শৃঙ্খলা ভঙ্গে কাঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা – ইউ এস বাংলা নিউজ




শৃঙ্খলা ভঙ্গে কাঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৬:০৪ 12 ভিউ
পদ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত দাবি নিয়ে প্রশাসন ও অন্য ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এদিকে পদ-পদবি ও চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত প্রশাসন ক্যাডার খানিকটা চুপসে গেছে। তারা বলছেন, আমরা কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি দিইনি। বরং আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছি মাত্র। নিজ ক্যাডারের বাইরে আমাদের আলোচনা ছিল না। পক্ষান্তরে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ব্যানারে ৩ জানুয়ারি

খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মহাসমাবেশ করবে প্রশাসন ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের সদস্যরা। কর্মসূচি পালনে তারা এখনো অনড় অবস্থানে। পদ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত দাবিতে জনপ্রশাসনে এখন দুটি পক্ষ মাঠে নেমেছে। তাদের মধ্যে একদিকে আছে প্রশাসন ক্যাডার, অন্যদিকে আছে ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। মূলত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ আলোচনায় আসার পর থেকে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মোট ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাদের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সভা, জমায়েত, মানববন্ধন, কলমবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সরব বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ৩ জানুয়ারি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক

আলোচনা চলছে। এ রকম পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলমবিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই সে বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার পরিপন্থি। বিজ্ঞপ্তিতে বিধিমালার এ সংক্রান্ত কিছু অংশ উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যে কোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না। অথবা অন্য

কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না। এরকম মোট চারটি বিষয় উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিধিমালার যে কোনো বিধান লঙ্ঘন অসদাচরণ হিসাবে গণ্য হবে। কোনো কর্মচারী বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। জানতে চাইলে প্রশাসন ক্যাডারের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) সভাপতি ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্যাহ বলেন, প্রশাসন তো একটি মাত্র ক্যাডার। এখানে তো একাধিক কোনো ক্যাডার নেই। আমরা কোনো কর্মসূচিও দেইনি। আমরা সংগঠনের তরফ থেকে নিজস্ব অফিসে অর্থাৎ বিয়াম ফাউন্ডেশনে একটি

সভা করেছি মাত্র। সেখানে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পিএস এবিএম আব্দুস সাত্তার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ ও ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। বিএএসএর যৌথ বিবৃতিতে সেই কথাগুলো ছিল না। বলতে পারেন এটার জবাব আব্দুস সাত্তার সাহেবের একান্তই নিজস্ব মত। এর সঙ্গে বিএএসএর কোনো সম্পর্ক নেই। বিএএসএর সভাপতি আরও বলেন, আমরা আমাদের আপত্তির বিষয়গুলো জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে তুলে ধরেছি। সেখানে আমরা উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়টি কমিশনের নজরে এনেছি। আমরা কমিশনকে বলেছি উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ৭৫ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের এবং ২৫ শতাংশ কোটা আদার্স ক্যাডারের জন্য নির্ধারণ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ বিষয়টি

আদালতের রায়ে মীমাংসিত। মীমাংসিত একটি বিষয়ে হঠাৎ করে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো মানে হয় না। বিএএসএর সভাপতি আরও বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি ৫০:৫০ আনুপাতিক হার বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সুতরাং এ ধরনের প্রস্তাব দীর্ঘমেয়াদে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে। তৃতীয়ত বলেছি, লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে ২৫ ক্যাডারের সংগঠন আন্তঃক্যাডার নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান বলেন, তাদের পূর্ব নির্ধারিত মহাসমাবেশ ৩ জানুয়ারি খামারবাড়ি কৃষিবদি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের সদস্যরা তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন। সরকারি কর্মচারীদের এ ধরনের সভা-সমাবেশ করা আসদাচরণ বলে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি কিভাবে দেখছেন-এমন প্রশ্নে মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের কর্মসূচি আচরণবিধির

পরিপন্থি নয়। আমরা একাধিক উপদেষ্টাকে মহাসমাবেশের বিষয়ে অবহিত করেছি বলে তিনি মন্তব্য করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে মামলা হতে পারত। সরকার এতদিন উদার ছিল, কঠোর হয়নি। এখন আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৬৮ হাজার ডলার অনুদান দিলেন বিটিএসের জে-হোপ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আগের মতোই নিরুত্তর ভারত টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণরত ১৪ পুলিশ কনস্টেবলকে অব্যাহতি বিপর্যয় থেকে মুগ্ধ-রনির ব্যাটে ভালো পুঁজি খুলনার ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ের নির্দেশনা শীতের মেয়াদ কি কমে যাচ্ছে ডোপ টেস্ট কিটে ‘মাফিয়াগিরি’ নির্বিচার আতশবাজি ফানুস, বিপন্ন প্রাণ-প্রকৃতি কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী, বেড়েছে শীতের তীব্রতা লাগেজে অবৈধ মদ বহন, দুই কেবিন ক্রুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিমান প্রবাসীদের মরদেহ বিনা খরচে দেশে আনার দাবি গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল চালের বাজার অস্থির, নাগালের বাইরে মাছ-মাংসের দাম বিয়ে না করেই একসঙ্গে বসবাস , বিপাকে অভিনেত্রী স্বাগতা সাকিব বাদে বিপিএল কি লবণ ছাড়া তরকারি? পুলিশের মধ্যে ডিবির হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বাণিজ্যের অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রানপাহাড়ে চাপা পড়ল রাজশাহী, চিটাগংয়ের রেকর্ডগড়া জয়