১২ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশির বাংলাদেশ ত্যাগ! – ইউ এস বাংলা নিউজ




১২ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশির বাংলাদেশ ত্যাগ!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৩২ 101 ভিউ
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশি দেশ ছেড়েছেন। তবে এখনও প্রায় ৩৩ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক এক্সিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন, যা প্রশাসনের নজরে আসার পর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে, গত ৮ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। একইসঙ্গে, যেসব প্রতিষ্ঠান

বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়েছে, তাদেরও সহযোগিতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২৬ ডিসেম্বর আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে, বৈধতার জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার তথ্যমতে, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ৪,৫০০ বিদেশি নাগরিক বৈধতার জন্য আবেদন করেছেন। তবে, প্রকৃত অবৈধ নাগরিকদের তুলনায় এটি খুবই কম সংখ্যা। ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে এক্সিট ভিসা নিয়ে ১২ হাজারের বেশি বিদেশি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। এ সময় তারা প্রায় ১৫ কোটি টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন। এছাড়া, কিছু বিদেশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে গেছেন বলেও গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এক কর্মকর্তা

জানান, বর্তমানে ৩৩ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এদের অনেকে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রকল্পে কর্মরত আছেন অথবা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। ৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন)। কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। টাস্কফোর্স বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের শনাক্তকরণ, নীতিগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন

করবে। একইসঙ্গে, অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।