ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
“কত টাকা থাকলে কারও ৬৬৬ কোটি টাকা ট্যাক্স হয়? এই লোকটার এত টাকার উৎস কি?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে তাদের দোসর রাজাকার জামাত শিবির গং, এদের সবগুলোই কমন শত্রু একজনই- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
পাকিস্তান ও ইউনুস সরকারের গোপন ঘনিষ্ঠতা,বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে
পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ
ইমরানের ‘আইডল’ বঙ্গবন্ধু ইমরান খানের মুখে প্রশংসা, পাক সেনাবাহিনীর চোখে বঙ্গবন্ধু ‘গদ্দার’
‘ভারত টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না’: সাবেক জেনারেল আজমির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়
এক বছরেও প্রকাশ হয়নি উপদেষ্টাদের আয়–সম্পদের হিসাব স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে অদৃশ্য, সরকারের জবাবদিহিতা নিয়ে ঘনীভূত প্রশ্ন
১১ মাসে ১৭০ ধর্ষণ
গাইবান্ধায় নারী ও শিশু ধর্ষণের যেই পরিসংখ্যান বুধবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদনে উঠিয়া আসিয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ধর্ষণের ন্যায় অপরাধ দেশে বাড়িতেছে, সন্দেহ নাই। কেবল একটি জেলায় নহে, ৬৪ জেলা মিলিয়া একটি ধর্ষণের ঘটনাও উদ্বেগজনক হইতে বাধ্য। কিন্তু গাইবান্ধা জেলায় এক বৎসরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৭০ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হইবার খবর নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে– তথাকার পরিস্থিতি গুরুতর। এই অপরাধের শিকার নারী ও শিশুর সংখ্যা গত বৎসরের তুলনায় অধিক হইবার মধ্য দিয়া ইহাও প্রমাণ হয়– পরিস্থিতির অবনতি বৈ উন্নতি ঘটিতেছে না।
গাইবান্ধার আলোচ্য পরিস্থিতিতে তথাকার পরিবারগুলি সংগত কারণেই কন্যা-শিশুদের নিরাপত্তা লইয়া শঙ্কিত। যদিও ধর্ষণ হইতে শিশু হইতে বৃদ্ধ, কেহই রক্ষা পাইতেছে না। সমকালে
কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করা হইয়াছে, যথায় ১৮ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। পরের দিবসে একই উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে ৭৫ বৎসর বয়সী এক নারীও অনুরূপ নিপীড়নের শিকার হন। সকল ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করিবার কথা বলিলেও অনেক আসামিই অধরা। বস্তুত এই পরিসংখ্যান কেবল একটা জেলার পরিস্থিতিই বর্ণনা করিতেছে না, বরং সমগ্র দেশেই ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন চলমান– উহা বলিবার অপেক্ষা রাখে না। আমরা জানি, ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণ কিংবা নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয় না। মামলা হইলেও আইনের মারপ্যাঁচে অপরাধী বাহির হইয়া যায়। অনেক দিন ধরিয়াই ধর্ষণ আইন কঠোর করিবার দাবি
ছিল। অবশেষে আইন কঠোর করিয়া নির্দিষ্ট সময়ে বিচার করিবার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ১৮০ দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তিকরণের কথা থাকিলেও বাস্তবে উহা কার্যকর হইতেছে না। ধর্ষণের ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার ও তদন্তের সময় সংক্ষিপ্ত করা জরুরি। এই বিষয়ে ইতোপূর্বেও নির্দেশনা দেওয়া ছিল– ৩০ দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করিয়া ১৮০ দিবসের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিতে হইবে। নূতন করিয়া ১৫ দিবসের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিবসের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্তির সিদ্ধান্ত লওয়া হইয়াছে। তবে কেবল সিদ্ধান্ত লইলেই হইবে না, ইহা যাহাতে বাস্তবায়ন হয়, উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। তৎসহিত শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার করিবার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
স্থাপনের বিধান রাখিবার বিষয়ও বিবেচনা করিয়াছে। ধর্ষণ মামলার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনয়ন, চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টের অপেক্ষায় না থাকিয়া পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দিবার সুযোগও নূতন আইনে রাখা হইয়াছে। আট মাস পর আসিয়া উহার বাস্তবায়ন কতটা হইয়াছে– সেই প্রশ্ন সংগত। অল্প সময় ব্যয়ে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শিশু ধর্ষণের বিচারে বাস্তবে শাস্তির কিছু উদাহরণ তৈয়ার হইলে উহা ধর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখিত, নিঃসন্দেহে। কেবল এই আইন যে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নহে; গাইবান্ধার পরিস্থিতিই উহার প্রমাণ। দেখা গিয়াছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় ও পরিচিতজনই শিশু ধর্ষণ করিয়া থাকে। তজ্জন্য পিতা-মাতা ও অভিভাবকের সচেতনতা জরুরি। সন্তানের নিরাপত্তা অভিভাবকদেরই নিশ্চিত করিতে
