
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৫০ বছর বয়সে ছেলের বন্ধুকে বিয়ে, এবার সন্তান আসছে ঘরে

২০০ বারের বেশি সাপের ছোবল খাওয়া ব্যক্তির রক্ত থেকে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিভেনম

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা এখন এক নর্দমা

সাত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়

বিয়ের জন্য মেয়ের বয়স ১৬, ছেলের ১৮ করার দাবি

মাথার মূল্য এক কোটি টাকা!

এক মাঘে শীত যায় না, এক জ্বরে রোগ যায় না
কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা?

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-কে বাঁচাতে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন একদল হিন্দু। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইমাম হোসাইনের হয়ে হিন্দুরা কেন যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন? কারণ- স্বৈরাচারী ইয়াজিদ যখন ইমাম হোসাইন (রা.)-কে কারবালার প্রান্তরে সপরিবারে হত্যা করার চক্রান্ত করছিল, তখন তিনি বিশ্ব মানবতার উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘হাল মিন নাসিরিন ইয়ানসুরনা!’ অর্থাৎ কেউ কি কোথাও আছেন, যারা আমাদের সাহায্য করতে পারেন?
সেই ডাকে সাড়া দেন সুদূর ভারতের রাজা সমুদ্রগুপ্ত। তিনি তার বীর সেনাদের একটি দলকে কারবালায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বীর যোদ্ধা রিহাব সিধ দত্ত। যিনি পাঞ্জাবের একজন মোহিয়াল ব্রাহ্মণ ছিলেন। কিন্তু রিহাব দত্ত ও তার সাহসী সেনারা যখন কারবালায়
পৌঁছান, ততক্ষণে ইমাম হোসাইন (রা.) শহীদ হয়ে যান। তখন ক্ষোভে-দুঃখে ভারত থেকে যাওয়া ওই সেনারা স্থির করেন নিজেদের তরবারি দিয়েই তারা নিজেদের শিরশ্ছেদ করবেন। কিন্তু ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আরব অনুরাগীরা তাদের বোঝালেন, এভাবে জীবন নষ্ট না করে, তারা যেন জনাব-ই-মুখতারের বাহিনীতে যোগদান করেন এবং হুসাইন (রা.)-এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার লড়াইতে সামিল হোন! রিহাব দত্ত ও তার বাহিনী ঠিক সেটাই করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ করে নিহত হয়েছিলেন। বাহিনীর যারা বেঁচে যান, তাদের কেউ কেউ সেখানেই রয়ে যান– আবার কেউ কেউ মাতৃভূমি ভারতে ফিরে আসেন। কারবালায় যাওয়া সেই হিন্দু ব্রাহ্মণদের বংশধররা আজও ইমাম হোসাইনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই হিন্দু হয়েও বহু মুসলিম
রীতিনীতি পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে তারা রমজান মাসে রোজা রাখেন এবং আশুরা পালন করেন। মাঝে মাঝে তারা মসজিদেও যান, জুমার নামাজেও অংশ নেন। ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে এক বিরল সেতুবন্ধ রচনার কারণেই হুসাইনি ব্রাহ্মণরা ভারতের সমাজজীবনে একটি অসাধারণ জায়গা অধিকার করে আছেন। সংখ্যায় তারা কম হতে পারেন, কিন্তু স্বকীয়তায় ও ধর্মীয় সম্প্রীতিতে এক উজ্জ্বল জনগোষ্ঠী! সেই পরম্পরা অনুসরণ করেই আজও ভারতে হুসাইনি ব্রাহ্মণরা তাদের জীবনচর্যায় হিন্দু ও মুসলিম– দুই ধর্মেরই কিছু কিছু রীতি রেওয়াজ, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করে থাকেন। ভারতের প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুনীল দত্ত ছিলেন একজন হুসাইনি ব্রাহ্মণ। তার স্ত্রী নার্গিস দত্তও ছিলেন মোহিয়াল। তাদের সন্তান সঞ্জয়
দত্তও হুসাইনি ব্রাহ্মণ। হুসাইনি ব্রাহ্মণরা একটি গর্বিত বীর বংশের সন্তান। সেই গল্প তারা বাপ-দাদাদের কাছে চিরকাল শুনে এসেছেন। অনেক হুসাইনি ব্রাহ্মণ পরিবারই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের ছেলেমেয়েরা ক্যান্টনমেন্টের মন্দির-মসজিদ-গির্জা সমন্বিত একটা উদার ও সহিষ্ণু পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই তাদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদও খুব কম! সূত্র : বিবিসি বাংলা
পৌঁছান, ততক্ষণে ইমাম হোসাইন (রা.) শহীদ হয়ে যান। তখন ক্ষোভে-দুঃখে ভারত থেকে যাওয়া ওই সেনারা স্থির করেন নিজেদের তরবারি দিয়েই তারা নিজেদের শিরশ্ছেদ করবেন। কিন্তু ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আরব অনুরাগীরা তাদের বোঝালেন, এভাবে জীবন নষ্ট না করে, তারা যেন জনাব-ই-মুখতারের বাহিনীতে যোগদান করেন এবং হুসাইন (রা.)-এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার লড়াইতে সামিল হোন! রিহাব দত্ত ও তার বাহিনী ঠিক সেটাই করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ করে নিহত হয়েছিলেন। বাহিনীর যারা বেঁচে যান, তাদের কেউ কেউ সেখানেই রয়ে যান– আবার কেউ কেউ মাতৃভূমি ভারতে ফিরে আসেন। কারবালায় যাওয়া সেই হিন্দু ব্রাহ্মণদের বংশধররা আজও ইমাম হোসাইনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই হিন্দু হয়েও বহু মুসলিম
রীতিনীতি পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে তারা রমজান মাসে রোজা রাখেন এবং আশুরা পালন করেন। মাঝে মাঝে তারা মসজিদেও যান, জুমার নামাজেও অংশ নেন। ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে এক বিরল সেতুবন্ধ রচনার কারণেই হুসাইনি ব্রাহ্মণরা ভারতের সমাজজীবনে একটি অসাধারণ জায়গা অধিকার করে আছেন। সংখ্যায় তারা কম হতে পারেন, কিন্তু স্বকীয়তায় ও ধর্মীয় সম্প্রীতিতে এক উজ্জ্বল জনগোষ্ঠী! সেই পরম্পরা অনুসরণ করেই আজও ভারতে হুসাইনি ব্রাহ্মণরা তাদের জীবনচর্যায় হিন্দু ও মুসলিম– দুই ধর্মেরই কিছু কিছু রীতি রেওয়াজ, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করে থাকেন। ভারতের প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুনীল দত্ত ছিলেন একজন হুসাইনি ব্রাহ্মণ। তার স্ত্রী নার্গিস দত্তও ছিলেন মোহিয়াল। তাদের সন্তান সঞ্জয়
দত্তও হুসাইনি ব্রাহ্মণ। হুসাইনি ব্রাহ্মণরা একটি গর্বিত বীর বংশের সন্তান। সেই গল্প তারা বাপ-দাদাদের কাছে চিরকাল শুনে এসেছেন। অনেক হুসাইনি ব্রাহ্মণ পরিবারই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের ছেলেমেয়েরা ক্যান্টনমেন্টের মন্দির-মসজিদ-গির্জা সমন্বিত একটা উদার ও সহিষ্ণু পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই তাদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদও খুব কম! সূত্র : বিবিসি বাংলা