শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের মাথায় হাত – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৬ জুন, ২০২৫
     ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের মাথায় হাত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ জুন, ২০২৫ | ৭:৫৩ 82 ভিউ
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আর ২৮ বা ৩০ নম্বর পেলে ‘সহানুভূতি’ দেখিয়ে ৩৩ করে পাস করিয়ে দেওয়া হবে না। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এ অলিখিত প্রথা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার থেকে অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখলেও আর নম্বর মিলবে না। খাতা মূল্যায়নে বাস্তব ও সঠিক মান যাচাইকে গুরুত্ব দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক ধরে পাবলিক পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতির নামে খাতা মূল্যায়নে উদার নীতি অনুসরণ করা হচ্ছিল। কোনো উত্তর না বুঝলেও বা ভুল তথ্য দিয়েও শিক্ষার্থীরা নম্বর পেয়ে যেতেন। পরীক্ষকদের মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হতো—খাতায় কিছু থাকলেই যেন নম্বর দেওয়া হয়। এতে পাসের হার এবং জিপিএ

৫-এর সংখ্যা কৃত্রিমভাবে বেড়ে যায়, কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ প্রসঙ্গে এক প্রধান পরীক্ষক বলেন, এমনও দেখা গেছে—এক শিক্ষার্থী ‘হাজী মুহম্মদ মুহসীনকে কেন দানবীর বলা হয়?’ প্রশ্নের উত্তরে লিখেছে, “তিনি দানব ও বীর ছিলেন, তাই তাকে দানবীর বলা হয়।” অথচ এ ধরনের উত্তরেও পরীক্ষক নম্বর দিয়েছেন। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, দেরিতে হলেও শিক্ষার মানোন্নয়নে বাস্তবসম্মত মূল্যায়নের পথে হাঁটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এতে ফলাফল কিছুটা কমলেও শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান যাচাই করা সম্ভব হবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষার্থী যদি জিপিএ ৫ পেয়েও ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পায়, তবে সে ফলের

কোনো অর্থ থাকে না। আমরা এখন গুণগত মানে গুরুত্ব দিচ্ছি, সংখ্যায় নয়।” আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “আমরা খাতা মূল্যায়নে কোনো ‘উদারনীতি’ বা ‘কঠোরনীতি’ নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো—ভালো মানের শিক্ষার্থী তুলে আনা, শুধু বেশি পাস দেখানো নয়।” এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চলতি বছর থেকেই এসএসসি ও এইচএসসিতে পাসের হার এবং জিপিএ ৫-এর সংখ্যা কিছুটা কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর … আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি বিএনপি-এনসিপি সমঝোতায় বঞ্চিত হলো জুলাই এর নারী নেত্রীরা রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য প্রধান রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: পশ্চিমা হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা ইউনূসকে রেফারির ভূমিকায় চায় ধর্মভিত্তিক ৮ দল গাজা এখন ‘মাইনের শহর’ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৭, আহত ৫৩০ ৮টি ‘হাঙর’ সাবমেরিন যুক্ত হচ্ছে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে আজ প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন, যা বললেন ওমর সানী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমানোর প্রস্তাব, সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি