
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সাউথ এশিয়ান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল-এ মঞ্চস্থ হলো ‘ভুল থেকে ফুল’-টিপু আলম

নিউ ইয়র্কে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলা ও চড়ুইভাতি ২০২৫

নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে মহিউদ্দিন দেওয়ান

নিউইয়র্কে নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার অ্যান্ড জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা মাঠে ঈদুল আযহার বিশাল জামায়াত অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জামালপুরবাসীর কল্যাণে অগ্রবর্তী অংশে থেকে কাজ করবো: নিম্মি

যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত
বঙ্গবন্ধু বইমেলায় তসলিমা নাসরিন বললেন-

নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলায় ২৪ মে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদি-জঙ্গিদের প্রাণনাশের হুমকিতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেন, ৩১ বছর যাবত নির্বাসিত জীবন-যাপন করছি। আমি নিজের দেশে যেতে পারি না। যে পশ্চিম বঙ্গে বাস করছিলাম সেখানেও নিরাপত্তাহীনতা, সেখানেও এখোন আমার স্বাধীনতা নেই। এখানে আমি এসেছি শুধু দেখতে যে, কী ঘটছে এখানে। এই সিটিতেই আরেকটি বইমেলা হচ্ছে, শুনেছি ওখানে সবাই জয় বাংলার পক্ষে নয়, তাই ঐ বইমেলা (মুক্তধারা আয়োজিত মেলার প্রতি ইঙ্গিত করে) অনেক বড় এবং পুরনো জানা সত্বেও আমি ওখানে যাবার ব্যাপারে কোন আগ্রহ প্রকাশ করিনি। আমি এখানে এসেছি কারণ,
আমি মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষের মানুষ। আমি বাংলাদেশের পক্ষের মানুষ এবং স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আমি এখানে এসেছি এবং আপনাদের আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে এইভাবে সম্মান জানানোর জন্যে। কারণ আমি জানি ঐ বইমেলায় এমন অনেক মানুষ থাকবে যারা নারী বিদ্বেষী, যারা আমাকে ওখানে একেবারেই সম্মান জানাবে না, তা আমি জানি। সুতরাং আপনারা যে আন্তরিকতা দেখালেন তা আমি চিরকাল মনে রাখবো। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনির মধ্যে তসলিমা উচ্চারণ করেন, আপনারাই আমার দেশ। এখানে এসে এই যে ভালবাসা আমি পাচ্ছি সেই ভালবাসাই আমাদের দেশ।
উল্লেখ্য, তসলিমা নাসরিনের উপস্থিতিকে সকলেই অভিবাদন জানিয়েছেন। প্রাণ খুলে কথা বলেছেন। বইয়ের স্টল
ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধায় অংশিদার করেছেন। এমনকি প্রবাসের কবিগণের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানেও তাকে অতিথি হিসেবে সম্মান জানিয়েছেন এবং তসলিমা নিজের লেখা কবিতাও পাঠ করেছেন। কবিতার নাম ছিল ‘যুদ্ধ’। ওদের অস্ত্র আছে, তাই যুদ্ধে নেমেছে/ ওরা ধ্বংস ভালাবাসে, তাই যুদ্ধে নেমেছে/ তুমি আমি চল চুম্বন করি ঠোঁটে, চলো মধ্যম আঙুল দেখাই যুদ্ধবাজদের/ চুম্বনে সিক্ত হয়ে চলো তুমি আমি এক একটি দেশ হয়ে উঠি, তোমার নাম আজ থেকে রাশিয়া, আমি ইউক্রেন/ তুমি যদি কিউবা, এল সালভাদর, নিকারাগুয়া, তুমি যদি পানামা, তুমি যদি ইরাক, আফগানিস্তান, আমি আমেরিকা/ তুমি আজ ইসরায়েল, আমি ফিলিস্তিন, আমি ভারত, তুমি চীন/ চলো চুম্বন করি, আর মধ্যম আঙুল
তুলে ধরি নৃশংসতা আর ধ্বংসস্তুপের দিকে/ যত অস্ত্র আছে জগতে, যত পারমাণবিক বোমা, সব জড়ো করে একটি গভীর চুম্বনের সামনে কেউ দাঁড় করাতে পারবে না, হেরে যাবে/ কোনও ভয়াবহ মারণাস্ত্রও একটি সাদামাটা চুম্বনের চেয়ে শক্তিশালী নয়/ চলো চুম্বন করি, চলো পরস্পরকে স্পর্শ করি ভালবেসে/ সন্তান জন্ম নিক আমাদের/ সে সন্তানের নাম দেবো : পৃথিবী।

পক্ষের মানুষ। আমি বাংলাদেশের পক্ষের মানুষ এবং স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আমি এখানে এসেছি এবং আপনাদের আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে এইভাবে সম্মান জানানোর জন্যে। কারণ আমি জানি ঐ বইমেলায় এমন অনেক মানুষ থাকবে যারা নারী বিদ্বেষী, যারা আমাকে ওখানে একেবারেই সম্মান জানাবে না, তা আমি জানি। সুতরাং আপনারা যে আন্তরিকতা দেখালেন তা আমি চিরকাল মনে রাখবো। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনির মধ্যে তসলিমা উচ্চারণ করেন, আপনারাই আমার দেশ। এখানে এসে এই যে ভালবাসা আমি পাচ্ছি সেই ভালবাসাই আমাদের দেশ।

ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধায় অংশিদার করেছেন। এমনকি প্রবাসের কবিগণের কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানেও তাকে অতিথি হিসেবে সম্মান জানিয়েছেন এবং তসলিমা নিজের লেখা কবিতাও পাঠ করেছেন। কবিতার নাম ছিল ‘যুদ্ধ’। ওদের অস্ত্র আছে, তাই যুদ্ধে নেমেছে/ ওরা ধ্বংস ভালাবাসে, তাই যুদ্ধে নেমেছে/ তুমি আমি চল চুম্বন করি ঠোঁটে, চলো মধ্যম আঙুল দেখাই যুদ্ধবাজদের/ চুম্বনে সিক্ত হয়ে চলো তুমি আমি এক একটি দেশ হয়ে উঠি, তোমার নাম আজ থেকে রাশিয়া, আমি ইউক্রেন/ তুমি যদি কিউবা, এল সালভাদর, নিকারাগুয়া, তুমি যদি পানামা, তুমি যদি ইরাক, আফগানিস্তান, আমি আমেরিকা/ তুমি আজ ইসরায়েল, আমি ফিলিস্তিন, আমি ভারত, তুমি চীন/ চলো চুম্বন করি, আর মধ্যম আঙুল
তুলে ধরি নৃশংসতা আর ধ্বংসস্তুপের দিকে/ যত অস্ত্র আছে জগতে, যত পারমাণবিক বোমা, সব জড়ো করে একটি গভীর চুম্বনের সামনে কেউ দাঁড় করাতে পারবে না, হেরে যাবে/ কোনও ভয়াবহ মারণাস্ত্রও একটি সাদামাটা চুম্বনের চেয়ে শক্তিশালী নয়/ চলো চুম্বন করি, চলো পরস্পরকে স্পর্শ করি ভালবেসে/ সন্তান জন্ম নিক আমাদের/ সে সন্তানের নাম দেবো : পৃথিবী।