ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পূর্বাভাস: জানুয়ারির শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সজীব ওয়াজেদ জয়ের দাবি
উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধের প্রতিবাদে বিবৃতি
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি
ভবনজুড়ে ক্ষত আর ধ্বংসের চিহ্ন
ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন এখন কেবলই ধ্বংসস্তূপ। ভবনটিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর আর লুটপাট হয় ভবনটির ভেতরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ স্মৃতিচিহ্ন। নষ্ট হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচিহ্নগুলোও।
গত মঙ্গলবার ভবনটিতে গিয়ে দেখা গেল, সব প্রবেশপথের লোহার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামনের দেয়ালের ওপর কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া। বাইরে থেকে তাকালে তিনতলা ভবনটিতে ধ্বংসের চিহ্ন চোখে পড়ে। ভেতরে থাকা সব গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। ভবনের গা-ঘেঁষে ওপরে উঠে যাওয়া বাগানবিলাস গাছগুলোতেও ফুটেছে নতুন
ফুল। এলাকা ঘুরে দেখা গেল, স্মৃতি জাদুঘরের গেট সংলগ্ন শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটিও নেই। লেক-সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় ভাস্কর্য ছিল, সেটিও আর নেই। প্রতিকৃতি নেই, কোনো রকমে বেদিটি টিকে আছে। বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের ফুটপাতে একটি বড় লোহার কনটেইনারে প্লাস্টিকের চেয়ারসহ কিছু জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিল অথবা লুটের পর ফেরত দিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভবনটির নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পালাক্রমে দিনরাত বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ছাড়াও পাশের তিনটি
বাড়ি এবং একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এই তিনটি বাড়িও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও আওয়ামী লীগের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। একটি বাড়ি অবশ্য নির্মাণাধীন। ধ্বংসযজ্ঞের চার মাস পর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশের সুযোগ মেলেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বয়ানে ভেতরের চিত্রের কিছু ধারণা পাওয়া গেল। জানা গেল, জাদুঘরের মূল গেট পার হলেই নিচতলা থেকে তিনতলা ভবন পর্যন্ত পুরোটাই এখন ধ্বংসস্তূপ। ভেতরের সিঁড়িতে যেখানে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহ পড়ে ছিল, সেই স্থানটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে সব কক্ষের দরজা-জানালা ও আসবাব। বিভিন্ন কক্ষ আর ভবনের দেয়ালে দেয়ালে টানানো ১৫ আগস্টের নিহতদের ছবি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় ছবি, ১৫
আগস্টের ঘটনাবলির ওপর রচিত বই আর তথ্যচিত্রের কিছুই অবশিষ্ট নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাপড়, জুতা ও স্যান্ডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে এই বাড়িতেই সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরে ১৯৯৪ সালে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ গঠনের মাধ্যমে ভবনটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করেন তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ভবনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাস্ট কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য জানা যায়নি। এরই মধ্যে গত সোমবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে
অন্যদের পাশাপাশি ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। কারা ট্রাস্টে টাকা দিয়েছেন এবং এই ট্রাস্টের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফুল। এলাকা ঘুরে দেখা গেল, স্মৃতি জাদুঘরের গেট সংলগ্ন শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটিও নেই। লেক-সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় ভাস্কর্য ছিল, সেটিও আর নেই। প্রতিকৃতি নেই, কোনো রকমে বেদিটি টিকে আছে। বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের ফুটপাতে একটি বড় লোহার কনটেইনারে প্লাস্টিকের চেয়ারসহ কিছু জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিল অথবা লুটের পর ফেরত দিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভবনটির নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পালাক্রমে দিনরাত বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ছাড়াও পাশের তিনটি
বাড়ি এবং একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এই তিনটি বাড়িও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও আওয়ামী লীগের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। একটি বাড়ি অবশ্য নির্মাণাধীন। ধ্বংসযজ্ঞের চার মাস পর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশের সুযোগ মেলেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বয়ানে ভেতরের চিত্রের কিছু ধারণা পাওয়া গেল। জানা গেল, জাদুঘরের মূল গেট পার হলেই নিচতলা থেকে তিনতলা ভবন পর্যন্ত পুরোটাই এখন ধ্বংসস্তূপ। ভেতরের সিঁড়িতে যেখানে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহ পড়ে ছিল, সেই স্থানটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে সব কক্ষের দরজা-জানালা ও আসবাব। বিভিন্ন কক্ষ আর ভবনের দেয়ালে দেয়ালে টানানো ১৫ আগস্টের নিহতদের ছবি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় ছবি, ১৫
আগস্টের ঘটনাবলির ওপর রচিত বই আর তথ্যচিত্রের কিছুই অবশিষ্ট নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাপড়, জুতা ও স্যান্ডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে এই বাড়িতেই সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরে ১৯৯৪ সালে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ গঠনের মাধ্যমে ভবনটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করেন তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ভবনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাস্ট কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য জানা যায়নি। এরই মধ্যে গত সোমবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে
অন্যদের পাশাপাশি ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। কারা ট্রাস্টে টাকা দিয়েছেন এবং এই ট্রাস্টের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।