ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’, যা বললেন বক্তারা
‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট
বাজারমূল্যের চেয়ে কমে কার্যাদেশ, ৩৪ কোটি টাকা তছরুপের পাঁয়তারা
নারীর সঙ্গে প্রতারণা ও ইতিহাস বিকৃতির গুরুতর অভিযোগ: জবাব না দিয়ে ‘ধর্মীয় ও ভারত বিরোধী’ সেন্টিমেন্ট ব্যবহারের চেষ্টা ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের!
শাপলা চত্বরে রাতে কোনো ‘গণহত্যা’ হয়নি: বিবিসি বাংলার সাবেক প্রধান সাবির মোস্তফা
সঞ্চয় গেলো, স্বপ্ন গেলো, জীবন গেলো : ১৫ হাজার কোটি টাকার লুটপাট শেষে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা ইউনুস কর্তৃক
তাজউদ্দিনকে লেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সেই ঐতিহাসিক চিঠির কপি
শেরপুর সীমান্তে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সরকারের ক্ষতি কোটি টাকা
মেঘালয়ের কোল ঘেঁষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে খনিজসমৃদ্ধ লাল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রাতের আঁধার ও ভোরের আলোকে নানা কৌশলে এসব মূল্যবান বালু পাচার করছে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও অবৈধ উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অবৈধ উত্তোলনে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গজনী বিট এলাকার বাকাকুড়া, গজনী, গান্ধীগাঁও, জিয়া খাল, সন্ধ্যাকুড়া, বালিঝুড়ী, তাওয়াকুচা এবং সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টসহ ছোট খাল–নদীগুলো থেকে প্রতিদিনই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এই লাল বালুর মধ্যে মূল্যবান খনিজ বালুও রয়েছে, যা পাচারের মাধ্যমে সরকারের বিপুল সম্পদ ও রাজস্ব হ্রাস পাচ্ছে।
উত্তোলিত বালু মাহিন্দ্রা
ট্রাক, ট্রলি, ভ্যান ও অটোরিকশায় করে ঝিনাইগাতীর গ্রামীণ সড়ক পেরিয়ে শেরপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ সেলস পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে বালু বিক্রি জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রকাশ্যে বালু বিক্রি অব্যাহত থাকায় সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। বালুর দাম নির্ধারণ ও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ বাজিতখিলা বাজারে বালু পরিবহনকারী এক মাহিন্দ্রা চালক জানান— প্রতিটি মাহিন্দ্রা বালুর দাম ১৫–২০ হাজার টাকা ট্রলি ৭,৫০০ টাকা অটোভ্যান ২,৫০০ টাকা আরেক বালু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু ব্যক্তিকে ‘ম্যানেজ’ করেই এই বালু ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া এলাকার সাইফুলসহ কয়েকজন প্রভাবশালী
সরাসরি এতে জড়িত বলেও তিনি দাবি করেন। এক অটোরিকশা চালকও স্বীকার করেন যে প্রতিদিন ভ্যান ভর্তি বালু ২,৫০০ টাকায় শেরপুর শহরে বিক্রি করা হয়। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, “পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। কখনো কখনো অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকলে সুযোগ নিয়ে কেউ বালু পাচারের চেষ্টা করতে পারে। তবে পুলিশের কেউ এতে জড়িত নয়।” রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আ. করিম জানান, “সাইফুলের একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক বালুসহ আটক রয়েছে। আমার এলাকায় পাহাড় থেকে নয়, পাহাড়ি ঝোড়া থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।” ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনা
হয়েছে। আজকেও এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে দুটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। কেউ ছাড় পাবে না।”
ট্রাক, ট্রলি, ভ্যান ও অটোরিকশায় করে ঝিনাইগাতীর গ্রামীণ সড়ক পেরিয়ে শেরপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ সেলস পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে বালু বিক্রি জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রকাশ্যে বালু বিক্রি অব্যাহত থাকায় সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। বালুর দাম নির্ধারণ ও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ বাজিতখিলা বাজারে বালু পরিবহনকারী এক মাহিন্দ্রা চালক জানান— প্রতিটি মাহিন্দ্রা বালুর দাম ১৫–২০ হাজার টাকা ট্রলি ৭,৫০০ টাকা অটোভ্যান ২,৫০০ টাকা আরেক বালু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু ব্যক্তিকে ‘ম্যানেজ’ করেই এই বালু ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া এলাকার সাইফুলসহ কয়েকজন প্রভাবশালী
সরাসরি এতে জড়িত বলেও তিনি দাবি করেন। এক অটোরিকশা চালকও স্বীকার করেন যে প্রতিদিন ভ্যান ভর্তি বালু ২,৫০০ টাকায় শেরপুর শহরে বিক্রি করা হয়। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, “পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। কখনো কখনো অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকলে সুযোগ নিয়ে কেউ বালু পাচারের চেষ্টা করতে পারে। তবে পুলিশের কেউ এতে জড়িত নয়।” রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আ. করিম জানান, “সাইফুলের একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক বালুসহ আটক রয়েছে। আমার এলাকায় পাহাড় থেকে নয়, পাহাড়ি ঝোড়া থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।” ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনা
হয়েছে। আজকেও এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে দুটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। কেউ ছাড় পাবে না।”



