তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা, আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী সমাধান কাম্য – ইউ এস বাংলা নিউজ




তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা, আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী সমাধান কাম্য

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:২৭ 64 ভিউ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার উপায় নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না। এ বিষয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একসঙ্গে কাজ করতে এবং এর সমাধান করতে হবে। কেননা এটি গণমানুষের দুর্দশা লাঘব করবে। এ ধরনের মানবিক পদক্ষেপ সত্যিকার অর্থেই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন। সাক্ষাতে তিস্তা ইস্যু নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হলে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়টির সমাধান ঘটবে বলে আশা করা যায়। অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পাশাপাশি আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে এ ব্যাপারে। যেমন, কারিগরি সমীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনার দিকটিও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা খতিয়ে দেখতে হবে। তিস্তার গভীরতা বৃদ্ধি, বর্ষাকালে ভারত ওপার থেকে পানি ছেড়ে দিলে তিস্তার দুপারের মানুষকে সম্ভাব্য বন্যা থেকে বাঁচানোর জন্য অতিরিক্ত পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধারের ব্যবস্থা এবং শুকনো মৌসুমে ভারত নদীর পানি আটকে দিলে এ জলাধারের পানি দিয়ে কৃষিকাজ চালানো, ভূমি উদ্ধার করে সেচ, নৌ চলাচল, নদীর দু’পারে সড়ক নির্মাণ, পর্যটন, আবাসনসহ শিল্পায়নের কথাও বিবেচনায় রাখতে

হবে। যদিও এসবই মহাপরিকল্পনার অংশ, তবে ভাটি অঞ্চলের কারণেই তা আমলে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি আমরা। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে। কাজেই আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে এর সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে দিল্লি ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর বিরোধিতা করে আসছেন। ২০১১ সালে যখন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এনেছিল, ঠিক তখন মমতার আপত্তির কারণে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তার দাবি-শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় যে পানি থাকে, তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চাহিদাই মেটে না। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, অভিন্ন নদীর পানির অধিকার সবারই

রয়েছে। নিজ স্বার্থরক্ষায় পানি প্রবাহকে আটকে অপরের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়া একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, অন্যদিকে অমানবিকও বটে। আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী, পানি প্রবাহে উজানের দেশ কখনোই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের তিস্তার পানি পাওয়ার কথা। প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর তিস্তার পানি আটকে রেখে এদেশের জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তার আশু সমাধান প্রয়োজন। দুদেশ তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মতপার্থক্য দূর করে দ্রুত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে, এটাই প্রত্যাশা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের, বাদ ওয়েষ্ট ইন্ডিজ অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চের পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তায় সামরিক পদক্ষেপ চায় জামায়াত দেশের বাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম, ফের রেকর্ড ভারতীয়-বাংলাদেশিসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পুতিনের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ কুয়েতে মসজিদ ও নামাজের সময় নিয়ে নতুন নির্দেশনা রোববার সিইসির সঙ্গে বসছে এনসিপি ভারতের যে অঞ্চলে হঠাৎ মানুষের নখ পড়ে যাচ্ছে রায়পুরে ২০ দিন পর সেই স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী কারাগারে কানাডায় গুলিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত, যা বলছে পুলিশ জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন করার সুপারিশ ছাত্রদল ছেড়ে কেন জামায়াতে গেলেন, জানালেন সেই নেতা রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চের পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ আপনাদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে: কর্নেল অলি ‘আমি ছাত্রলীগ নেতা, সবাইকে দেখে নেব’ ফের চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, একজনের মৃত্যু