‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ গ্রামীণ ব্যাংকের জায়গা দখল করেন জাফর – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ গ্রামীণ ব্যাংকের জায়গা দখল করেন জাফর

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:৫৬ 4 ভিউ
‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০০ একর জায়গা দখলের দাবি করেছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম। ২০১৪ সালে হাজারো সশস্ত্র সন্ত্রাসী ব্যবহার করে প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আশীর্বাদ পান শেখ হাসিনার। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে একই পন্থায় ভোট ডাকাতি করে সারা দেশে ফের আলোচনায় আসেন তিনি। আর এমপি হওয়ার পর চার বছরেই তিনি হয়ে ওঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক। তার ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে ২০০টি দলিলের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সূত্র মতে, গত বছর গ্রামীণ ব্যাংকের নামে বরাদ্দ করা রামপুর মৌজায় ৩০০ একর চিংড়ি প্রজেক্ট সন্ত্রাসী দিয়ে দখল করে

নিয়েছেন জাফর। পরে তিনি এক সমাবেশে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে ড. ইউনূসের ঘের দখল করে স্থানীয়দের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছি। আমি নিজের জন্য করিনি। অভিযোগ আছে, দুর্নীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে এ সম্পদ অর্জন করেন জাফর আলম। শুধু তিনিই নন, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমেদ তুহিন এবং মেয়ে তানিয়া আফরিনের বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করছে। জাফরের বিরুদ্ধে সড়কে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এর মধ্যে কিছু মামলা থেকে নিজেকে খালাস করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা আরও জানান, চিহ্নিত কয়েকজন চোর-ডাকাতকে জনপ্রতিনিধি বানানোর অভিযোগও রয়েছে জাফরের বিরুদ্ধে। সরকারি

জমিও দখলে নিয়েছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতেও। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেও টাকা কামিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, জাফর আলমের প্রশ্রয় পাওয়া সন্ত্রাসীরা পেকুয়া ও চকরিয়াতে ব্যক্তিমালিকানাধীন কয়েকটি চিংড়ি ঘের ও হাজার একর বনভূমি দখল করে রেখেছেন। বরইতলী-মগনামা সড়কে নবনির্মিত বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সড়কে মাটি দেওয়ার নাম করে মছনিয়া কাটা এলাকার বিশাল পাহাড় কেটে ফেলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও জাফরের দখলে থাকা এসব সম্পদ উদ্ধার করতে পারেনি ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাফর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন। তবে এর আগে কাছে এসব সব অভিযোগ

অস্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাফর। এ সময় ডাকাতি করতে গিয়ে ধরার পড়ার বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেফতার বাজার এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে: গণতন্ত্র মঞ্চ মন্ত্রীসহ ২২৫ জনের নিয়োগ বাতিল করল মালদ্বীপ সরকার ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ গ্রামীণ ব্যাংকের জায়গা দখল করেন জাফর মাইন অপসারণ হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলের বৃহত্তর যুদ্ধের ইঙ্গিত অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৪ দফা প্রস্তাব ১২ দলীয় জোটের ছাত্র আন্দোলনকে জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে: জয় কট্টর আ.লীগবিরোধী থেকে শেখ হাসিনার ‘একনিষ্ঠ সমর্থক’ ভারতেই তৈরি হচ্ছে ২৮০ কি.মি. বেগে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ গ্রামীণ ব্যাংকের জায়গা দখল করেন জাফর ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসানোর কারণ জানালেন বিএনপি নেতা ফারুক ‘আয়নাঘরের মূলহোতা আমি, এসব কিভাবে বানান’ ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ১২১৩ মামলা, জরিমানা আড়তে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে, দাম কমেছে মতিয়া চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সাকিবকে নিয়েই প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা বাংলাদেশের সাবেক ৪ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানরা অপসারণ নয়, মেয়াদ পূর্ণ করতে দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হওয়ার পথে তাবিথ