 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                সালমান শাহ হত্যাকাণ্ড : সামীরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
 
                                এখানে মনে হয় আমিই সবচেয়ে বয়স্ক, নিশোকে খোঁচা পূজা চেরীর
 
                                সালমান শাহর মৃত্যুর দিন পাশের বাসাতেই ছিলেন দীপা খন্দকার
 
                                সালমান শাহর লাশ দেখে মাটিতে বসে পড়েছিলেন আহমেদ শরীফ
 
                                স্রোতের বাইরের শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট
 
                                ঢাকায় আরেকটি জাপানি সিনেমা
 
                                সালমান শাহ: ২৯ বছর পর হত্যা মামলা, রহস্যের জট খুলছে না কেন
সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও রাজনীতির আলোকবর্তিকা আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন আজ
 
                             
                                               
                    
                         বাংলাদেশের খ্যাতিমান নাট্যকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিক আসাদুজ্জামান নূরের আজ জন্মদিন। দীর্ঘ ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন, সংস্কৃতি ও রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেখেছেন তার উজ্জ্বল উপস্থিতি।
আসাদুজ্জামান নূর ১৯৪৬ সালের ৩১শে অক্টোবর নীলফামারীর এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি ছাত্ররাজনীতি ও নাট্যচর্চায় যুক্ত হন। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এক অন্যতম মুখ।
গত বছরের ৫ই আগস্ট সহিংসতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানাোর পর মন্ত্রী-এমপি এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় সে বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর 
বেইলি রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ১৯৭২ সালে বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক চিত্রালী পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার অধীনে একটি ছাপাখানায় ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসের (বর্তমানে রাশিয়া) প্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে (বর্তমানে এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি) সাধারণ ব্যবস্থাপক পদে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি সদস্য, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও বাংলাদেশ রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন
করেছেন এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালে মঞ্চদল ‘নাগরিক’-এর মাধ্যমে। এই নাট্যদলের ১৫টি নাটকে ৬০০ বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। পাশাপাশি এই দলের দুটি নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ১১০টিরও বেশি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক কোথাও কেউ নেই–এর ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। এছাড়া এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, আয়নাঘরসহ অসংখ্য নাটকে তার অভিনয় ছিল ব্যতিক্রমী ও গভীর মানবিকতার প্রতিফলন। তবে শুধু টেলিভিশনেই নয়, রেডিওর নাটকেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। সেই সংখ্যাও ৫০-এর বেশি। নাটক ছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা
লাভ করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘হুলিয়া’, ‘দহন’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘সুতপার ঠিকানা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র। সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন আসাদুজ্জামান নূর। এ ছাড়া তিনি শহীদ মুনির চৌধুরী পুরস্কার (২০০৬), নরেন বিশ্বাস পদক (২০১0), শহীদ বদরউদ্দিন হোসেন স্মৃতি পুরস্কার (২০১৫), বিশ্ব মঞ্চ দিবস পুরস্কার (২০১৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮), বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক (২০২২) লাভ করেন। আসাদুজ্জামান নূর নব্বইয়ের দশকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর
দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার মেয়াদকালে দেশে সংস্কৃতি বিকাশে নতুন নীতিমালা, জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা জোরদার হয়। আসাদুজ্জামান নূর একজন পাঠপ্রেমী ও বইমেলার অভিভাবক হিসেবেও পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলা একাডেমির অগ্রযাত্রা, একুশে বইমেলা এবং তরুণ লেখক-শিল্পীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে সমানভাবে সম্মানিত এই মানুষটির জন্মদিনে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শুভকামনা।
                    
                                                          
                    
                    
                                    বেইলি রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ১৯৭২ সালে বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক চিত্রালী পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার অধীনে একটি ছাপাখানায় ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসের (বর্তমানে রাশিয়া) প্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে (বর্তমানে এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি) সাধারণ ব্যবস্থাপক পদে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি সদস্য, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও বাংলাদেশ রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন
করেছেন এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালে মঞ্চদল ‘নাগরিক’-এর মাধ্যমে। এই নাট্যদলের ১৫টি নাটকে ৬০০ বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। পাশাপাশি এই দলের দুটি নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ১১০টিরও বেশি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক কোথাও কেউ নেই–এর ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। এছাড়া এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, আয়নাঘরসহ অসংখ্য নাটকে তার অভিনয় ছিল ব্যতিক্রমী ও গভীর মানবিকতার প্রতিফলন। তবে শুধু টেলিভিশনেই নয়, রেডিওর নাটকেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। সেই সংখ্যাও ৫০-এর বেশি। নাটক ছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা
লাভ করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘হুলিয়া’, ‘দহন’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘সুতপার ঠিকানা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র। সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন আসাদুজ্জামান নূর। এ ছাড়া তিনি শহীদ মুনির চৌধুরী পুরস্কার (২০০৬), নরেন বিশ্বাস পদক (২০১0), শহীদ বদরউদ্দিন হোসেন স্মৃতি পুরস্কার (২০১৫), বিশ্ব মঞ্চ দিবস পুরস্কার (২০১৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮), বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক (২০২২) লাভ করেন। আসাদুজ্জামান নূর নব্বইয়ের দশকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর
দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার মেয়াদকালে দেশে সংস্কৃতি বিকাশে নতুন নীতিমালা, জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা জোরদার হয়। আসাদুজ্জামান নূর একজন পাঠপ্রেমী ও বইমেলার অভিভাবক হিসেবেও পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলা একাডেমির অগ্রযাত্রা, একুশে বইমেলা এবং তরুণ লেখক-শিল্পীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন। সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে সমানভাবে সম্মানিত এই মানুষটির জন্মদিনে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শুভকামনা।



