ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
সবজির বাজারে ক্রেতাদের ‘পৌষ মাস’, কৃষকের ‘সর্বনাশ’
শীতকালীন মৌসুমে বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। এখন মাঘ মাস চললেও ক্রেতাদের জন্য সবজির বাজারে এখনও চলছে “পৌষ মাস”।
অন্যদিকে, মেহেরেপুরের কয়েকটি গ্রামে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফুলকপি এখন গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। বগুড়ার মহাস্থানে সবজির মোকামে সব রকম সবজির দাম গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তাই বলা যায় সবজি বাজারে কৃষকের এখন “সর্বনাশ”।
কিছু সবজির মৌসুম না হওয়ায় সেই সবজিগুলোর দাম কিছুটা বেশি। এর মধ্যে রয়েছে বরবটি, করলা। এগুলোই এখন বাজারের সবচেয়ে বেশি দামি সবজি। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দামের এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, প্রতি কেজি
লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এ ছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ২০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। রাজধানীতে বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি
কেজি ২০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকায়। অন্যদিকে, মেহেরপুরের সাহারবাটি গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে স্বল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফার আশায় শীতাকালীন ফুলকপি চাষ করলেও এখন ক্রেতা না পাওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। ঋণের টাকায় অনেকেই ফুলকপি চাষ শুরু করেন, ঋণ পরিশোধ নিয়ে তারা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। কৃষকরা বলছেন, প্রতি বছর শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পান তারা। লাভের আশায় চলতি মৌসুমেও অনেকেই ফুলকপির চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু এ বছর নানা জাতের সবজিতে বাজার ভরে গেছে। পাশাপাশি ফুলকপির উৎপাদনও ভালো হয়েছে। তবে মুনাফার অঙ্ক পড়ে আছে শূন্যের ঘরে। প্রতি
পিস কপির উৎপাদন খরচ যেখানে ৭ থেকে ৮ টাকা। সেখানে বর্তমান বাজারে চাষিদের ক্ষেতে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকায়। ফলে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। এদিকে, বগুড়ার মহাস্থানের মোকামে সব রকম শীতকালীন সবজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজির মধ্যে। সবজির অব্যাহত দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচের টাকাও উঠাতে পারছেন না বলে তাদের দাবি। দেখা গেছে, আলুর কেজি ২৫, শিম ১০, বেগুন-করলা ২৫ এবং টমেটো পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সবচেয়ে কম ২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মূলা। আর ফুলকপি প্রতিপিস মাত্র ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
এছাড়া প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ১২ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠছে না। তবে উৎপাদন খরচ না উঠলেও জমিতে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষায় সবজি কম দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে সবজির দাম কমায় কৃষকের পাশাপাশি বিপাকে আড়তদাররাও। তারা জানান, সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমে গেছে দাম। এতে লাভ ওঠানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এ ছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ২০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। রাজধানীতে বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি
কেজি ২০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকায়। অন্যদিকে, মেহেরপুরের সাহারবাটি গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে স্বল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফার আশায় শীতাকালীন ফুলকপি চাষ করলেও এখন ক্রেতা না পাওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। ঋণের টাকায় অনেকেই ফুলকপি চাষ শুরু করেন, ঋণ পরিশোধ নিয়ে তারা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। কৃষকরা বলছেন, প্রতি বছর শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পান তারা। লাভের আশায় চলতি মৌসুমেও অনেকেই ফুলকপির চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু এ বছর নানা জাতের সবজিতে বাজার ভরে গেছে। পাশাপাশি ফুলকপির উৎপাদনও ভালো হয়েছে। তবে মুনাফার অঙ্ক পড়ে আছে শূন্যের ঘরে। প্রতি
পিস কপির উৎপাদন খরচ যেখানে ৭ থেকে ৮ টাকা। সেখানে বর্তমান বাজারে চাষিদের ক্ষেতে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকায়। ফলে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। এদিকে, বগুড়ার মহাস্থানের মোকামে সব রকম শীতকালীন সবজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজির মধ্যে। সবজির অব্যাহত দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচের টাকাও উঠাতে পারছেন না বলে তাদের দাবি। দেখা গেছে, আলুর কেজি ২৫, শিম ১০, বেগুন-করলা ২৫ এবং টমেটো পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সবচেয়ে কম ২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মূলা। আর ফুলকপি প্রতিপিস মাত্র ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
এছাড়া প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ১২ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠছে না। তবে উৎপাদন খরচ না উঠলেও জমিতে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষায় সবজি কম দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে সবজির দাম কমায় কৃষকের পাশাপাশি বিপাকে আড়তদাররাও। তারা জানান, সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমে গেছে দাম। এতে লাভ ওঠানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।