হইবে। তৎসহিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সকলে সোচ্চার হইলে এই জঘন্য অপরাধ বন্ধ হইতে পারে। ধর্ষণের যেই চিত্র গাইবান্ধায় দেখা গিয়াছে, উহা সমগ্র দেশের জন্যই সতর্কসংকেত। আইন প্রয়োগ এবং পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই। তবে সরকার নূতন যেই আইন প্রণয়ন করিয়াছে, উহা বাস্তবায়নে সর্বাগ্রে নজর দিতে হইবে। তবেই হয়তো এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হইবে।
কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করা হইয়াছে, যথায় ১৮ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। পরের দিবসে একই উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে ৭৫ বৎসর বয়সী এক নারীও অনুরূপ নিপীড়নের শিকার হন। সকল ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করিবার কথা বলিলেও অনেক আসামিই অধরা। বস্তুত এই পরিসংখ্যান কেবল একটা জেলার পরিস্থিতিই বর্ণনা করিতেছে না, বরং সমগ্র দেশেই ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন চলমান– উহা বলিবার অপেক্ষা রাখে না। আমরা জানি, ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণ কিংবা নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয় না। মামলা হইলেও আইনের মারপ্যাঁচে অপরাধী বাহির হইয়া যায়। অনেক দিন ধরিয়াই ধর্ষণ আইন কঠোর করিবার দাবি
ছিল। অবশেষে আইন কঠোর করিয়া নির্দিষ্ট সময়ে বিচার করিবার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ১৮০ দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তিকরণের কথা থাকিলেও বাস্তবে উহা কার্যকর হইতেছে না। ধর্ষণের ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার ও তদন্তের সময় সংক্ষিপ্ত করা জরুরি। এই বিষয়ে ইতোপূর্বেও নির্দেশনা দেওয়া ছিল– ৩০ দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করিয়া ১৮০ দিবসের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিতে হইবে। নূতন করিয়া ১৫ দিবসের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিবসের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্তির সিদ্ধান্ত লওয়া হইয়াছে। তবে কেবল সিদ্ধান্ত লইলেই হইবে না, ইহা যাহাতে বাস্তবায়ন হয়, উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। তৎসহিত শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার করিবার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
স্থাপনের বিধান রাখিবার বিষয়ও বিবেচনা করিয়াছে। ধর্ষণ মামলার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনয়ন, চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টের অপেক্ষায় না থাকিয়া পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দিবার সুযোগও নূতন আইনে রাখা হইয়াছে। আট মাস পর আসিয়া উহার বাস্তবায়ন কতটা হইয়াছে– সেই প্রশ্ন সংগত। অল্প সময় ব্যয়ে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শিশু ধর্ষণের বিচারে বাস্তবে শাস্তির কিছু উদাহরণ তৈয়ার হইলে উহা ধর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখিত, নিঃসন্দেহে। কেবল এই আইন যে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নহে; গাইবান্ধার পরিস্থিতিই উহার প্রমাণ। দেখা গিয়াছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় ও পরিচিতজনই শিশু ধর্ষণ করিয়া থাকে। তজ্জন্য পিতা-মাতা ও অভিভাবকের সচেতনতা জরুরি। সন্তানের নিরাপত্তা অভিভাবকদেরই নিশ্চিত করিতে
হইবে। তৎসহিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সকলে সোচ্চার হইলে এই জঘন্য অপরাধ বন্ধ হইতে পারে। ধর্ষণের যেই চিত্র গাইবান্ধায় দেখা গিয়াছে, উহা সমগ্র দেশের জন্যই সতর্কসংকেত। আইন প্রয়োগ এবং পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই। তবে সরকার নূতন যেই আইন প্রণয়ন করিয়াছে, উহা বাস্তবায়নে সর্বাগ্রে নজর দিতে হইবে। তবেই হয়তো এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হইবে।



