে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাকে কেন আমি নির্যাতন করবো বা যৌতুক চাইবো। তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে মারধরের
যে ঘটনার দিন ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে; ওই সময় আমি সাভারে ট্রেনিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। মূলত আমাকে হেনস্তা করতেই এ ধরনের মামলা করা হয়েছে। যেহেতু মামলা করেছে, আদালতই বিচার করবেন।
চৈতী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। অপরদিকে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন সোনাডাঙ্গা ফেজ-২ এর (রোড নম্বর ৫, হোল্ডিং নম্বর ৫৮) বাসিন্দা নওয়াব আলীর ছেলে আসিফ আলী জিভালও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পূর্বের জানা শোনা থেকে পরিচয় ও অন্তরঙ্গতার একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ তারা ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিভাল ও চৈতীর এর আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং উভয়েই তালাকপ্রাপ্ত হয়ে এই বিয়ে করেন। চৈতীর প্রথমপক্ষে একটি মেয়ে রয়েছে। যা দুইজনেই তাদের অ্যাফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন। চৈতীর অভিযোগ, বিয়ের পর সুখে-শান্তিতেই তাদের সংসার শুরু হয়। এক মাস যেতে না যেতেই জিভাল ওই বছরের ১৯ এপ্রিল একটি গাড়ি কেনার জন্যে তার কাছে ২৫ লাখ টাকা
দাবি করেন। কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় জিভাল তাকে শারীরিকভাবে আঘাত (চড়-থাপ্পড়সহ লাঠি দিয়ে বাড়ি) এবং মানসিকভাবেও অত্যাচার করেন। পরদিন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যশোরে বাবার বাড়ি চলে যান এবং হাসপাতাল ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি জানান, সংসার টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষের আপস-মীমাংসার পর তিনি ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। এরপর ১৫ নভেম্বর তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে এলে জিভালও আসেন। যশোরে এসেও তিনি গাড়ি কেনার সেই ২৫ লাখ টাকার জন্যে ফের চাপ দিতে থাকেন। পরিবারের অর্থনৈতিক দৈন্যতার কথা জানিয়ে ওই টাকা দিতে পারবে না জানালে জিভাল এখানেও তাকে মারধর করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে মেঝেতে ফেলে চড়, লাথি মারতে
থাকেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় এবং ঠোঁট কেটে যায়। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তিনি। চৈতী বলেন, আমাদের দু’জনেরই আগে বিয়ে হয়েছিল; এ বিষয়ে আমরা দুইজনই অবগত। এসব জেনে শুনেই আমরা বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই জিভাল পল্লবী নামে আরেক বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। তাদের সেই সম্পর্কে বাধা হয়েছি বিধায় যৌতুকের দাবিতে আমাকে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা এবং যশোর আদালতে আরেকটি মামলা করি। তিনি বলেন, এসব ঘটনার আদ্যোপান্ত উল্লেখ
করে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি কোনো সুরাহা না করায় চলতি বছরের ২ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি। সেখানে যৌতুকের দাবিতে মারপিটসহ পরনারীতে আসক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছি। এখন সবকিছু ভুলে আবারও স্বামী-সংসার করতে চাই। এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আসিফ আলী জিভাল বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে কখনো একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সংসার বা থাকা হয়নি। তাকে মারধরের কোনো প্রশ্নই আসে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাকে কেন আমি নির্যাতন করবো বা যৌতুক চাইবো। তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে মারধরের
যে ঘটনার দিন ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে; ওই সময় আমি সাভারে ট্রেনিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। মূলত আমাকে হেনস্তা করতেই এ ধরনের মামলা করা হয়েছে। যেহেতু মামলা করেছে, আদালতই বিচার করবেন।