আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডই ছিল আন্দোলনের গেমচেঞ্জিং মুহূর্ত – ইউ এস বাংলা নিউজ




আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডই ছিল আন্দোলনের গেমচেঞ্জিং মুহূর্ত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৭:৩৭ 24 ভিউ
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড আন্দোলনের জন্য গেমচেঞ্জিং মুহূর্তে পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। চলতি সেপ্টেম্বরে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার মার্কিন সাময়িকী টাইম সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। টাইমকে তিনি বলেন, হাসিনা রক্তচোষা ও সাইকোপ্যাথ (মানসিকভাবে অসুস্থ)। নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটাব্যবস্থা নিয়ে প্রথম দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ২০১৮ সালে। তখন সরকার শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলে বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘটে। এ বছরও সরকার পিছিয়ে গেলে কোটাব্যবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন শেষ হয়ে যেতে পারত। তবে নিরাপত্তা বাহিনী কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। ১৬ জুলাই

আবু সাঈদ নামের এক ছাত্র নিহত হন। পুলিশের সামনে দুই হাত প্রসারিত করে বুক টান করে দাঁড়ালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। নাহিদ আরও বলেন, সেই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনের জন্য গেমচেঞ্জিং মুহূর্তে পরিণত হয়। ছাত্র আন্দোলন দ্রুত দেশজুড়ে জনসংখ্যার একটি বড় অংশের সমর্থন পায়। এ আন্দোলন দেশের মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার একটি সুযোগ করে দেয়। দ্রুতই আন্দোলনকারীদের দৃষ্টি পড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। ৩ আগস্ট ছাত্ররা তার পদত্যাগের এক দফা দাবি তোলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেই দাবির ঘোষণা দেন নাহিদ ইসলাম। ৫ আগস্ট লাখো ছাত্র-জনতা ঢাকায় শেখ হাসিনার বাসভবনের দিকে

যাত্রা শুরু করলে তিনি হেলিকপ্টারে পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে যান। এখনও সে দেশেই নির্বাসিত রয়েছেন তিনি। এ উপদেষ্টা বলেন, কেউ ভাবেনি তার (শেখ হাসিনার) উৎখাত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন নাহিদ ইসলামের চেয়ে বড় পদে আছেন। তাদের মধ্যে কে কার কাছ থেকে আদেশ নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বড় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। আন্দোলনের সময় গ্রেফতার এড়াতে এক বন্ধুর বাসায় লুকিয়ে ছিলেন নাহিদ। এক রাতে সাদা পোশাকে প্রায় ৩০ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন। নাহিদ বলেন, তাদের মাথায় কালো কাপড় পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বলা হয়, পৃথিবী আর কোনো দিন তোমাদের দেখতে পাবে

না। নাহিদের বিশ্বাস, গোপন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছিল। তাকে পেটানো হয়। তার মনে হচ্ছিল, লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছিল। হাতে-পায়ে পেটানোর দাগও ছিল। ব্যথা, যন্ত্রণাদায়ক শব্দ এবং উজ্জ্বল আলোর তীব্রতায় তার মাথা ঘোরাচ্ছিল; তিনি মাঝে মাঝেই অচেতন হয়ে যাচ্ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উত্তাল চট্টগ্রামসহ সারাদেশ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তিনদিন পর ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু কার্ডিফ ছাত্রদের পরিবেশনায় ‘বীরপুরুষ’, বাঙালি সংস্কৃতির নান্দনিক উপস্থাপন মন খারাপ উড়ন্ত সালাহর, এমবাপ্পের কাঁধে গুরুভার মানুষ সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করে কেন? দেশের অবস্থা দেখে অনেকে আতঙ্কিত, এগুলো কী হচ্ছে ২০৫০ সাল নাগাদ নিউইয়র্ক ও মায়ামীসহ ১৭টি শহর পানির নীচে! ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্থীর বয়সসীমা ৩২ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন মমতা ব্যানার্জী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আন্দোলন থামাল পিটিআই,পরবর্তী কৌশল কী ? চিন্ময়কে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি ২২৫০০ কোটি টাকা ছাপল বাংলাদেশ ব্যাংক, রোববার থেকে টাকা পাবেন গ্রাহকরা নিখোঁজ ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনে বন্ধ ছিল আদালতের কার্যক্রম গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু রোববার কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাস ঘেরাও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৭ জনের এবার বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে নালিশ ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